প্রথমত জানা যাক,মেধাবী শিক্ষার্থী বলতে আমরা কী বুঝি।আমার মতে,যার কোনো কিছু শেখার আগ্রহ আছে,তা নিজের জীবনে কাজে লাগানোর ইচ্ছা আছে,বুঝে আত্মস্হ করার ক্ষমতা আছে এবং যা কিছু শিখলো,তা ব্যাখ্যা করার সাহস এবং ক্ষমতা আছে,তাকেই মেধাবী বলা যায়।এখন আসা যাক আমাদের সনাতন শিক্ষা পদ্ধতি প্রসংগে।
সনাতন পদ্ধতি:-
এটাকে সনাতন নাও বলা যেতে পারে,কিনতু এটা অন্যান্য দেশের তুলনায় সনাতন।এখানে মূল দিক হল একটি বিষয়কে ভালো ভাবে স্মৃতিতে ধারণ করার ক্ষমতা এবং পর্যাপ্ত অনুশীলন করে তা বুঝে নেওয়া।এখানে ব্যক্তিগত মতামত প্রকাশের ক্ষমতা নেই বললেই চলে।পাঠ্যপুস্তকে যদি কোনো ভুল থাকে তাহলে সেটাকেই সঠিক বলে ধরে নিতে হবে এবং লেখকের নিজের মতামত ছাড়া অন্য কোনো মতামত বা নিজের মতামতকে প্রাধান্য দেয়া যাবে না,যদি দেয়ার সুযোগ থাকে তবে তা খুবি সীমিত আকারে।নিজের মতামত ও যুক্তি প্রকাশের সুযোগ না থাকায় এটাকে ব্যক্তিগত জীবনে প্রয়োগ করার সুযোগ কম।ফলে এখানে একরকম সীমাবদ্ধতা রয়ে গেছে।এ সিস্টেমটি ব্রিটিশ আমল থেকে প্রচলিত।এবং দুঃখজনক হলেও সত্য,এখানে মেধার প্রকৃত সংগা হিসেবে স্মৃতিশক্তির প্রাধান্য শতকরা ৭০ ভাগ।বাকি ৩০ ভাগ,অনুশীলন এবং অন্যান্য বিষয়কে ধরা হয়।নিজের চিন্তা প্রকাশকে এখানে নিরুৎসাহিত করা হয়,এবং আমি আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি,এই নিজের চিন্তা প্রকাশ করলে টিচাররা অনিচ্ছাসত্ত্বেও নম্বর কেটে দিতে বাধ্য হন।যার ফলে নিজস্ব চিন্তা করার এবং একটি বিষয়কে পর্যালোচনা করার ক্ষমতাকে এটি খুব ধীরে ধীরে ধ্বংস করে দেয়।চিন্তা একজন মানুষের ব্যক্তিত্বকে প্রকাশ করে।যখন সেই চিন্তা করার ক্ষমতাকে বন্ধ করে দেয়া হয়,তখন কী আর নিজেকে একজন স্বতন্ত্র ব্যক্তিত্ব হিসেবে প্রকাশ করা সম্ভব?
প্রথম আলো ব্লগে প্রকাশিত!

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



