বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিআইডিএস)-এর সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, দেশের ৫০ শতাংশ পরিবার বছরের কোন না কোন সময় খাদ্য সংকটে থাকে, ২৫ শতাংশ পরিবার নিয়মিতভাবে সারাবছর খাদ্য সংকটে থাকে, ১৫ শতাংশ পরিবার সব সময় চিন্তিত থাকে পরের বেলার খাবার নিয়ে এবং ৭ শতাংশ মানুষ কখনোই তিনবেলা খাবার খেতে পায় না ” [দৈনিক প্রথম আলো]।
২০২৫ সালে দেশের জনসংখ্যা হবে প্রায় ২০ কোটি এবং খাদ্য চাহিদা হবে প্রায় সোয়া ৩ কোটি টন, অর্থাৎ বর্তমানে যেখানে হেক্টরপ্রতি গড়ে ৩.৩ মেট্রিক টন উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে, সেখানে গড় ফসল ফলাতে হবে ৪.৬ মেট্রিক টন। এখনই খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে যে প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে আগামী সময়ের বাংলাদেশের সত্যিকার চিত্র কেমন হবে? সেটাই এখন ভাববার বিষয়। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিটি ফসলের উৎপাদন ও ফলন বৃদ্ধি করা ছাড়া উপায় নেই। প্রতিদিন মানুষ বাড়ছে অথচ আবাদি জমির পরিমাণ কমছে। বাড়তি মানুষের খাবার যোগান দিতে প্রতি শতাংশ অনাবাদি জমি ফসল চাষের আওতায় আনতে হবে। কৃষই এদেশের উন্নয়নের প্রধান নিয়ামক এবং কৃষিকে বাদ দিয়ে উন্নয়নের যে কোন পরিকল্পনাই অসম্পূর্ণ এবং নিষ্ফল থেকে যাবে। বাংলাদেশের খাদ্য সমস্যা সমাধানের একমাত্র উপায় হচ্ছে অবিলম্বে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করা। সর্বোপরি যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ, প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করে সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




