রিনা, চোখ বন্ধ কর। যা দেখতে চেয়েছো তা কখনও পাবেনা। চোখ বুঁজলেই বরঙ অন্ধকারের সুগন্ধী ফুলেরা ফুটবে তোমার গায়ে। তুমি ঘ্রাণ নেবে ফুলের, তোমার ঘ্রাণ নেবো আমি। ঘ্রাণের রঙ দিয়ে স্লেটে ছবি আঁকবে যা খুশি। তবে ভুল ছবি এঁকোনা। স্বপ্নের জগতে একবার ভুল করলে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরবে তোমায় সম্মোহনবিদ্যায় পটু অজগর। তখন চোখ খুললে তুমি সেই হিমশীতল চোখের আবর্তে হারিয়ে গিয়ে অস্তিত্বহীনতা আর অনর্থকতার দ্বন্দ্বে, বাস্তবতার খানা-খন্দে পড়ে হারিয়ে যাবে। আমি তোমাকে হারাতে চাইনা। অনেক হয়েছে লুকোচুরি খেলা। কথা দিচ্ছি, নেপথ্যের কালো পর্দাটা সরিয়ে একদিন আসবোই তোমার কাছে। ঝলমলে পোষাক আর গহনা নিয়ে, সত্যিকারের ফুল নিয়ে, সাথে থাকবে আমাদের বন্ধুবান্ধব এবং শুভানুধ্যায়ীরা। আসবে প্রাণোচ্ছল তরুণীরা, রসিক, দিলখোলা যুবকেরা, উর্দি পরা বাদকের দল, নৃত্যরত শিশুরা। সেদিন তোমাকে চোখ খুলতে বলব। সেদিন তোমার আকাঙ্খিত দৃশ্যপট ভেসে উঠবে সামনে। রিনা, সেদিন দীর্ঘ নীরবতার প্রহর শেষে রিনরিনে হাসি শুনতে পারবো তোমার, সেরাতে তুমি ঘুমিওনা, ঘুম পাড়িয়ে দিও সমস্ত বিশ্ব চরাচর, রাত জাগা পাখি আর শহরের সবচেয়ে জৌলুসপূর্ণ পাবটার ক্লান্ত বারটেন্ডার এবং ক্যাবারে নর্তকীদের। তোমার অনিদ্র অন্তঃসলিলা চোখের আর্দ্র স্পর্শে ঘুমাবে শহর। তারা কখনও তোমার ভালো সঙ্গী হতে পারেনি। আজ আর কথা নয়। তুমি ঘুমিয়ে পড়েছো। তোমার র্যাপিড আই মুভমেন্টে স্বপ্নেরা স্প্রিন্ট খেলছে, আমি জানিনা সেখানে আছি কিনা। যেদিন আসবো, প্রস্তুত হয়েই আসবো ,সমস্ত দ্বিধা রুপোর কৌটোয় বন্দী করে রেখে, রুপোলী রঙ তোমার চোখের পাতায় মেখে অক্ষিকোটরে ঢুকে যাবো।
এখন ঘুমাও তুমি। অর্থহীন সব স্বপ্ন দেখতে থাকো। শুভরাত্রি।
শহুরে দিনপঞ্জি
এই শহরে মনস্তত্ববিদদের ব্যবসার আকাল যাচ্ছে আজকাল। চেম্বার ছেড়ে কখনও ভিখারীদের মত নেমে আসে রাস্তায়। হতাশাবাদী যুবক, মধ্যজীবনের সঙকটে ভোগা প্রৌঢ় আর অতি স্পর্শকাতর কিশোরীদের কাছ থেকে জীবনের পরাজয়, গ্লানি, অভিমান এবং দ্বন্দ্ব ভিক্ষা চেয়ে ঝুলিতে ভরতে চায়। কখনও তারা দস্যু অথবা গুপ্তচর অথবা গোয়েন্দা অথবা বদমাশের মত পিছু নেয় তাদের। কিন্তু উন্নয়নশীল তকমা লাগানো