ইলশি সম্পদ উন্নয়নে জাটকা সংরক্ষরণরে গুরুত্ব
ভূমকা: ইলশি মাছ শুধু আমাদরে জাতীয় মাছই নয়, এটি বাংলাদশর্রেে সবাপক্ষো র্গুরুত্বপূণর্ ও সববৃহৎ মৎস্যসম্পদও বট।ে একক প্রজাতি হসবিেে এদশরেে মোট মৎস্য উৎপাদনরে শতকরা প্রায় ৩০ ভাগই ইলশ।ি আমাদরে মোট জনসংখ্যার ২% এর বশিে লোক জীবকারি জন্য প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এ মাছরে উপর্র নভরশীিল। প্রজনন মৌসুমে ডমি ওয়ালা ইলশি ও ইলশরিে বাচ্চা (জাটকা) ব্যাপকভাবে নধনি করায় ইলশরিে বংশ বৃদ্ধি ব্যাহত হচ্ছে আর সইে সাথে কমে আসছে এর সরবরাহরে পরমাণ।ির্ এ পযন্ত বাংলাদশেে ছোট ইলশরিে (জাটকা) দুটি বৃহৎ বচরণি ক্ষত্রে সনাক্ত করা হয়ছর্।েে সববৃহৎ বচরণি ক্ষত্রটেি চাঁদপুররে ষাটনল থকেে নীলকমল হয়ে হাজীর্মারা পযন্ত ব¯তৃতি। ফব্র“য়োরী থকেে মে র্মাস পযন্ত উক্ত এলাকায় জাটকা পাওয়া যায় তর্ব মোচ-এপ্রলি মাসই জাটকা আহরণ করার প্রধান মৌসুম।
জাটকার সংজ্ঞা: প্রাপ্তবয়স্ক ইলশি সাগর থকেে ঝাঁকে ঝাঁকে উজান স্রোত ধরে মোহনা বা নদীতে অপক্ষোকৃত কম লবনাক্ত পানতেি এসে ডমি ছাড়।ে ওখানইে ডমি থকেে পোনা হয় এবংর্ পরবতীতে এসব পোনা তাদরে জন্য উপযুক্ত বচরণির্ ও নাসারি ক্ষত্রে খুঁজে নয়র্। নোসারি ক্ষত্রেে এরা চাপলাি মাছরে মতো আকৃততেি পৌছালে “জাটকা” নামে পরচতিি হয়। জাটকা ক্রমান্বয়ে বড় হয়ে লোনা পানি সহ্য করার ক্ষর্মতা অজন করে ও উপকূলরে দকেি ধাবতি হয়। মঘনো নদীর নুাঞ্চলি বশষিে করে হাতয়া,ি সন্দ্বীপ ও মনপুরার কালরচরি নামক স্থানে ইলশি মাছরে বৃহৎ প্রজনন ক্ষত্রে আছ।ে সাধারণত ৯ স.ম-এেরি নচেি ছোট ইলশকিে জাটকা বল।ে
[ংন]ভবষ্যৎি ইলশি সম্পদ উন্নয়নে জাটকা সংরক্ষণরে প্রয়োজনীয়তা: [/ংন]
ভবষ্যৎি ইলশি সম্পদ উন্নয়নে জাটকা সংরক্ষণরে গুরুত্ব নতুন করে বলার কছুি নই।ে ক্ষতকরি ও অবধৈ মৎস্য আহরণ সরঞ্জাম ব্যবহার করে জাটকা নধন,ি প্রজনন মৌসুমে ডমি ওয়ালা ইলশি ধরা এবং মৎস্য আহরণ তৎপরতা বৃদ্ধি ইত্যাদি কারণে প্রতবছরইি গড়ে প্রায় ৬৭০০ ম.টনে ইলশরিে উৎপাদন মারাত্মক ভাবে ব্যাহত হচ্ছ।ে মৎস্য অধদপ্তররিে গবষণোয় দখো গছ,েে বগতি কয়কে বছরে ইলশি ধরার জাল ও নৌকার সংখ্যা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পয়ছ।েেে মৎস্য সম্পদরে জন্য হুমকি স্বরূপ একতন্ত বশষ্টিি (গড়হড়ভরষধসবহঃ ঞরহব)ি অননুমোদতি মসে সাইজরে কারন্টে জালরে অবধৈ ব্যবহার যান্ত্রকি নৌকার সাহায্যে মৎস্য আহরণ ক্ষমতা (ঋরংযরহম ঊভভড়ৎঃ) বৃদ্ধি এসব কারণে জাটকা মাছ ব্যাপকভাবে মারা পড়ছ।