হে মাটি-
রৌদ্র কেন এতো ভালো লাগে তোমার?
আমি মেঘ-
আর বৃষ্টি হয়ে ঝরে আমার উজাড় করা ভালোবাসা ।
আমার ভালোবাসা ছুঁয়ে যায়-
তোমার সমস্ত দেহ,
তোমার আচ্ছাদন সবুজ বৃক্ষগুলি ।
তবু, আমার প্রতি কেন এত মৌনতা?
আমি নিজেকে জড়ো করি
তোমাকে স্পর্শ করবো বলে ।
ছুঁড়ে দেই বৃষ্টিকে তোমার কাছে-
তুমি আমার ভালোবাসায় সিক্ত রবে বলে! কিন্তু-
রৌদ্র আসে-
আমাকে পাপী সাব্যস্ত করে
আড়াল করে রাখে নীল আকাশে ।
তুমি তোমার সমস্ত শক্তি দিয়ে আকড়ে ধরো তাকে,
রৌদ্র শুষে নেয় তোমার ভেজা শরীর ।
আমি মেঘ-
আকাশের আড়াল থেকে
তোমাদের ভালোবাসা দেখে-
গর্জে উঠি ।
রৌদ্রকে ঢেকে দেই আঁধারে-
তোমাকে জয় করবো বলে, বুকে বাঁধবো বলে ।
তুমি মাটি-
ভয় পাও আমার আগমনে ।
দূর হতে তোমার ভয় দেখে, আমি থেমে যাই ।
বন্ধ করি ঢাকের বাজনা, সহস্র অপ্সরীর উলুধ্বনি!
ফিরে আসি নতশিরে ।
রৌদ্র হাসে-
আমার প্রস্থানে, হাসো তুমিও ।
মিলে মিশে এক হয়ে যাও দু'জনে ।
এ যেন মর্ত্যে সুখের স্বর্গবাস!
রৌদ্র মাটির চিকচিক হাসি ।
সে হাসিতে চুরমার হয় আমার গাম্ভীর্য ।
আমি মেনে নিবোনা এ ভালোবাসা,
এই পণে- গর্জিত হই ।
আমি পরাজিত হবোনা,
সিক্ত করবো তোমায় বৃষ্টির জলে,
অবিরাম, আজীবন-এই প্রতিজ্ঞায় ।
তারপর- হয়তো কোনো একদিন তুমি- সিক্ত মাটি
রৌদ্র-কে তোমার আচ্ছাদনের মায়ায় রেখে- চলে আসবে আমার প্রান্তে ।
আবারও বেজে উঠবে-
ঢাক, শঙ্খ আর অপ্সরীদের উলুধ্বণি ।
আমি আলিঙ্গণ করবো তোমায়,
হয়ে যাবো দু'জনে-
মেঘে মাটিতে পাশাপাশি ।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৩:২২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