মফস্বঃল শহরটা এখনও যুঝছে তিলোত্তমা হবার জন্যে। মানসিক অবসাদ, বা বিকার এখানে অভ্যেস, স্বাভাবিক জীবনের অনুষঙ্গ। প্রতি রাতে দুঃস্বপ্ন দেখে জেগে উঠে ভোরের আলো ফোটার আগ পর্যন্ত ভয়ে সংকুচিত হয়ে শুয়ে থাকাটাও রিনা স্বাভাবিকভাবেই নিয়েছে। শুধু মাঝে মধ্যে মনে হয়, দুঃস্বপ্নত্তোর দুর্বিসহ, ঘর্মাক্ত, তৃষ্ণার্ত, ভীত সময়টায় যদি পাশে কেউ থাকতো, শক্ত কাঁধের চওড়া বুকের যুবক, যে তাকে আশ্রয় দিতে পারে, প্রশ্রয় দিতে পারে ছেলেমানুষী ভয়কে, অথবা যদি কোন ছোট্ট শিশু থাকতো, পরম মমতায় তাকে বুকে টেনে নিয়ে অমূলক ভয়ের চোখে তাকিয়ে ব্যাঙ্গে হাসতে পারতো! কিন্তু রিনার কেউ ছিলোনা। তাই সে ঘেমে ভিজে একশা হয়ে যেতো, আর আতঙ্কে গুঁটিসুটি হয়ে থাকতো। মনস্তত্ববিদেরা তার চোখের কোণের কালি এবং নাঘুমো আরক্ত নয়ন দেখে সম্ভাব্য শিকার হিসেবে ধরে নিয়ে পিছু নিয়েছিলো। একদিন মধ্যরাত্তিরে তাদের একজন কালো আচকান গায়ে দিয়ে গাঢ় কুয়াশা ভেদ করে উপস্থিত হয় রিনার ফ্ল্যাটে।
-দরজা খুলুন, আমাদের কাছে স্বপ্ন পরোয়ানা আছে। শুনেছি আপনি আজকাল ভয়াবহ সব স্বপ্ন দেখছেন।
স্বপ্নগুলো ভয়াবহ। কিন্তু এর প্রতিকারে ভয়াবহ কেউ মাঝরাত্তিরে চলে এলে সেটা আরো বিপদজনক। কিন্তু সেওতো আসতে পারে, সেই শক্ত কাঁধের চওড়া বুকের যুবক। তন্দ্রার মুহুর্তে যে আবছায়ার মত অস্পষ্ট রহস্য হয়ে দেয়ালে সেঁটে থাকে। অনেক দূরবর্তী স্থান থেকে যেন তার কন্ঠ ভেসে আসে উপদ্রুত বেতার তরঙ্গের মত। তার স্বাগত ভাষণ নাকি ভ্রম সংশোধন নাকি ভালোবাসার আহবান শেষ হলে-রিনার মনে থাকেনা কখনও প্রকৃতপক্ষে কি বলে সে, কিন্তু সেই তন্দ্রাচ্ছন্নতার মোহে পড়ে সে ঘুমুতে চায়, ভয়ানক দুঃস্বপ্ন দেখলেও ক্ষতি কী!
-দেরী করছেন কেন! খুলুন শিগগীর।
একটা কয়েন টস করে রিনা দরজা খুলে দেয়।
নাহ। হেড অর টেইল খেলায় টেইল উঠেছে। অত্যুৎসাহী মনোবিদ সোল্লাসে ঘরের ভেতর ঢুকে ভাবে "দেখে নেব দেখে নেব সব..."
-হু, এখন বিবৃত করুন আপনার ভয়ংকর স্বপ্ন।
-আমার মনে থাকেনা কিছু। তবে স্বপ্ন ভেঙে গেলে খুব ভয় পাই। ঘুম আসেনা আর বাকি রাত।
-আপনি কি নিদৃষ্ট কোন সময়ে স্বপ্ন দেখেন?
-হু...তিনটা সাড়ে তিনটার দিকে ঘুম ভেঙে যায়।
-ঘুমান কখন?
-বারোটার দিকে।
-এখন কটা বাজে?
