"চোখ যদি ধর্ষণ অঙ্গ হতো,
তাহলে, প্রত্যেকটি নারীই গণ-ধর্ষণের শিকার হতো"
একটু বেশিই বললাম বলে মনে হচ্ছে কি! কিন্তু আমার কাছে একদম ঠিক মনে হচ্ছে এবং যথার্থই লিখেছি বলে মনে করছি।
বর্তমানে, আমাদের জেনারেশনের ছেলেরা (পুরুষরা) একটা মেয়ের দিকে যেভাবে তাকায়, যেভাবে স্ক্যানিং করে, যেভাবে চোখের মাধ্যমে মেয়েটিকে অনুভব করে, কল্পনায় নিয়ে বিকৃত আনন্দ নেয়ার নিকৃষ্ট চিন্তা করে, সেটার বিবেচনায়, একটি মেয়ে যে, প্রতিনিয়ত দৃষ্টি -ধর্ষণের স্বীকার হচ্ছে, সেটা নির্ধিধায় বলা যায়।
বিষয়টিকে আমরা অনেক স্বাভাবিকভাবেই নিচ্ছি। কিন্তু দিনে দিনে এটা প্রকটরূপ ধারণ করছে এবং সামাজিক অবক্ষয়কে চরম পর্যায়ের দিকেই ঠেলে দিচ্ছে বলা চলে।
অনেক সময় দেখা যায়, একটা মেয়ে, তার পরিবারের সাথে কোথাও যাচ্ছে, সাথে তার ভাই, বাবা, মা সবাই আছে। তারপরও বিকৃত মানসিকতা সম্পন্ন কতিপয়
মনুষ্য চেহারার প্রানী এমনভাবে তাকাবে, যেন তার চোখে, মেয়েটি প্রতিক্ষণে রীতিমত ধর্ষিত হচ্ছে।
মেয়েটি বা তার পরিবার এই বিষয়গুলোর বিরোদ্ধে প্রতিবাদ করতে পারে না, কেননা সেখানে সংস্পর্শ জাতীয় কোন ঘটনা ঘটেনি, প্রমাণ স্বরূপ কিছু নেই, তাই সেটা আমলযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে না এবং সেটা বিচারের আওতাতেও আসবে না।
তাই বলে কি, একটি মেয়েকে, প্রতিনিয়ত এই দৃষ্টি-ধর্ষণের স্বীকার হতেই হবে এবং সেটা স্বাভাবিকভাবেই মেনে চলতে হবে, বেঁচে থাকতে হবে!!
আমি মনে করি, প্রত্যেকটি মানুষ ধর্মীয় অনুশাসন মেনে, একটা মেয়েকে,স্বাভাবিক মন-মানসিকতা ও অনুভূতি সম্পন্ন মানুষ মনে করে, তারও ভালো লাগা,খারাপ লাগা, লজ্জা লাগার মত বিষয় আছে, সেটাকে গুরুত্ব দিয়ে, নারীর মর্যাদা অক্ষুন্ন রেখে, সমাজে তার যথোপযুক্ত স্থানে রাখাই প্রত্যেকটি পুরুষের নৈতিক ও সামাজিক দায়িত্ব
ছবিঃ সংগৃহিত
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:৫৮