somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিবর্তন...

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

১৯৬০ সাল-
গ্রামবাসী- ১: পাশের গ্রামের আবু
বক্কর বিএ পাশ দিছে।
গ্রামবাসী- ২: সলিমের পোলা বক্কর ?
গ্রামবাসী-১: হ! সন্ধ্যায় দেখতে যামু।
গ্রামবাসী-২: যাওয়ার সময় গাছের বড়
'কাডল'টা নিয়া যাইস!
গ্রামবাসী- ১: কি খাটনিটাই না
খাটছে। বই পড়তে পড়তে ছিড়ে
ফেলছে।
১৯৯০ সাল-
প্রতিবেশী-১: পাশের এলাকার মফিজ
স্ট্যান্ড করছে ঢাকা বোর্ডে!
প্রতিবেশী-২: কেমনে কি !
প্রতিবেশী-১: দিন রাত পড়তো! পায়ের
সাথে রশি লাগাইয়া, ঘুমাইলে টান
পড়তো। উইঠা যাইতো, তারপর আবার
পড়তো।
প্রতিবেশী-২: বিকালে ওগো বাসায়
যামু
প্রতিবেশী-১: যাওয়ার সময় পায়েস
নিয়া যাইতে হবে।
২০১৪ সাল-
প্রতিবেশী-১: পাশের বাসার যত্তগুলা
পোলাপাইন ছিলো, সব এ প্লাস
পাইছে।
প্রতিবেশী-২: বলো কি?!
প্রতিবেশী-১: হ! রাইতে তাদের
মেধাবী শিক্ষকদের সাজেশন
আসছিলো
প্রতিবেশী-২: সব কমন ?
প্রতিবেশী- ১: আবার জিগায়।
২০২০ সাল-
প্রতিবেশী-১: পাশের এলাকার সবাই
এ প্লাস!
প্রতিবেশী-২: সবাই মানে ?
প্রতিবেশী-১: পরীক্ষার্থীরা তো এ
প্লাস পাইছেই, তাদের বাপ মা রেও
জিপিএ-৫ দেয়া হইছে।
প্রতিবেশী-২: বাহ! মেধাবী পরিবার!
আগে ছাত্ররা প্রশ্ন পাইতো, এখন বাপ
মারেও দেয়।
প্রতিবেশী -১: শিক্ষার আলো ঘরে
ঘরে জ্বালো!
প্রতিবেশী-১: খুশী তে তারা গরু
শোয়াইছে। আমিও এ প্লাস পাইছি,
গোল্ডেন না যদিও।
প্রতিবেশী-২: ওহ! বাপ হিসেবে তুমি
গর্বিত! প্রশ্নটা পুরা মনযোগ দিয়া সলভ
করলে এরকম হইতো না।
২০৫০ সাল-
প্রতিবেশী-১: পাশের বাসার
পোলাপান সব নোবেল পাইছে।
প্রতিবেশী-২: আলহামদুলিল্লাহ!
প্রতিবেশী-১: তোমার ছেলের কি
অবস্থা?
প্রতিবেশী-২: গাধাটা শান্তিতে
নোবেল পাইছে।
প্রতিবেশী-১: আমার মেয়ে
ফিজিক্সে নোবেল পাইছে।
প্রতিবেশী-২: লাকি ইউ।
প্রতিবেশী-১: তুমি কি পাইছো?
প্রতিবেশী-২: এ রকম গাধা জন্ম দেয়ার
অস্কারটা আর পাবো না....
প্রতিবেশী-১: আহা!
প্রতিবেশী-২: একটা অস্কার না
পাইলে.... মান ইজ্জত থাকে না...
প্রতিবেশী-১: প্রোব নাই, আরেকটা
ছেলে তো আছে, ওর পিছনে লেগে
থাকো..
প্রতিবেশী-২: হমম... মান সম্মানের
ব্যাপার।
২০৬০ সাল-
প্রতিবেশী-১: পাশের বাসার
সালামরে তো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
দিয়া দিছে।
প্রতিবেশী-২: অসামান্য ফলাফল! ঠিকই
আছে। হুদাই এত পড়াশুনার প্যারা। কোন
ডিপার্টমেন্ট দিছে?
প্রতিবেশী-১: ফিজিক্স!
প্রতিবেশী-২: আইনস্টাইন ফেইল!
প্রতিবেশী-১: তোমার ছেলের কি
অবস্থা?
প্রতিবেশী-২: আমার ছেলে
জাহাঙ্গিরনগর বিশ্ববিদ্যালয় দিছে!
প্রতিবেশী-১: বুয়েট আর মেডিকেল
দিছে মফিজ আর বক্কর রে।
প্রতিবেশী-২: সেইরকম। মান ইজ্জত
থাকলো তাইলে!
২০৮০ সাল-
প্রথম ব্যক্তি: হার্ভাড ইউনিভার্সিটির
এর প্রশ্ন আউট হইলে বাঁচি।
দ্বিতীয় ব্যক্তি: চান্স কেমন ?
প্রথম ব্যক্তি: ভালোই।
দ্বিতীয় ব্যাক্তি এত শিওর কেমনে ?
প্রথম ব্যক্তি: ঐ খানকার ক্লার্ক
বাংলাদেশী। তার চেয়েও বড় কথা
কি জানোস ?
দ্বিতীয় ব্যাক্তি: কি ?
প্রথম ব্যক্তি: তার নানা এক কালে
বাংলাদেশের শিক্ষা কিংবা
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছিলো। তিনি
শায়েস্তা খানের মত লিজেন্ড।
দ্বিতীয় ব্যক্তি: কিরকম ?
প্রথম ব্যক্তি: শায়েস্তা খানের আমলে
টাকায় কয়েক মন চাল পাওয়া যাইতো।
আর তার সময় পনেরো টাকায় প্রশ্ন
পাওয়া যাইতো।
দ্বিতীয় ব্যক্তি: স্যালুট।
২০৯৫ সাল -
ঢাবিঃ কই যাস?
জাবিঃ সালামের বাসায়, ক্লাস
করতে
ঢাবিঃ আমি বক্করের বাসায় ক্লাস
করতে যাই, ডিএমসি গেছে আক্কাসের
কাছে শারীরিক শিক্ষ পড়তে।

-ফেবু থেকে সংগ্রহীত :P
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫২
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইন্টেরিম সরকারের শেষদিন : গঠিত হতে যাচ্ছে বিপ্লবী সরকার ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২২


ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্তঃদেশীয় প্রকল্পটা সফল হতে অনেক দিন লেগে গিয়েছিল। বাংলাদেশে সে তুলনায় সংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহের সফলতা স্বল্প সময়ে অনেক ভালো। এটা বিস্ময়কর ব্যাপার, ‘রাষ্ট্র’... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিচার চাই? না ভাই, আমরা "উল্লাস" চাই

লিখেছেন মাথা পাগলা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৩৭





দীপু চন্দ্র দাস একটি পোশাক শিল্প কারখানায় চাকরি করতো। সম্প্রতি দীপু দাস তার যোগ্যতা বলে সুপার ভাইজার পদে প্রমোশন পেয়েছিলো।

জানা যায়, সুপারভাইজার পজিশনটির জন্য আরও তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×