ে নদনদীর পলভরাটি, গতপথির্ পরবতন,ি দূষণ ইত্যাদি ইলশরিে স্বাভাবকি প্রজনন ও বচরণি ক্ষত্রকেে ক্রমাগত সংকুচতি বা বনষ্টি করছ।ে এছাড়া ইলশরিে ভরা প্রজনন মৌসুমে উপকূলীয় অঞ্চলে চহ্নতিি ইলশি প্রজনন ক্ষত্রেে ব্যাপকভাবে ইলশি আহরণরে ফলে এ মাছরে নতুন প্রজন্মরে প্রবশনে বা পুন:মজুদ (ঘবি ৎবপৎঁরঃসবহঃ) প্রক্রয়াি মারাত্মক ভাবে ব্যাহত হচ্ছ।ে জাটকাকে বড় হবার সুযোগ না দয়েি অসময়ে ধরে ফলোর ফলে ইলশরিে কাঙ্খতি উৎপাদন বৃদ্ধি সম্ভব হচ্ছে না। ফলে আমাদরে প্রাণীজ আমষরিে ঘাটতি দখো দচ্ছ।িে তাইতো ভবষ্যৎি ইলশি সম্পদ উন্নয়নে জাটকা সংরক্ষরণরে প্রয়োজনীয়তা অপরসীম।ি
[ংন]মৎস্যজীবীদরে মধ্যে জাটকা সচতনতো গড়ে তোলা ও তাদরে প্রতি প্রয়োজনীয় র্দকনদশিনোি:[/ংন]
মৎস্যজীবীদরে মধ্যে এখর্নও পযন্ত জাটকা সচতনর্তো সম্পূণভাবে গড়ে তোলা সম্ভব হয়ন।ি এ ব্যাপারে যথার্যথ কতৃপক্ষকে উদ্যোগী হয়ে সচতনতো গড়ে তোলার মাধ্যমে মৎস্যজীবীদরে প্রতি প্রয়োজনীয় র্দকনদশিনোি ও উৎসাহ প্রদান এর আশু ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হব।ে নইলে আগামী ইলশি সম্পদ উন্নয়নরে ব্যাপক ক্ষতসাধনি হব।ে মৎস্যজীবীদরে প্রতি প্রয়োজনীয় র্দকনদশিনোিমূলক মডলে নুেি দওয়ো হলো;-
১. ক্ষুদ্র ফাঁসরে জাল ব্যাহাররে মাধ্যমে যত্রতত্র জাটকা আহরণরে পরণতর্িি সম্পকে মৎস্যজীবীদরে জ্ঞান বৃদ্ধি ও সচতনে করে তোলা।
২. “আজকরে জাটকা আগামীর ইলশ”ি এ ব্যাপারে অশক্ষতিি মৎস্যজীবীদরকেে বারবার বোঝাতে হব।ে
৩. নয় স.মেি এর চয়েে ক্ষুদ্র ফাঁসযুক্ত এবং ইলশি আহরণ উপযোগী সকল প্রকার জালরে ব্যবহারে নষধোজ্ঞিা আরোপ করা এবং ৩০ স.মেি এর চয়েে ছোট আকাররে ইলশি আহরণ বন্ধ করা। এক তন্তবশষ্টিি কারন্টে জালরে ক্ষত্রেে ফাঁসরে সাইজ হবে ১০ স.ম।িে এ ব্যাপারে মৎস্যজীবীদরে মধ্যে সচতনতো সৃষ্টি করা।
৪. ক্ষুদ্র ফাঁসরে বহুন্দীে জালরে ব্যবহার ক্ষতকর।ি এর প্রভার্ব সম্পকে মৎস্যজীবীদরে মধ্যে সচতনতো সৃষ্টি করতে হব।ে
[ংন]মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ আইনরে যথাযথ প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন:[/ংন]
প্রতবছরইি দখো যায়, মৎস্য সম্পদ রক্ষায় আইনরে যথাযথ প্রয়োর্গ কেতৃপক্ষরে অবহলো রয়ছ।েে আমাদরে এ জাতীয় সম্পদ রক্ষায় মৎস্য সংরক্ষণ আইনরে প্রতি যথষ্টে শ্রদ্ধাশীল হওয়া উচৎ।ি এ ব্যাপারে সরাসরি থানা বা জলো মর্ৎস্যর্ কমকতাকে ম্যাজষ্ট্রসিিে ক্ষমতায় ফব্র“য়োরী থকেে আগষ্ট র্মাস পযন্ত মৎস্য সংরক্ষণ আইন প্রয়োগে কড়াকড়ি পন্থা অবলম্বন করা উচৎ।ি ইলশি সম্পদ উন্নয়নরে লক্ষ্যে চাঁদপুর, শরয়তপুির, বরশাল,ি লক্ষীপুর, ভোলা, চট্টগ্রাম, পরোজপিুর, বরগুনা, নোয়াখালী, পটুয়াখালী ও খুলনা এই ১১টি জলোয় মৎস্য সংরক্ষণ আইন আরও জোরদার করতে হব।ে
