****মোসাদ যেভাবে কাজ করে*****
ব্রিটেনের দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট
পত্রিকার মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক
সংবাদদাতা রবার্ট ফিস্ক ২০০৭
সালের জুলাইয়ে শিকাগো ও জন এফ
কেনেডি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই অধ্যাপক
স্টিফেন ওয়াল্ট ও জন মেরশিমার
গবেষণা প্রবন্ধের উদ্ধৃতি দিয়ে
বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রে ইহুদি তথা
ইসরাইলের বিপক্ষে কথা বলা অতি
দুঃসাহসিক।
শক্তিশালী ইহুদি লবির কারণে
মার্কিন নীতি নেতিবাচকভাবে
প্রবাহিত হচ্ছে এবং ইহুদিবিরোধী
মনোভাব পাকাপোক্ত হচ্ছে খোদ
মার্কিন মাটিতেই। মার্কিন প্রধান
প্রেস ও টেলিভিশন প্রতিষ্ঠানগুলোত
ে পেশাদার ব্যক্তিরা বেশ
প্রভাবশালী হয়ে আছেন দীর্ঘ দিন
ধরে।
সেখানে মিডিয়া ইসরাইলবিরোধী
তথ্য প্রদানে খুব কমই সাহসিকতা
দেখায়। এ কথা কেউই অস্বীকার করে
না যে, বিশালসংখ্যক ইসরাইলি লবি
প্রতি ক্ষণে কাজ করে যাচ্ছে মার্কিন
পররাষ্ট্রনীতি, বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য
নীতিকে তাদের মতো করে প্রভাবিত
করতে। তিনি আরো উল্লেখ করেন,
সঙ্ঘবদ্ধ ইহুদি গোষ্ঠী মার্কিন প্রশাসনে
ইসরাইলের হয়ে কাজ করছে। এ রকম একটি
সঙ্ঘবদ্ধ গোষ্ঠী হলো ‘এআইপিএসি’ (দ্য
আমেরিকান ইসরাইল পাবলিক
অ্যাফেয়ার্স কমিটি)। কংগ্রেস থেকে
পেন্টাগন সবখানে তাদের প্রচারণা।
তারা সেসব কংগ্রেসম্যানদের
টার্গেট করে, যারা অতি সহজে
তাদের কথায় দুর্বল হয়ে পড়বে বলে মনে
হয়। এই লবির কারণেই এখনো প্রাণ দেয়
ফিলিস্তিনিরা একেবারে অসহায়ের
মতো। ইহুদি লবির প্রভাবের অন্যতম
একটি উদাহরণ হলো হামাস সরকার।
কোনেভাবেই এ সরকার সমর্থন পেল না
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে। এই ইহুদিদের
একমাত্র দখলী ভূখণ্ড ইসরাইলের
গোয়েন্দা সংস্থার নাম মোসাদ।
সারা বিশ্বে এই গোয়েন্দা সংস্থার
রয়েছে শক্তিশালী নেটওয়ার্ক। যার
মূল লক্ষ হচ্ছে ফিলিস্তিনের মুক্তি
আন্দোলন প্রতিহত করা ও মুসলমানদের
স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রতিবন্ধকতা
সৃষ্টি করা। এ গোয়েন্দা সংস্থাটি
অসংখ্য গুপ্তহত্যা ও নাশকতামূলক
কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত। পশ্চিমা
সাহায্য ও সহায়তাপুষ্ট ইসরাইলের এ
গোয়েন্দা সংস্থা পশ্চিমা
গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর জন্যই এখন
চ্যালেঞ্জ।
-চলবে Click This Link
প্রথম পর্ব :
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:২৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




