somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

অপলক
আমি সাদামাটা মানুষ। ভালবাসার কাঙ্গাল। অল্পতেই তুষ্ট। সবাই আমাকে ঠকায়, তবুও শুরুতে সবাইকে সৎ ভাবি। ভেবেই নেই, এই মানুষটা হয়ত ঠকাবেনা। তারপরেও দিনশেষে আমি আমার মত...

স্বামীর উত্থান পতন স্ত্রীর সহযোগিতায়... নারীদের কারনে নারীরা অসহায়... পুরুষ সমাজে অবক্ষয়

১৮ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সমাজে এখন পরকীয়া- ডিভোর্স এবং পারিবারিক কলহে নিহত: এই ৩ টি ব্যাপার সর্বোচ্চ পর্যায়ে চলে গেছে । আমার ধারনা, এর সমাধান অধিকাংশ ক্ষেত্রে স্ত্রী বা নারী সমাজের মধ্যে লুকিয়ে আছে। কিন্তু কিভাবে?



আমাদের সমাজটা এমন যে, কনের পছন্দ অপছন্দের মূল্য নেই। বরের পছন্দেই বেশির ভাগ ঘটকালির বিয়ে (এরেন্জ ম্যারেজ) হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে পাত্রের কামানা লিপ্সু দৃষ্টিকোণ প্রগাঢ় থাকে। যেমন সুন্দরী, স্বাস্থ্যবতী, নিখুঁত, ফর্সা, লম্বা চুল, সুউচ্চ বুক ইত্যাদি। আগে দর্শন ধারী তারপর গুনবিচারী। এরপর আসে, কনের যোগ্যতা ( লেখাপড়া, চাকরী ইত্যাদি) এবং পরিবারের যোগ্যতা (কত টাকা যৌতুক / ঘরসাজানি / গিফট দিতে পারবে, কনের বাপের কি কি আছে ইত্যাদি)।

কাজেই ঘটকালির বিয়েতে বর কনের মনের মিল বা বোঝা পড়া বিষয়টা গুরত্বহীন। সেখানে শুধুই যৌনতা, সামাজিক সম্মান, সন্তান উৎপাদন এবং লোক দেখানো ভাল থাকা( ব্যতিক্রম ঘটনা এখানে উহ্য রাখছি, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যা হচ্ছে সেটাই বলছি)। যখন বিয়েটা পুরুষের যৌন ক্ষুধা মেটানো, সন্তান পয়দা করা আর তাদের বড় করা আর অন্য দিকে কনের বাবা মা মেয়েকে বিয়ে দিয়ে হাফ ছেড়ে বাঁচা হয়, তবে বুঝতে হবে, সেই সমাজে পুুুুরুষ মানে তথাকথিত স্বামী এক নারী দেহে কখনই সন্তুষ্ট থাকবে না।

গ্রাম হলে পাট ক্ষেতে অন্যের বউকে নিবে, ভাই হাটে গেলে ভাবীকে বিছানায় নেবে, প্রবাসী কারও স্ত্রী থাকলে মধ্যরাতে মজা নিবে। শহর হলে রঙ্গিলা হোটেলে ওয়ান সট মেরে আসবে, কলিকদের সাথে মজা নেবে, পাশের ফ্লাটের ভাবীদের ডিস্টার্ব করবে, বউকে বাপের বাড়ি পাঠিয়ে কলগার্ল ডাকবে ইত্যাদি ইত্যাদি।

একটা নারী গর্ভবতী হলে মোটামুটি ১ বছর লাগে স্বাভাবিক রুপ যৌবনে ফিরে আসতে। স্বাভাবিক ভাবেই স্বামীর আকর্ষণ হারায়। স্বামীরা তৃপ্তির ক্ষুধায় অন্যের পুকুরে বর্শি ফেলে। সবাই যে তা না, বেশির ভাগ। শুরু হয় পরকীয়া বা লিভ টু গেদার বা এক তালায় বহু চাবীতে গাদাগাদি... । ফল স্বরুপ পারিবারিক অশান্তি, বয়ে নিয়ে আসে HIV, গনোরিয়া, সিফিলিস, হেপাটাইটিস সি সহ নানা চর্ম ও যৌন রোগ। একসময় স্বামীর পুরুষত্ব্য হীন হয়ে যায়, বউ তখন আর একজনের কাছে যায়।