[ংন]জাটকা সংরক্ষণে গণমাধ্যমরে ভূমকা:ি [/ংন]
জাটকা সংরক্ষণে রডও,িে টলভশনে,িি দনকৈি পত্রকাি গুলোতে নানান রকমরে ফচার,ি প্রবন্ধ, আলোচনা, নীর্তনধারিণি, সরকারী উদ্যোগ, বাংলাদশে মৎস্য গবষণো ইনষ্টট্যুট,ি মৎস্য ও পশু সম্পদ মন্ত্রণার্র্লয় কতৃক বভন্নিি র্দকনদশিনোি প্রচার ও প্রসাররে ব্যবস্থা আরও জোরদার করা উচৎ।ি গণমাধ্যমে (টলভশনে,িি রডওেি এবং সংবাদপত্র) জাটকার সুষ্ঠ ব্যবস্থাপনা, জাটকা সংরক্ষণসহ যে সর্কল কাযক্রম ইলশরিে ওপর নতবাচেকি প্রভাব ফলেে তা প্রচাররে মাধ্যমে গণসচতনতো সৃষ্টি করা। সাধারণ জনগণকে জাটকা আইর্ন সম্পকে সচতনে করে তোলার জন্য প্রশক্ষর্ণ/প্রিদশনীর ব্যবস্থা করা। পরকল্পনাি গ্রহণ এবং মৎর্স্য সম্পকতি উন্নর্য়ন কাযক্রম বাস্তবায়নে জলেে স¤প্রদায়রে অংশ গ্রহণ উৎসাহতি করা। কৃষবষয়কিি অনুষ্ঠান প্রচাররে মাধ্যমে জলেে স¤প্রদায়রে মধ্যে জাটকা সংরর্ক্ষণ কাযকর করা যতেে পার।ে এ ক্ষত্রেে একটি উল্লখযোগ্যে উদাহরণ দওয়ো যতেে পার।ে চ্যানলে আইয়ে প্রচারতি হয় শাইখ সরাজরিে উপস্থাপনায় “হৃদয়ে মাটি ও মানুষ”। এ কৃষভত্তকিিি অনুষ্ঠান আজ জলেে স¤প্রদায়কে নানাভাবে উৎসাহতি করছ।েে তার প্রমাণ মলছিেে বভন্নিি জায়গায় জলগোষ্ঠেীের মধ্য।ে জাটকা মৌসুমে জাটকা সংরক্ষণর্ েসতকীকরণ বজ্ঞপ্তরিি মাধ্যমে জলেে স¤প্রদায়কে অবহতি করতে হব।ে এ ব্যাপারে বাংলাদশে টলভশনেিি (বটভ)কিেিি আরও উদ্যোগী হতে হব।ে
[ংন]জাটকা সংরক্ষণে অভয়াশ্রম ঘোষণা: [/ংন]
চাঁদপুর জলোর মঘনো নদীর ষাটনল থকেে হাজীর্মারা পর্যন্ত মাচ ও এপ্রলি মাসে কংবাি অন্ততপক্ষের্ ১ মাচ থকেে ১৫ই এপ্রলি এবং উপকূলীয় এলাকার দুবলার চর (খুলনা) থকেে কূয়াকাটা (পটুয়াখার্লী) পযন্ত ডসম্বরেি জানুয়ারী মাসে বা অন্ততপক্ষে জানুয়ারী মাসে জাটকা নধনি রোধরে জন্য ঐ এলাকাগুলোকে অভয়াশ্রম ঘোষণার আশু ব্যবস্থা গ্রহণরে মাধ্যমে জাটকা সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় পদক্ষপে গ্রহণ করতে হব।ে
জাটকা সংরক্ষণ সরকাররে ভূমকা:ি একটি দশরেে সরকাররে সদচ্ছারি উপর অনকোংশইর্ েনভরি করে আগামী মৎস্য সম্পদ উন্নয়ন কংবাি ইলশি সম্পদ উন্নয়ন। জাটকা সংরক্ষণে সরকারকে যে বশষিে দকগুলিোর উপর নজর রাখতে হয় তা হলোÑ
