"গু" না বলে পয়:বর্জ্য বললে ভাল শোনাত। যাই হোক শিরোনাম শুনে রাগ করার কিছু নাই। বাস্তবতা হয়ত এমনই হবে।
আপনারা জানেন, দাসেরকান্দি পয়:বর্জ্য শোধনাগারের কথা। এখানে সংগ্রহীত তরল বর্জ্য যেখানে, মানুষের মল, গোবর বা দৈনন্দিন জীবনের সবকিছু যা ড্রেন দিয়ে শোধনাগারে পৌছাচ্ছে, সবই বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় আদ্র গাদকে বা থলথলে তলানিকে শুষ্ক করে রোটারি ক্লিনারের মাধ্যমে ড্রাই আ্যাস তৈরী করছে।
আর এই ড্রাই আ্যাস সারা দুনিয়ায় ব্যবহৃত হয়, সিমেন্টে (পোর্টল্যান্ড সিমেন্ট/ রেডিমিক্স সিমেন্ট), ইট, টাইলস, সো-পিস, রং বা বালু মিশ্রিত যে কোন কাজে। (দাসেরকান্দিতে কি হচ্ছে বা হবে তা জানিনা।)
ভাবুন একবার, আপনি এমন একটা ঘরে শুয়ে আছেন, যেখানে হাজার হাজার মানুষের গু থেকে তৈরী ড্রাইআ্যাস এর সিমেন্টের / বালু/ ইট/ টাইলস /পালাস্টার।
আসলে প্রক্রিয়াজাত করা থাকবে পয়:বর্জ্য। বাস্তববাদীদের মনে কোন দাগ কাটার কথা না। আর তাছাড়া আমরা তো প্রতিদিন কত শত খাবার খাচ্ছি যা কিনা শুকরের ফ্যাট থেকে আসে। কিন্তু সেগুলো প্রক্রিয়াজাত করা। সমস্যা কোথায়, তা্ই না? তারপরেও আমার কেমন কেমন জানি লাগে !!
আপনারা হয়ত অনেকেই জানেন, দেশের বেশির ভাগ ওষুধ কোম্পানির অধ:ক্ষেপ, যে গুলো কোথাও ফেলা যায় না, দেশের বিভিন্ন সিমেন্ট কারখানায় পাঠানো হয়, যাদের বিশেষ করে রোটারি ক্লিনার আছে। সেখানে বার্ন করে সিমেন্টে মেশানো হয়। কত খরচে দায় মুক্তি।
আমার তো মনে হয়, রুপপুর পারমানবিক কেন্দ্রের যে অধ:ক্ষেপ পরবে, রাশিয়া যদি ফেরত নাও নেয়, চিন্তা নাই, যে কোন রোটারি ক্লিনার সব হজম করে ফেলবে। পারমানবিক অনু পরমানু হোক আর নরবর হোক, ব্যাপার না। ঘরে ঘরে চালিয়ে দেয়া যাবে...