প্রাকৃতিক ভাবেই নারীর তুলনায় পুরুষের যৌন ক্ষুধা বেশি। যেখানে একজন নারী ৫০-৬০ বছরে মনোপজে চলে যায়, একজন পুরুষ বিশেষ স্বাস্থ্য সমস্যা না থাকলে মৃত্যুর আগে পর্যন্ত সক্ষম থাকে। পিতা হবার ক্ষমতা রাখে। মনোপজে গেলে নারী দেহের ক্ষুধা/কামনা ৭০% কমে যায়, মিলন তৃপ্তিদায়কের পরিবর্তে ব্যাথা দায়ক হয়। কিন্তু ঐ নারীর স্বামী কিন্তু তখনও সক্ষম থাকে। অনেক সময় কাজের ঝি বা নাতিপুতির সাথে অকাম বদকাম করে ফেলে। আজকের দিনে পেপার পত্রিকায় দাদু নানুর কাছে ছোট ছোট বাচ্চাদের হেনেস্তার কথা খুবই নিয়মিত।

মেডিক্যাল সাইন্সের মতে, একজন পুরুষের ইমিউনি সিস্টেম বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নিয়মিত চারটি স্ত্রীলোকের জন্য ঠিক থাকে দৈহিক মিলনের ফলে যেসসব কমন ব্যাকটেরিয়া আদান প্রদান হয়। তার বেশি হলে ভেঙ্গে পড়ে। অতিরিক্ত যৌন মিলন একটা পুরুষকে নি:সন্তান বানাতে পারে। মানে বেশি স্ত্রী থাকাও ক্ষতিকর। হয়ত ইসলাম, এজন্যেই সামর্থবান পুরুষদের একসঙ্গে সর্বোচ্চ ৪ জন স্ত্রী থাকার কথা বলেছে। খেয়াল করলে দেখবেন, হাঁস/মুরগির ক্ষেত্রে ফার্মে ১:৪ অনুপাতে মোরগ মুরগি রাখা হয়। না হলে ডিমে ফার্টাইল হয় না।

