
বর্তমানে সরকারী হসপিটাল গুলোতে অঘোষিত ভাবে ডাক্তার নার্স ছুটিতে আছে। চেম্বারেও অনেকে বসছে না, প্রাইভেট ক্লিনিকেও না। কি একটা ভয়ঙ্কর অবস্থা। অসংখ্য পেশেন্টের পূর্ব নির্ধারিত ৩০ থেকে ০৭ তারিখের অপারেশন ৭ তারিখের পর সেট করা করা হয়েছে। বোঝাই যাচ্ছে সবগুলো অপারেশন হবে তাড়াহুড়ো করে। অনেক ভুল ভাল করবে ডাক্তার নার্স রা। আর যারা এই সময়ে প্রাণপণ সেবা দিয়ে যাচ্ছেন, তাদের জন্যে অন্তরের গভীর থেকে দোয়া এবং ভালবাসা।
এমনিতেই সাধারন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে শনিবার পর্যন্ত হাসপাতাল গুলোতে অঘোষিতভাবে ডাক্তার নার্সরা কম সংখ্যায় ডিউটি দেয়। আপনি সরে জমিনে গিয়ে দেখবেন, জরুরী বিভাগে ইন্টারনী ডাক্তার বসে থাকে। নার্স ৩ জনের জায়গায় ১ জন থাকে বা খুঁজে আনতে হয়। রাতের বেলায় টাকার বিনিময়ে দালাল বা ক্লিনার রা ছোটাছুটি করে রুগির একটা গতি করে দেয়।
এমারজেন্সি বিভাগে কখনও কখনও সাপ্তাহিক অঘোসিত ছুটির দিন বা রাতে প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র থাকে না। আমি গিয়ে একবার অক্সিজেন মাক্স পাইনি। যদিও ম্যানেজ করলাম। হসপিটালের নিজস্ব অক্সিজেন সাপলায় আছে, কিন্তু নজেল কাজ করে না। সেই অক্সিজেনের জন্যে আমাকে ৪ তলায় রুগীকে নিতে হয়েছে।
আজ এক বাবা মা শিশুকে নিয়ে এসেছে প্রচন্ড জ্বর আর ঠান্ডা লাগা নিয়ে। কোন শিশু বিশেষজ্ঞ দুপুর ১২ টা পর্যন্ত আসেনি। একজন ক্লিনার বলল, আজ শনিবার কাউকে পাবেন না। বাচ্চার বাবাকে আমি জিঞ্জেস করার পর জানলাম, জরুরী বিভাগে নিয়েছেন, কিন্তু তাকে প্রাইভেটে নিতে বলছে, কারন এ সপ্তাহে স্যার রা আসতেও পারে, নাও পারে... তিনি ডাক্তারের প্রাইভেট চেম্বারে খোঁজ নিয়েছিলেন, বলা হয়েছে ডাক্তার সোমবার পর্যন্ত চেম্বারে বসবেন না।
ডাক্তাররা না হয় ছুটিতে গেছে, মানুষের অসুখ বিসুখ তো ছুটিতে যায়নি। জরুরী অবস্থা তো বলে কয়ে আসে না, তাই না?

আহা রে আমার সোনার বাংলাদেশ... আমি তোমায় ...
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৮:২০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


