কিউরিওসিটির বশে নেটে একটু সার্চ দিলাম। কিন্তু কিছু কিছু তথ্য মনটা্ই খারাপ করে দিল। কারণ মটরসাইকেল আমার খুব প্রিয় একটা বাহন। ওটাতে আমি একটা স্বাধীনতা অনুভব করি যখন বড় কোন ফাঁকা রাস্তায় বাইকের উপর চেপে ছুটে বেড়াই।

যা হোক দু:সংবাদটা হল, যে মটর সাইকেলের ইঞ্জিন যত ভাইব্রেট করে,তা হিউম্যান বডির জন্যে তত খারাপ। সাধারণত বেশি সিসির বাইকে বেশি ভাইব্রেট হয়।
তবে সেসব সাইট থেকে যে ভংঙ্কর কথা গুলো জানলাম, সেগুলো জানতে নিচের অংশটুকু পড়তে পারেন।
১. বন্ধাত্ব করন হতে পারে: নিতম্বের উপর পুরো বডির ভার থাকে। তাই যারা সব সময় রাইড করেন বা লঙ জার্নি করেন, তাদের শিরা/ধমনী যথেস্ট চাপের মধ্যে থাকে। দুপায়ের মাঝের অংশ খুব গরম থাকে। তাই শুক্রানু কাউন্ট করে যায়। অথবা দুর্বল শুক্রানু তৈরী হতে থাকে। এভাবে দিনে দিনে আপনি বন্ধ্যাত্বের দিকে ঝুকবেন।

২. নার্ভ সহ পায়ের পেশি দুর্বল হয়ে যায়: ফলে শরীরের নিচের অংশ দুর্বল হতে থাকে। চলাফেরাই অস্বস্তি চলে আসে।
৩. ক্যান্সার: কিছু কিছু দেশ মটরসাইকেলের EMF ও রেডিয়েশন নিয়ে গবেষনা করেছে। তারা দেখেছে দুর্বল হলেও মটরসাইকেলের ইঞ্জিন থেকে রেডিয়েশন ছড়াচ্ছে। যার প্রভাব সরাসরি এসে পরছে উঁরু ও প্রস্টেট গ্রন্থিতে। ফলে কারও কারও ক্যন্সার হচ্ছে। স্পার্ম কাউন্ট নিতান্তই কমে যাচ্ছে। তাই তারা রেডিয়েমন প্রতিরোধক কিছু নেট বা ওয়্যার ব্যবহার করতে বলেছে।
৪.ব্যাক বোন পেইন: যাদের মটর সাইকেলে ভাইব্রেশন বেশি হয় বা হ্যান্ড প্লেস সুইটেবল হয় না, তাদের ব্যাক পেইন কমন ব্যাপার। কিন্তু এটা বারে বারে হলে ভবিষ্যতে পঙ্গু হবার সম্ভাবনা থাকে। মেরুদন্ডের ক্ষতি বা আঘাত থেকে আরও ভয়ঙ্কর কিছু হতে পারে।
৫. বধির হওয়া: যারা হলার লাগায় বা ইঞ্জিন যথেস্ট সাউন্ড করে, তারা খুব দ্রুত বধির হবার সম্ভাবনা থাকে স্বাভাবিকের তুলনায়। এমনকি অতিরিক্ত সাউন্ডে মস্তিষ্কের রক্ত সঞ্চালন কমে যায় এবং প্রচুর মাথা বাথ্যা হতে পারে।
৬. হাড় ক্ষয়: সম্প্রতি জাপানের ২৩৪ জন মটর বাইকারের উপর গবেষনা করে দেখা গেছে, স্বাভাবিকের তুলনায় তাদের হাড় ক্ষয় বেশি। শুনে থাকবেন, আমাদের দেশে যারা মেডিক্যাল রিপ্রেজেনটিভ আছে তারা প্রায়ই হাটুর ব্যাথা বা পায়ের পাতার গিড়েতে প্রচন্ড ব্যাথা অনুভব করেন।
৭. মাতৃত্বের সমস্যা: অনেক মেয়েরই নিয়মিত শারিরীক ক্রিয়ায় বিঘ্ন ঘটে। যদিও আমাদের দেশে মেয়ে বাইকার হাতে গোনা মাত্র। তাই বেশি কিছু বলছি না।

৮. দুর্ঘটনা: আমেরিকায় রোড এক্সিডেন্টে যত মারা যায় তার ৯৮% মটর সাইকেল এক্সিডেন্ট। আমাদের দেশেও মনে হয় একই ব্যাপার। বাস এক্সিডেন্ট হলে ৫ থেকে ৩৫ জন মরার ঘটনা জানা যায়। তারা বছরে ১৫ - ২০ টির মত ঘটে। কিন্তু দেশের কোন কোন জেলায় প্রতিদিনেই ১-১০ জন করে মরছে মটর সাইকেল এক্সিডেন্টে। কাজেই বছর শেষে মনে হয়, মটরসাইকেল দুর্ঘটনার সংখ্যাটাই বেশি হবে।

ভাই অনেক কিছু শেয়ার করলাম। আসলে জানার কোন শেষ নেই। তাই বলে হয়ত আমরা মটরসাইকেল রাইডিং ছাড়তে পারব না। কারন ভাললাগার কোন কিছুর সাথে তুলনা হয় না।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