মূল প্রসঙ্গে ফিরে আসি। পারিবারিক ভাবেই একজন স্ত্রীর উচিত তার স্বামীকে এক বা একাধিক বিয়ে দেয়া, সেটা নিজের পছন্দ মত। এতে করে যা হবে:
১. স্বামীর চরিত্র ফুলের মত পবিত্র থাকবে।
২. খারাপ জায়গায় টাকা উড়াবে না।
৩. মরনঘাতি রোগ বাইরে থেকে ঘরে বয়ে আনবে না।
৪. পুরুষের দেহ মন ঠান্ডা থাকলে বেশি সম্পদ উৎপাদনমুখী হয়। কারন তখন একটি চ্যালেন্জ মনের মধ্যে থাকে বা চাহিদার কথা বেশি ভাবায়।
৫. কোন স্ত্রীর অকাল মৃত্যুতে তার সন্তানরা সৎমাদের ছায়ায় বড় হয়। অবশ্য একটি সৎমা থাকলে প্রতিহিংসার শীকার হয় সেই বাচ্চাটি।
৬. ঘর সংসার দেখ ভাল করার জন্যে কাজের ঝি রাখতে হয় না। সব স্ত্রীরা মিলে মিশে পরিবার সামাল দেয়া যায়।
৭. বড় স্ত্রী যদি অক্ষম হয়ে পড়ে, তবুও পরবর্তী অপেক্ষাকৃত কম বয়সী স্বতীনরা স্বামীকে পরনারী বা পরকীয়া থেকে বিমুখ রাখতে পারবে। একা একজন নারী হিসেবে একজন পুরুষের সাথে ফাইট করার চেয়ে ৩-৪ জনে ফাইট করা অনেক সহজ।
৮. সমাজে পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যা অনেক বেশি। একজন নারী হয়ে আর একজন নারীর যদি গতি করতে পারেন, তাহলে পুরুষের হায়েনার দৃষ্টি থেকে তার মান সমভ্রম রক্ষা করতে পারলেন। সেই স্বতীন বা ছোট বউ সারা জীবন হয়ত আপনার সেই উপকারে বিনম্র হয় থাকবে।
৯. একজন এতিম বিবাহযোগ্য মেয়ে, বা বিধবা নারী বা স্বামী পরিত্যাক্তা নারীর জীবনে স্বামী নামের একজন পুরুষের পরিচিতি বা সোসাল আইডেন্টিটি কতটা গুরুত্বপূর্ন বা কতটা প্রয়োজন, সেটা আপনি নিজে ভিক্টিম না হলে বুঝবেন না। স্বামী কে আর একটা নারীর সাথে ভাগাভাগি করা কত যে কঠিন ব্যাপার, সেটা প্রত্যেকটা স্ত্রী জানে। স্বামী হাজার খারাপ হলেও বাঙ্গালী বউরা এ ব্যাপারটা মেনে নিতে চায় না।



এদিক দিয়ে পাকিস্তান বা আফগানিস্তানের বিবাহিত মহিলারা অনেকটা সহন শীল। কারন তাদের বাস্তব জীবন অনেক কষ্টের। স্বামীকে হারানোর চেয়ে তারা স্বামীকে ভাগাভাগি করতে নিজেরাই এগিয়ে আসে। বহু ক্ষেত্রে দেখা যায়, বড় বউ পছন্দমত আরও কয়েক জনের সাথে স্বামীকে বিয়ে দিচ্ছে। নিজেই মার্কেটিং করছে, বিয়ের ব্যবস্থা করছে। ওরা এটাকে স্বামীকে ভালবাসার প্রমান হিসেবে নেয়, স্বামীর ইচ্ছা , সখ আল্লাদ কে সন্মান দেয়। ফলে দেখা গেছে, সামাজিক অবক্ষয় অনেকটাই কমে যাচ্ছে। বেশ্যা পল্লি কমে যাচ্ছে, শিশু নিগ্রহ কমে যাচ্ছে, বলাৎকার বন্ধ হচ্ছে।

যতই পর্দা করা হোক, ধর্মের বেড়ি পায়ে পড়ানো হোক, কঠোর আ্ইন করা হোক, নারীর উপর লীপ্সা কখনই থাামনো যাবে না। পুরুষের টেস্টিক্যাল ভরা থাকলে আর পেনিস ক্লান্ত না হলে ধর্ষণ, পরকীয়া, বলাৎকার, খুন, জারজ সন্তান উৎপাদন বা নেশা, জুয়া বা অনান্য সামাজিক অবক্ষয় কখনই কমানো যাবে না। নারী সমাজকেই এগিয়ে আসতে হবে। স্বতীন বরনে বাস্তববাদী হতে হবে।




This 20-YO Pakistani Man Has Plans To Tie The Knot A Fourth Time & His Three Wives Are Helping
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:০৫
৮টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দ্যা এডামেন্ট আনকম্প্রোমাইজিং লিডার : বেগম খালেদা জিয়া

লিখেছেন ডি এম শফিক তাসলিম, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৪

১৯৪৫ সালে জন্ম নেয়া এই ভদ্রমহিলা অন্য দশজন নারীর মতই সংসার নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন, বিয়ে করেছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের অন্যতম সুশাসক শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কে! ১৯৭১সালে এ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×