আজকের দিনটা অন্য দিন গুলোর মত ছিলনা। আজ সোহেল তার কালো সার্টটা পরেনি। আজ বেলার মেকআপটা বেশ হালকা ছিল। আজকে আমার পকেটে টাকা ছিল। মিনহাজের মনটাও অনেক অনেক দিন পরে ভাল ছিল। আজ তাই অন্য সবার মত আমারো ধারণা ছিল যে আড্ডাটা বেশ ভাল জমবে। শুরুটা খুব একটা খারাপ ছিল না। কিন্তু সব পাল্টে দিল শিশিরের একটা প্রশ্ন। এখন বলতে পারেন শিশিরটা কে? আর তার ঐ রকম দুম করে একটা প্রশ্ন করারই বা দরকার কি? আসলে শিশিরের পরিচয়টা দিলেই বুঝতে পারবেন।
শিশিরের ধারণা প্রত্যেক মানুষের একটা দায়িত্ব থাকে যা তাকে পরিণতির দিকে নিয়ে যায়। শিশিরের স্থির বিশ্বাস তার দায়িত্ব হল প্রশ্ন করে অন্যদের আলোকিত করা। বলাই বাহুল্য যে সে আলোকের ঠেলায় আমাদের প্রাণ যায় যায় অবস্থা।
যাই হোক আজকে শিশিরের প্রশ্নটা একেবারেই অবান্তর। আড্ডার মাঝে হঠাৎ বলে উঠল
আচ্ছা বলত বেলালের পুকুরে যদি মাছের ব্যাপক ফলন হয় আর তাই দেখে যদি জালাল তার জাল সেলাই করতে বসে তবে জালালের চরিত্রকে আমরা কি বলতে পারি?
প্রশ্ন শুনে ত আমরা থ। আগা নাই মাথা নাই পোলা বলে কি! আমাদের মধ্যে সোহেল একটু উগ্র। সে বলেই ফেলল চরিত্র তোর মত। বেটার কোন কাজ নাই তাই অকাজে বসেছে,।
শিশির এতটুকুও না রেগে বলল হয়নি। সোহেল আরও কিছু বলতে যাচ্ছিল তখনই আমাদের সমাজসেবী বেলা বলে উঠল আসলে জালাল পরোপকারী। বেলালকে সাহায্যের জন্যই সে জাল সেলাই করছিল।
এই উত্তরে শিশির ত অবশ্যই আমি পর্যন্ত সবেগে মাথা নাড়লাম। আমার হঠাৎ কি হল? আমি বলে ফেললাম জালাল আসলে আমাদের দেশের আমলাদের মত। হঠাৎ মিনহাজের চিৎকারে চমকে উঠি আমরা। আসলে আমি ভুলেই গিয়েছিলাম যে মিনহাজের বাবা এখন সংস্থাপন মণ্ত্রণালয়ে।
তারপর ত ধুন্দুমার অবস্থা। আমি ফাটা বাঁশের চিপায় পড়ে যতই চিঁ চিঁ করি মিনহাজ ততই আমাকে চেপে ধরে। ওদিকে নাটের গুরু শিশির দেখি দিব্যি মিটি মিটি হাসে। যাই হোক মিনহাজের রাগ বেশিক্ষণ থাকেনা। তাই বহাল তবিয়তে টিকে আছি। তবে এসব ঝামেলায় শিশির আসলে উত্তরটাই দিে যেতে পারেনি। আমার মাথাটাও ফাঁকা। আপনারা কি একটু চেষ্টা করে দেখবেন?

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




