আমার নিজের জীবন বলতে কিছই ছিলনা। কিন্তু আমার আজকের এ পরিবর্তন, তার সবকিছুর জন্য, একজনের কথা না লিখলেয় নয় । আজ তাকে নিয়ে লিখবো।
ওর নাম দীপাবলি, ওর বয়স তখন এক কিংবা দুই, আর আমার কটা দিন মাত্র।
আমি ওর বয়স জেনেছি, ওর জন্মদিনের অনুষ্ঠান থেকে। কারন আমি সবকিছু দেখতে পেতাম। দীপাবলিদের বাড়িটা অনেক পুরাতুন। অনেক পুরাতুন কারন, এ বাড়ির শুরু আজ থেকে প্রায় ১০০ বছর আগে দীপাবলির দাদুর, বাবার হাতে। এই বাড়িটা এ পাড়ার প্রথম পাকা বাড়ি। আর আজকে এই পাড়াটা মস্ত এক শহরের মস্ত বড় এক অংশ। আর এটা আমি জেনেছিলাম আমার দাদুর কাছ থেকে।
আমার আমির সাথে, আমার প্রথম পরিচয় দীপাবলির মায়ের জন্য। মা-এই আমাকে প্রথম দেখেছিলেন, আর ছোট্ট দীপাবলি-কে আমার গুরুত্ব বুজিয়েছিলেন। এর পর থেকে, আমি আমার নাম জানি। আমার কি কাজ, আমি কি করতে পারি, আমার দ্বারা কি সম্ভব, সব, সবকিছু জানি। আমার আশেপাশের সব কিছুর সাথে পরিচিত হই দীপাবলির হাত ধরে। ওর কাছ থেকে সব কিছু শিখেছি, ওর সাথে গল্প করেছি আর বড় হয়েছি।
এর মধ্যে কেটে গেছে ২০ বছর। আমার স্থান পরিবর্তন হয়ছে ৪ বার। অনেক কিছু শিখেছি আর অনেক কিছু উপলব্ধি করেছি। এর মধ্যে অন্যতম হল, দীপাবলির ভালোবাসা, শ্রদ্ধা আর দুঃখ সুখের ভাগাভাগি।
আজ এ সব লিখছি, কারন আজ দীপাবলির বিয়ে। ওর পাশে বসা ছেলেটিকে ওর সাথে বেশ মানিয়েছে। আজ ওকে অনেক সুন্দর লাগছে, আজ আমি ওকে কিছুই দিতে পারবোনা, এমনকি ছুতে পর্যন্ত পারবোনা। তবে আমার ভালবাসার নির্যাস, ওকে বুলিয়ে দিবো সবসময়।
কারন, আমি যে একটা গাছ, আমার জন্ম মাটির টবে। আমার অবস্থান দীপাবলিদের বাড়ির সামনের বাগানে, আর আজ আমি মস্ত এক বৃক্ষ।