-পৌনে বারোটা। আহ! কিছুক্ষণ পরে তন্দ্রা আসবে, সে আসবে, কথা বলবে, আশ্বস্ত করবে আমাকে। জানিনা সে কে, কোথা থেকে কথা বলে, কী বলে, কিন্তু শুনতে ভীষণ ভালো লাগে। আপনি যান এখন। আমার তন্দ্রাবিলাসের সময় হয়ে এসেছে।
-আমি এসেছি ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ তৈরী করে প্রতিবেদন তৈরী করতে। এই কী হল! ঘুমিয়ে গেলেন নাকি!
তন্দ্রাচ্ছন্ন নারীর নিমীলিত চোখে প্রক্ষেপক বসিয়ে স্বপ্নচিত্র দেখার জন্যে ঠায় বসে থাকে নাছোড় মনোবিদ।
তন্দ্রা
রিনা, এই গুমোট অন্ধকারে আমার থাকতে খুব কষ্ট হয়। অজস্র আঁধারশর আমাকে বিদ্ধ করে। আমি তোমার তিমির তন্দ্রায় থাকতে চাইনা। থাকতে চাই ভোরের শুভ্র স্বপ্নে। দুপুরের সিয়েস্তাকালীন সময়ের সুখী স্বপ্নে। ভয়ংকর স্বপ্ন দেখে তুমি কষ্ট পাও, ভয় পাও, তা আমি চাইনা। আমার এক বন্ধুকে পাঠালাম আজ রাত্তিরে তোমার কাছে। তুমি তো জানোই, আমার জগৎ কত সীমাবদ্ধতায় পরিপূর্ণ। তাই তাকে পাঠাতেও যথেষ্ঠ বেগ পেতে হয়েছে। অনেক ঝক্ক্বি সয়ে অবশেষে তোমার কাছে গিয়েছে সে। তাকে যথাযথ সহায়তা কর। আমি চলে যাই। তোমার ঘুম পাচ্ছে। তোমার স্বপ্ন বা দুঃস্বপ্নের জগতে আমার প্রবেশাধিকার এখনও সংরক্ষিত অথবা নিষিদ্ধ। যাই!
দুঃস্বপ্ন
রাত গভীর হয়। রিনার নিঃশ্বাস ভারি হয়ে আসে। সে ঘুমোয়। জেগে থাকে কৌতুহলী স্বপ্নবিদ। ঘরটায় এখন স্বপ্ন স্বপ্ন ঘ্রাণ। রিনা চোখের পাতা দ্রুত ওঠানামা করছে। সময় হয়ে এলো বলে।
রিনা উঠে বিছানার মাঝখানে এসে বসল। চারিদিকে থোক থোক আঁধার। অলস আঁধার শুয়ে বসে ডিমলাইটের ম্লান আলোর সাথে আড্ডা দিচ্ছিলো। রিনা উঠে বসতেই থোকথোক আঁধার জমাট বেঁধে শক্ত এবং শীতল হয়ে গেলো। রিনার পরনে ঝলমলে পোষাক। সারা ঘরে কোথাও আলো নেই। সে স্থাণুর মত বসে আছে। তাদের প্রতীক্ষায়। প্রতীক্ষাটা হওয়া উচিত ছিলো 'তার' জন্যে উদ্বেলিত চিত্তে, কিন্তু তা না হয়ে সে বসে আছে 'তাদের' জন্যে উৎকন্ঠিত, আতঙ্কিত।
তারা এলো। মুখোশ পরা একদল মানুষ, শল্য চিকিৎসকদের পোষাক পরে।
-কেমন আছো রিনা?
সমস্বরে জিজ্ঞাসা করে তারা।
-তোমাদের তো স্বাগত জানাইনা আমি কখনও। তবুও কেন আসো বারেবার? তার ওপর এই ভীতিকর পোষাকে?
-উহু, স্বপ্নের মধ্যে এত কথা বলতে নেই। চুপচাপ দেখে যাও। তোমাকে মুক্ত করার জন্যে যার মুক্তিপণ নিয়ে আসার কথা ছিলো সে আসেনি এখনও। তবে তাতে কী! আমরাই বা কোনদিক দিয়ে খারাপ?
