একটি কবিতা পোষ্ট করলাম..........যশোরের মণিরামপুর উপজলোর ডা: ছবেদ আলীর লেখা একটি কবিতা..................
আধুনিক কবিতা
সে এক আজব সৃষ্টি, নাম তার আধুনিক কবিতা
শতবার পড়িয়াও বুঝিবে না, কিছুই মুণ্ডু মাথা।
হোক সে গদ্য, না হোক পদ্য, না থাকুক ছন্দের মিল
বাঙালী পায়ে চাচ্ছে পরাতে বিদেশী ঢঙের হিল।
বুঝিনা আমি, বোঝে না কেহ, কি তার আসল অর্থ
কবিতা পড়িয়া বুঝতেই হবে, এমন তো নেই শর্ত!
অবাক বিস্ময়ে খোদ কবি যিনি, জিজ্ঞাসি যদি তারে
কি তার সাধ্য, অভিধান ধুঁড়ে, অর্থ বলিতে পারে।
যদিও না বুঝি, পড়তে হবে, নেই কমা-ছেদ দাড়ি
পড়াতে থামা চলবে না, রাস্তায় যেন ব্রেকশুন্য গাড়ি।
আধুনিক কবিতার রচয়িতরা আজ স্বনামধন্য কবি
যাদের কারণে ভুলে গেছি নাম, নজরুল-জসীম-রবি।
তাদের কবিতার মর্মে আজও, হাজার মানুষ কাঁদে
আধুনিক কবিতা মানায় সেখানে, বাস-ট্রেনের ছাদে।
নব্য সে সব- কবিদের বলি, এ কেমন সাহিত্য চর্চা?
তুলে রাখে চাষী না পড়ে তার, ধানের জমির পর্চা।
আধুনিক কবিরা ছন্দ মিলাও, বন্ধ করো ঢঙ
বাংলার গাঁয়ে রূপসী নায়ে, লাগাও সুরের রঙ।
বাংলা মা আজ বিস্ময়ে অবাক, বাঙালির কাজ দেখে
কাঁদিছে সন্তান অন্যখানে, মায়ের কবর রেখে।
বাংলা সাহিত্যে বঙ্গ ললনা, ফুটছে না তার চিত্র
স্বকীয়তা ভুলে বাঙালি আজ, ইংরেজী করছে মিত্র।
আজও তাদের কদর বেশি, ইংরেজি জানে যারা
বুকভরা জলে দাঁড়ায়ে বাঙালি, জল পিপাসায় সারা।
যে ভাষার লাগি জীবন দিলো সালাম-রফিক-বরকত
আজও বাঙালি শব্দ ভুলে, অক্ষরকে কয় হরকত।
ফিরাতে হবে বিজাতীয় মন, যেমন ফিরেছিলো মাইকেল
দেশীয় প্রযুক্তিতে বানাতে হবে, সুঁচ-থেকে মোটর সাইকেল।
বিজাতীর ধন, বিজাতীয় মন, ভাবতে হবে না কভু
বাংলা ভাষায় রতনের রাজি, ছড়ায়ে রেখেছেন প্রভু।
তাই আর কোন দৈন্যতা নয়, নয় কাঙ্গালিপনা
বাংলা ভাষায় খুঁজলে পাবে, পান্না-মানিক-সোনা।
ধন্য হবে মোদের জীবন, ধন্য হবে জাতি
ছড়াবে বিশ্বে মানুষের মাঝে, বাংলা ভাষার খ্যাতি।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ১১:১৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