১. বাংলাদশরেে জলসীমায় প্রজননক্ষম ইলশরিে বচরণ,ি তাদরে ডমি ছাড়া ও ছাড়কৃত ডমি থকেে র্পরপূণি পোনা উৎপাদনরে হার্র, উদ্বতন ও অভপ্রয়ানি হার ইত্যাদসহি ইলশি মাছর্র বোষকি উৎপাদন নরুপনিরে লক্ষ্যে জাটকা সংরক্ষণে সংশ্লষ্টি প্রতষ্ঠানির্ ওর্ কমকতাকে সঠকি র্দকনদশিনোি প্রদানরে আশু ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
২. ইলশি মাছরে প্রধান প্রধান অবতরণ কন্দ্রগুলেোতে যৌথবাহনীরি সহযোগতায়ি জাটকা সংরক্ষণে বশষিে ভূমকারি কথা চন্তাি করা যতেে পার।ে
৩. জাটকা মৌসুমে জাটকা আহরণ নষদ্ধিি ঘোষণা করা হলে উক্ত সময়কালরে জন্য কাজরে বনময়েিি খাদ্য বা অনুরুপ প্রকল্প গ্রর্হণ পূবক মৎস্যজীবী বা জলেে স¤প্রদায়রে বকর্ল্প কিমসংস্থান বা আয়রে ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
৪. যে সকল নদীতে ইলশি মাছ প্রজনন ও বচরণি করে থাকে ঐ সকল নদীর উভয় তীরে বা উজানে কীটনাশক ঔষধ কংবাি অনুরুপ কোন রাসায়নকি কলকারখানা স্থাপন নয়ন্ত্রনসিহ কারখার্নার বজ্য সরাসরি নদীতে নক্ষপরেিে প্রবণতা প্রতরোধি করা।
৫. জাটকা সংরক্ষণ নীতি প্রণয়ন করা যাতে করে ১০০% জাটকা ইলশেি পরণতি হওয়ার সুযোগ পায়।
৬. জলদরেেে সুদমুক্ত/স্বল্প সুদে ঋণরে ব্যবস্থা করা
৭. জলদরেেে জাল-নৌকার নরাপত্তিা/ক্ষতি এবং জীবনরে ঝুঁকি মোকাবলোর জন্য বীমা ব্যবস্থা চালু করা এবং
৮. অভয়াশ্রমরে বকল্পি ব্যবস্থা হসাবেি বাছাই করণ পদ্ধতরি (ঝবষবপঃরাব ঋরংযরহম) মাধ্যমে মাছ আহরণরে সুযোগ সৃষ্টি করা
জাটকা র্রক্ষা কমসূচী: প্রতবছরি নভম্বরে থকেে মে র্মাস পযন্ত ৭ মাসরে জন্য জাটকা র্রক্ষা কমসূচী পালন করা হয়।র্ এ কমসূচীর আওতায় রয়ছ-েে
(১) জাটকা নধনি প্রতরোধি বশষিে অভযানি পরচালনিা
(২) জাটকা রক্ষার গুরুর্ত্ব সম্পকে ব্যাপক গণসচতনতো সৃষ্টি
(৩) ইলশি অভয়াশ্রম ব্যবস্থাপনা এবং
(৪) জাটকা আহরণরে উপর্র নভরশীিল মৎস্যজীবীদরে বকর্ল্প কিমসংস্থানরে মাধ্যমর্ েপুনবাসন ও বশষিে খাদ্য সহায়তা প্রদান।
শেষের কিছু কথা:
আবহমান কাল থকইেে ইলশি বাঙালীর চরািয়ত ঐতহ্য।ি বাংলার কৃষ্ট,ি ঐতহ্যি আরর্ গবরে সাথে মশেি আছে ইলশরিে স্বাদ, গন্ধ আর রূপ। তাইতো জাটকা নধনি বন্ধ করে আগামী ইলশি সম্পদরে উন্নয়নে সবাইকে বদ্ধ পরকরি হওয়া উচৎ।ি প্রাণীজ আমষি যোগান,র্ কমসংস্থান, দারদ্র্যি বমোিচনে ইলশরিে অবদান অনর্স্বীকায। জাটকা রক্ষার গুরুত্ব র্সম্পকে সবাইকে সচতনে করে তোলা সচতনে নাগরকরিে দায়ত্বি ওর্ কতব্য হওয়া উচৎ।ি
(এ রচনাটি বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে দ্বিতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত)

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




