পুলিশের উপর হামলাকারী,পুলিশের
মাথা থেতলে দেওয়া মানুষগুলো,অন্তু বড়ুয়ার
উপর হামলাকারীরা,খুন
ি সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে
দিবালোকে ঘুড়ে বেরায়,তাদের ধরা হয়
না ধরা হয় মুক্তমনাদের।
এই দেশে সাম্প্রদায়িকতাকে উস্কে দেওয়া
সংবাদপত্র আমার দেশ বন্ধ হয় না,বন্ধ হয়
মুক্তমত প্রকাশের মাধ্যম আমার ব্লগ।
এবার আসি ধর্মানুভুতিতে।এই দেশে শুধু
কি একটা বিশেষ ধর্মের মানুষেরই কেবল
ধর্মানুভুতি আছে।হিন্দু বোদ্ধ আর
খ্রিস্টানরা কি অনুভূতিহীন রোবট? হিন্দুদের
মন্দির ভাংগা হয়,প্রতিমা ভাংচুর
করা হয়,বোদ্ধদের মন্দির
ভাঙ্গা হয় ,রামুতে হামলা হয়, হিন্দুদের ধর্ষণ
করা হয়, পিটিয়ে মারা হয়,
রাস্তায় কুপিয়ে মারা হয়,জোড়পূর্বক বাড়িঘর
দখল করা হয়,অগ্নি সংযোগ করা হয়।
যারা এসব করে তাদের কিছু হয় না,কিছু হবেও
না।কিন্তু কে কোথায় ইসলাম
ধর্মকে কি বলছে সেটার শাস্থি দিতে সরকার
আইনকে আরও কঠোর করে।
ধর্মানুভুতিতে আঘাতের
সাজা এখন দশ বছর!
হিন্দুকে যে মালাউন
বলে প্রকাশ্যে গালি দেয়া হয় তার সাজা কত
বছর মাননীয় সরকার ?
আজকেও টাঙ্গাইলে কালী মন্দিরে আগুন, পুড়ল ৪
প্রতিমা এর কি কোন বিচার হবে মাননীয়
সরকার?
জানি বিচার হবে না!আপনারা কিছু
বিবৃতি আর সহানুভুতির বাক্যালাপ করেই আর
লোকদেখানু তদন্ত কমিটি গঠন করেই দায়
সারবেন।
জানি কারো কিছুই হবে না।যে দেশে মুক্ত
চিন্তা আর মুক্তমতকে গলাটিপে হত্যা করা হয়,দলীয়
ক্যাডারদের লালন পালন করা হয়, রাজনৈতিক
বিবেচনায় দলীয় সন্ত্রাসীদের
ছেড়ে দেওয়া হয় সেখানে কি বিচার চাইব?
একটু আগে জানলাম সুব্রত শুভ, মশিউর
রহমান বিপ্লব ও রাসেল পারভেজ এই তিনজন
ব্লগারের সাতদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন
আদালত।
বাহ! কি সেলুকাস বিচিত্র এই দেশ!
সুব্রত শুভর মতই শুধু চিৎকার
করে বলতে ইচ্ছে করে অনেক
হইছে আর না,এবার অফ যান!
অবিলম্বে ব্লগার সুব্রত শুভ, মশিউর
বিপ্লব এবং রাসেল পারভেজের মুক্তি চাই।
*** ব্লগ নিয়ন্ত্রণ চলবে না । ***
বাকস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ মানি না।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


