আমার একজন কলিগের ভাইয়ের করোনা পজিটিভ এসেছিলো। আশার ব্যাপার হলো, তিনি এখন পুরোপুরি সুস্থ। আমি তার সাথে ফোনে কথা বলে বিশদ শুনলাম। সেই গল্পটাই বলবো আজকে।
তিনি ছিলেন বাংলাদেশের করোনা ক্রাইসিসের একদম প্রথম দিকের রোগী। জ্বর আর কাশি নিয়ে তিনি টেস্ট করতে যান, এবং ফলাফল পজিটিভ আসে। তাকে হাসপাতালেও রাখা হয় নি। বাসায় গিয়ে আইসোলেশনে থাকতে বলা হয়। তিনি খুব কড়াকড়িভাবে আইসোলেশন পালন করেন। পজিটিভ ধরা পড়ার পর আটদিনের মাথায় তার প্রবল শারীরিক কষ্ট শুরু হয়। জ্বর বেড়ে যায়, ডায়রিয়া দেখা দেয়, সেই সাথে বমি বমি ভাব, এবং সবচেয়ে বড় কষ্ট-শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। শ্বাসকষ্টটা কী পর্যায়ে ছিলো জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন "অনেক দূর থেকে দৌড়িয়ে এসে কথা বলতে গেলে যেমন লাগতো ঠিক তেমন ছিলো অনুভূতি"। তাদের বাড়িওলা ছিলেন একজন ডাক্তার, এবং তিনি সকল রকম প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা নিয়ে তাকে দেখতে আসতেন। তাকে কাশির সিরাপ এবং নাপা দেয়া হয় ঔষধ হিসেবে। আর শ্বাসকষ্টের সময় নেবুলাইজার। প্রচুর পরিমাণ পানি খেতেন গরম করে, গরম পানির সাথে লেবুর ভাঁপটা নিলে শ্বাসকষ্টের সময় আরাম হত। সাধারণ খাবারের সাথে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার এবং কালিজিরা খেয়েছেন। মোটামুটি পনের-বিশদিন যাবৎ তার অসুস্থতা বজায় থাকে। আনুমানিক বিশ দিনের মাথায় গা ঝাঁড়া দিয়ে ওঠেন। মানে সেটা এপ্রিলের তৃতীয় সপ্তাহে।
এখন তিনি পরিপূর্ণ সুস্থ। আমি শুনেছিলাম যে করোনা ভাইরাস নাকি যাওয়ার সময় ফুসফুসের ক্ষতি করে যায়। কিন্তু তার কাছ থেকে জেনেছি, তার কোনরকম শ্বাসকষ্ট এবং অন্যান্য উপসর্গ নেই এখন আর। ভালো আছেন এখন।
আসুন, আশাবাদের গল্পগুলি বলি, সবাই মিলে যুদ্ধ করে এই ভাইরাসটাকে প্রতিহত করি!
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:২৪