somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পিপল আর রিয়েলি গুড এট হার্ট-১

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৩:৫৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

 "In spite of everything, I still believe that people are really good at heart"? -Anne Frank,The diary of young girl.
একটাসময় হঠাৎই পৃথিবীর সবকিছুর উপর থেকে বিশ্বাস উঠে যাওয়া শুরু হয়! তখন লিখতে শুরু করা একটা পর্ব। যেখানে যেটাকে মনে হয়েছে অসাধারণ গল্পটা বলার চেষ্টা থাকবে। গল্প-১!

দিনকয়েক আগের কথা। আমার আগের  স্কুলের এক ছাত্রীর বিয়ে। মেয়েটির বাবা মারা গেছেন এবং সে সৎ বাবার কাছে মানুষ।ক্লাসমেট হবার সুবাদে এই তথ্য আমি জানতাম। আমি যেটা জানতাম না সেটি হল মেয়েটির বাবা একজন রিকশাচালক। সম্ভবত আমি ওনার রিকশায় চড়েই বহুবার আমার স্কুলে গিয়েছি। মেয়েটা চক্ষুলজ্জার খাতিরেই হোক কিংবা আমি কোনদিন জিজ্ঞেস করিনি এইজন্যই হোক আমাকে কখনো বলেনি! তো হঠাৎ একদিন আমি শুনলাম আমার এই সহপাঠীর বিয়ে এবং খুব অস্বাভাবিকভাবে আরও কিছু বন্ধুবান্ধবের সাথে বিয়েতে হাজির হয়ে গেলাম। আমার ধারণা ছিল আমার বয়সী একটা মেয়েকে ধুপধাপ বিয়ে দিয়ে দিলে তার মোটেই ভাল লাগবে না এবং সম্ভবত বিয়েটা তার অমতে হচ্ছে। কিন্তু অবাক হয়ে আবিষ্কার করলাম যে না মেয়েটা ভয়ঙ্কর খুশি!এবং তার এই খুশি হওয়ার আরেকটি কারণ হচ্ছে তার হবু স্বামী তাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে বিয়ের পর তাকে তার ইচ্ছেমত পড়াশোনা কিংবা কাজ চালিয়ে যেতে দেবে। উল্লেখ্য মেয়েটা বেশ স্কুল টাইম থেকেই বাচ্চাদের টিউশনি করায়। আমার বিশ্বাস হচ্ছিল না। তাই একটু সাহস করে নতুন জামাই বাবাজীকে ডেকে জিজ্ঞেস করেই ফেললাম,বাপধন বলতো তোমার মতলবটা কি?উনি যা উত্তর দিলেন তাতে আরও একবার আমার চমকে ওঠার পালা। বক্তব্যের সারমর্ম হচ্ছে এই যেহেতু মেয়েটা সৎ বাবার কাছে মানুষ আর ওনার এই ঘরে আরও ২ টি ছেলেমেয়ে আছে ওনার পক্ষে মেয়েকে পড়ানো সম্ভব নয়। এমনকি ওনার ধারণা উনি অসুস্থ হওয়ায় খুব বেশিদিন বাঁচবেন ও না। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মেয়েকে সুপাত্রস্থ করে নিজের কর্তব্য শেষ করতে চান। নয়তো মেয়ের আসল বাবার আত্মা শান্তি পাবেন না! পাত্র একটি এনজিওতে কেরানির চাকরি করেন। বিশ্বাস করুন আমি একজন রিকশাওয়ালা,তার মেয়ে আর তার হবু জামাইয়ের কথা মুগ্ধ হয়ে শুনেছি সেদিন। আমি বিতর্ক করি। প্রতিপক্ষের বাঘা বাঘা বিতার্কিকরাও এতটা মুগ্ধ করতে পারেনি কখনো! আমার ইনটুইশন বলে মেয়েটা ভয়ঙ্কর ভাগ্যবতী! আমি সেদিন ফিরে আসার সময় মেয়েটার চোখের কোণায় খুশি চিকচিক করতে দেখছিলাম। আমার অনুমান ভুল নয়। মেয়েটাকে প্রায়ই দেখি ফেসবুকে নতুন জীবনের আনন্দ নিয়ে পোস্ট করতে। তুই তোর পড়াশোনাটাও চালিয়ে যাচ্ছিস আশা করি!

কিছুদিন আগে ভয়ঙ্কর বিপদে পড়েছিলাম। যারা জানতেন বিপদের মাত্রা এবং ঘটনা তারা বড়জোর সবাই ইনবক্সে সান্ত্বনা দিয়ে গেছেন। কেউ বলেনি সাহস করে প্রতিবাদের কথা। তার ফলাফল অবশ্য ভয়ঙ্কর হয়েছে। শুধু একটা বান্ধবী এগিয়ে এসেছিল সব শুনে। সব ঝামেলার ভার নিজের কাঁধে তুলে নিয়ে সামলে গেছে সব। বিনিময়ে আমার পাশাপাশি সেও ছিল হুমকিতে। তবু ওইযে পিপল আর রিয়েলি গুড এট হার্ট!
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৩:৫৯
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লুঙ্গিসুট

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:২৪



ছোটবেলায় হরেক রঙের খেলা খেলেছি। লাটিম,চেঙ্গু পান্টি, ঘুড়ি,মার্বেল,আরো কত কি। আমার মতো আপনারাও খেলেছেন এগুলো।রোদ ঝড় বৃষ্টি কোনো বাধাই মানতাম না। আগে খেলা তারপর সব কিছু।
ছোটবেলায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত মুফতি তাকি উসমানী সাহেবের কিছু কথা

লিখেছেন নতুন নকিব, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:২৫

স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত মুফতি তাকি উসমানী সাহেবের কিছু কথা

ছবি কৃতজ্ঞতা: অন্তর্জাল।

একবার শাইখুল হাদিস মুফতি তাকি উসমানী দামাত বারাকাতুহুম সাহেবকে জিজ্ঞেস করা হল, জীবনের সারকথা কী? উত্তরে তিনি এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

=মৃত্যু কাছে, অথবা দূরেও নয়=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭



©কাজী ফাতেমা ছবি
দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে দিয়ে বলি, আমারও সময় হবে যাবার
কি করে চলে যায় মানুষ হুটহাট, না বলে কয়ে,
মৃত্যু কী খুব কাছে নয়, অথবা খুব দূরে!
দূরে তবু ধরে নেই... ...বাকিটুকু পড়ুন

সবুজ চোখের মানুষের ধাঁধা

লিখেছেন করুণাধারা, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৯



এই ধাঁধার নাম সবুজ চোখের মানুষের ধাঁধা; নিচের লিংকে এটার ভিডিও আছে।

স্বৈরশাসকের বন্দী

এই ধাঁধাটি আমার ভালো লেগেছিল, তাই অনেক আগে আমার একটা পোস্টে এই ধাঁধাটি দিয়েছিলাম। কিন্তু সেই পোস্টে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসলামের চার খলিফার ধারাবাহিকতা কে নির্ধারণ করেছেন?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩৭




সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ২৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৬। বল হে সার্বভৈৗম শক্তির (রাজত্বের) মালিক আল্লাহ! তুমি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা (রাজত্ব) প্রদান কর এবং যার থেকে ইচ্ছা ক্ষমতা (রাজত্ব)... ...বাকিটুকু পড়ুন

×