আমাদের মাননীয় মন্ত্রীসাহেবের ইচ্ছা হলো তিনি শিক্ষাক্ষেত্রে দিয়ে দিলেন ৭.৫% ভ্যাট! শুধু দিয়েই ক্ষান্ত হলেন না। বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হাতখরচা দৈনিক ১০০০, ১০০০ এর ৭.৫% হচ্ছে ৭৫০ এইরকম কিছু বেফাঁস মন্তব্যও করে বসলেন।

প্রথম কথা হচ্ছে, ভ্যাট কতটুকু যৌক্তিক? শিক্ষা মৌলিক অধিকার। শিক্ষার ক্ষেত্রে ভ্যাট যদি বসাতেই হয় তো বাকি ৪ টি মৌলিক অধিকারের উপরেও বসানো হোক! তাতে রাষ্ট্রের আয় বাড়বে বৈকি কমবে না।

তাহলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলন অবশ্যই যৌক্তিক??

শিক্ষাক্ষেত্রে ভ্যাট বিরোধী এ আন্দোলন অবশ্যই যৌক্তিক আর তারা যে শান্তিপূর্ন উপায়ে আন্দোলন করছে তা তো রীতিমত প্রশংসার দাবী রাখে।

কিন্তু কথা হচ্ছে যে, বিশ্ববিদ্যালয় ভেদে তাদের কোর্স ফির ফারাক মারাত্মক! বাংলাদেশে ৪ লাখ টাকায় যেমন অনার্স করা যায় তেমনি ১০ লাখেও করা যায়! তাহলে এই আকাশ-পাতাল পার্থক্যের কারণ কি??

তারা কি অতিমানবীয়,অপার্থিব (?) কোনো শিক্ষা পদ্ধতিতে তাদের শিক্ষার্থীদেরকে পড়ায়??
অবশ্যই না!
তাহলে তাদের থেকে নামে-বেনামে যে অতিরিক্ত অর্থ নেওয়া হচ্ছে তা নিয়ে তারা কস্মিনকালেও কোনো আন্দোলন করেনি! তারা সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একই নীতিমালা প্রণয়নের দাবীও জানাননি। এটি তাদের অবশ্যই বড় ধরণের ভুল।

এক্ষেত্রে তাদের উচিৎ হবে, এই আন্দোলনের সাথে সাথে সব বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়কে একই কাঠামোর মধ্যে নিয়ে আসা হয় এর জোর দাবীও জানানো!

আশার কথা হচ্ছে, বেশিরভাগ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সহ সাধারণমানুষের সমর্থন আদায় করতে পেরেছে এ আন্দোলন!

শিক্ষা অবশ্যই পণ্য নয়।শিক্ষা মৌলিক অধিকার। অধিকারের উপর রাজনীতি চলে না, ভ্যাটও চলতে পারে না!