রিনার ঠোঁটে টেপ এঁটে একজন বলে।
-এখন পরিবেশিত হবে নৃত্য।
শল্য চিকিৎসকদের দলের সাথে যোগ দেয় শব বহনকারীরা। কালো আচকান পরে অন্ধকারে মিশে গিয়ে এক অদ্ভুত ভুতুড়ে নৃত্য নাচতে থাকে। আরো আসে স্বর্গের শিশুরা। স্বর্গের স্বর্গীয় দ্যূতিহীন শিশুরা। তারা নাচেনা। তীব্র দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে রিনার দিকে। একজন অভিমান মিশ্রিত কন্ঠে বলে,
-আমাকে তুমি আসতে দিতে চাওনি, রাখতে চাওনি তোমার কাছে। এখন কেন বারবার নিয়ে আসো?
শিশুদের গোমড়ামুখো অবাধ্যতায় রুষ্ট হয় নৃত্যরত শববাহকদের অধিপতি।
-এই শিশুরা, নাচো তোমরা। নৃত্যোৎসবে যোগ দাও সবাই।
দলে দলে আরো লোকজন আসতে থাকে। সবাই নিখুঁত নৃত্যশিল্পী। রিনাকে ঘিরে নাচতে থাকে। তার দিকে ফুল ছুড়ে দেয়। ফুলগুলো রিনার গায়ে লাগামাত্র তার ঝলমলে পোষাক নিস্প্রভ হতে থাকে। ফ্যাকাশে হতে থাকে। একসময় সে নিজেকে সাদা কাফন পরিহিত অবস্থায় কবরস্থানে শায়িত অবস্থায় আবিস্কার করে। হাজারো কন্ঠের চিৎকার আর উদ্দাম নৃত্যে আকৃষ্ট হয়ে কবরস্থানের রক্তাভ আকাশ প্রদক্ষিণ করতে থাকে চিলের দল। তারা ক্রমশঃ নীচে নেমে আসতে থাকে।
রিনা প্রতিদিনকার মত আজকেও আতঙ্কে চিৎকার করে তার সেলোফেন আবৃত ঠোঁট কেটে ফেলার উপক্রম করেছে, ঠিক তখনই হাজারো কন্ঠের ভীড়ে সে খুব আবছাভাবে শুনতে পায় সেই কন্ঠ। "আমরা খুব কাছাকাছি এসে পড়েছি রিনা। খুব কাছাকাছি। তাকাও আমার দিকে। তাকাও! চোখ খোলার সময় হয়েছে এখন,তাকাও!"
রিনা চোখ খোলে।
নেক্রপসি
-এখন আমরা স্বপ্নের কাটাছেড়া করব। কীজন্যে আপনি এসব দেখেন।
আজ রিনার ভয় করছেনা। সে আশাহত, ক্লান্ত এবং বিরক্ত।
-কী চান আপনি! কেন হয়েছে এসব জেনে কী হবে। আমি জানতে চাইনা।
-আপনি সেই তন্দ্রা, সেই কন্ঠস্বরকে বাস্তবে আনতে চান না? আমি কিন্তু তার তরফ থেকেই এসেছি।
-আমি জানিনা, আমি চিনিনা তাকে। সে কখনও ছিলোনা। আপনি চলে যান।
-আমার ফি টা?
-তার কাছ থেকেই নিয়ে নিয়েন।
-এত রাত্তিরে আমি কীভাবে যাবো? আমার কাঁধ শক্ত না, আমার বুক প্রশস্ত না।
-আমি চিনিয়ে দিয়ে আসছি।
-বাহিরে কোন আলো নেই। স্ট্রিটল্যাম্প এবং চাঁদ সবই নিভে গেছে।
-আপদ বিদেয় করা দরকার। চলুন!
রাস্তায় নেমে প্রথম কথাটা রিনাই জিজ্ঞাসা করল বাচাল মনোবিদকে।
-কবরস্থানে যাবেন তো?
-হ্যাঁ, আপনি কিন্তু আমাকে কাজ করতে দিলেন না। আপনার সহযোগীতা প্রয়োজন ছিলো। অবশ্য আমি সবই দেখেছি। এগুলোর তাত্ত্বিক বিশ্লেষন করে একটা সিদ্ধান্তে আসা যাবে।
-আপনার কাঁধ চওড়া না। আপনার বুক প্রশস্ত না। আপনি রুগ্ন এবং দুর্বল।
ওরা আবার আসবে। আপনি ঠেকাতে পারবেন না। কোন বিশ্লেষণ,তত্ত্ব-তালাশ করে লাভ হবেনা। আমার চোখের কোণে জল জমবেনা, কালি জমবে।
-আমি আপনার স্বপ্ন পরবর্তী মানসিক এবং শারিরীক ধকলের কথা কবরস্থানের স্থানীয় সাময়ীকিতে ছাপাব।
-হু তাই করুন!
হিসহিসিয়ে বলল রিনা।
তারা হেঁটে চলে, তাদের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক হয়। দুয়েকটা স্ট্রিটল্যাম্প জ্বলে ওঠে সূর্যের সাথে মিতালী করার লোভে। ভোর হতে আর দেরী নেই।
কবরস্থানের কাছে চলে এলে রিনা লোকটিকে তার বালখিল্যতা, অকর্মন্যতা এবং অকারণ কৌতুহলের জন্যে আচ্ছামত তিরস্কার করে ফিরে আসার সময় খেয়াল করে বিষণ্ণ মনে এলোমেলো পায়ে হেঁটে যেতে থাকা লোকটির কাঁধ বেশ চওড়া...
খাবনামা
অফিসে ভীষণ কাজের চাপ আজ। একদন্ড তিষ্টোবার সময় নেই। লাঞ্চের সময় কলিগের সাথে কথা বলতে বলতে রিনা স্বপ্নের প্রসঙ্গটি তোলে।
-জানেন আপা গতকাল রাতে আবার সেই স্বপ্নটা দেখেছি। ভালো মত মনে নেই যদিও। কী সব ছাতামাথা যে দেখি!
-প্রতিদিন একই স্বপ্ন দেখো, একইসময়ে, আচ্ছা আমি খাবনামাটা দেখবো, ঐখানে অনেক বুজুর্গ ব্যক্তির মাসাআলা আছে...
-এইসব আধুনিক স্বপ্নে মাছাল-টাছালা-খাবনামা দিয়ে কাজ হবেনা আপা। ভালো কোন সাইকোলজিস্ট দেখানো দরকার।
বয়স্ক মহিলার কথার মাঝে ফোড়ণ কাটে চপলা এক তরুণী। হাসি ঠাট্টা আর কর্মব্যস্ত্যতার মাঝে কেটে যায় দিনের সময়টুকু।
সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার সময় একজন ফুলবিক্রেতা শিশু রিনাকে খুব জেঁকে ধরে
"একটা ফুল লন না আপা, লন না!"
ঝামেলা এড়ানোর জন্যে রিনা একটা ফুল নিয়ে দ্রুত হাঁটা দেয়, নইলে বাস পাওয়া যাবেনা।
চকিতে পিছনে ফিরে রিনা দেখে তীব্রদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে শিশুটি। এরকম দৃশ্য কোথায় যেন দেখেছিলো মনে পড়েনা তার। মনে করার সুযোগই পায়না। একটা চলন্ত বাসের হ্যান্ডেল ধরে সে মিশে যায়
ভীড়ে।
#গল্পটি লেখার ভাবনা মাথায় এসেছে তিথির(সমুদ্রকন্যা) একটা দুঃস্বপ্ন শোনার পর। তাকে ধন্যবাদ আমার কাছে বিবৃত করার জন্যে। নাহলে এই গল্পটা লেখা হতনা। তিথিও দুঃস্বপ্নটি অবলম্বনে লিখেছে দীপ্তিমান ছায়ামানুষেরা
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ১০:২৪