আমি আমার যাত্রা শুরু করেছি একটি স্বাধীন-সার্বভৌম ফিলিস্তিন এবং নিরাপদ ইসরাইলের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য। যা অবশ্যই ১৯৯৩ সালের অসলো প্রস্তাবিত শান্তি চুক্তিকেই সমর্থন করে। আমি বিশ্বাস একজন ব্যাক্তি হিসেবে আমার স্বাধীন মতামত প্রকাশের অধিকার আছে। এই মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে আমার চিন্তা ভাবনা ও লেখা নতুন নয়;
Click This Link
লেখা কোন বাংলাদেশের পত্রিকা বা বাংলাদেশ হতে কোন ওয়েব সাইটে দেই নি। ব্যাক্তিগত নিরাপত্তার কথা ভেবেই তা করিনি। আমি মনে করি আমি স্বাধীন মতামত প্রকাশ করার পূর্ণ অধিকার রাখি। আমার এই উদ্দেশ্য হচ্ছে সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ এবং সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে। আমি ইসরাইল ও ফিলিস্তিন দ্বন্দের মূল হতে শুরু করেছি যে কাদের কারণে বিষয়টির সুত্রপাত হল;
Click This Link
http://ptstates.amarblog.com//posts/116083/
http://www.prothom-aloblog.com/posts/8/108492
কিন্তু দেখা গেল কিছু ভদ্রলোক এই লেখায় কোন ভুল বা অসত্য তথ্য খুজে পেলেন না। আমি যেকোন সমস্যার মূলে গিয়ে তথা গোড়া থেকে শুরু করে যৌক্তিক এবং ধারাবাহিক ভাবে চলা পছন্দ করি। ছোট বেলা হতেই বাংলাদেশ সহ বিশ্বের প্রায় সকল মুসলিম দেশের শিশুদের ইসরাইল রাষ্ট্রের জন্ম সমন্ধে মিথ্যা, ভুল ও বিদ্বেষের তথ্য দেওয়া হয়। যা বর্তমানে বিশেষ করে ১৯৯৩ সালের শান্তি চুক্তির পর ইসরাইল আগে হামাস সহ বিভিন্ন উগ্রবাদী দলের দ্বারা হামলার শিকার হলেও এ খবর নামমাত্র আসে এবং মুসলিম বিশ্বের অনেক পত্রপত্রিকা মিডিয়া একে এড়িয়ে যায় এবং অনেক সময় অস্বীকার করে। আর যখন ইসরাইল পাল্টা প্রতিশোধ নেয় তখনই মুসলমান দোহাই দিয়ে বলা হয় ইসরাইল মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ করছে। তো প্রশ্ন হামাস কেন আগে ইসরাইলকে অস্বীকার করে শান্তি আলোচনার পরিবর্তে হামলা করে? আমি সেগুলোকেই তুলে ধরেছি মাত্র। আমি অবশ্যই ফাত্তাহ, আল আকসার শান্তিপূর্ণ পদক্ষেপের পক্ষে এবং হামাস-ইসলামিক জিহাদ, হিজবুল্লাহ ও ইরানের কট্টরপন্থীদের অশান্তি-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে। এখানে আমার দোষ কোথায়? তারপরেও কিছু অন্ধ-হামাস-হিজবুল্লাহ-ইরানের কট্টরপন্থীদের বাংলাদেশী অনুসারীরা আমাকে মোসাদ, জিওনিষ্টদের পোষা বলছে। অথচ আল্লাহ স্বাক্ষী আমি ইসরাইলীদের থেকে এক পয়সাও নেই নি। এই লেখা প্রচারণার বিষয় আমার একান্ত নিজস্ব ব্যাক্তিগত উদ্যোগ। কারণ সেই ১৯৯০ সাল হতে ইরাকের বিপর্যয়কে গভীর ভাবে পর্যবেক্ষণ করেছি। আমার তুলে ধরা ইসরাইল-ফিলিস্তিন ইতিহাসের কোন তথ্যকে এই ভদ্রলোকগণ মিথ্যা বা ভুল বলতে পারেনি। লক্ষ লক্ষ ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ হওয়া অবশ্যই দুঃখজনক। কিন্তু সেটা শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হওয়া সম্ভব। তবে আরবদের একটা উপদল যদি এটা না করে অশান্তি তথা সন্ত্রাসের পথে যায় তাহলে ইসরাইলীদের আত্নরক্ষাকে কিভাবে দোষ দেই? যদি ঐ সকল উদ্বাস্তু ইসরাইলকে দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। কিন্তু হামাস-ইসলামিক জিহাদ সেই ১৯৯৩ সাল হতে আজ পর্যন্ত প্রথমে ইসরাইলে হামলা চালিয়ে আসছে। অথচ তারা ইসরাইলের Israeli defence force(IDF) দ্বারা বৃত্তবন্দী। হামাস ১টা ইসরাইলীকে মারলে ইসরাইল মারে ১০-২০ ফিলিস্তিনিদের। ইসরাইলে ভাষ্য হল যা সত্য যে এই সকল কাপুরুষ হামাসগণ বেসামরিক লোকজনের বসতবাড়ী, স্কুল, মসজিদকে জিম্মি করে ইসরাইলে হামলা চালায়। তখন ইসরাইলের এ সকলের উপর কোন হামলা না চালিয়ে উপায় থাকেনা। অনেকেই ইসরাইলের এই কাজকে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতা বিরোধী অপরাধ বললেও আমি তার সাথে একমত নই। কারণ হামাস আগে হামলা না চালালে ইসরাইল কখনই পাল্টা হামলা করত না। কিন্তু মুসলিম বিশ্বের বেশীর ভাগ দেশ গুলোতে সরকারী আইন এবং উগ্রপন্থীদের কারণে এই সত্য কোন শান্তিকামী মানুষের পক্ষে বলা যায় না। আজকে আমার এই লেখা সমূহকে ইসরাইলের দালালী বলে বলছেন রেফারেন্স টানছেন যে ইসরাইলের কিছু দল ও মানবাধিকার সংগঠন সমূহও ইসরাইলী সরকারের ফিলিস্তিনী হত্যাকান্ডের নিন্দা জানাচ্ছে এবং বন্ধ করতে বলছে, তাদের উদ্দেশ্যে বলি দেখুনতো ইসরাইল একটি সভ্য, আদর্শ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র যা বিপক্ষ মতামত প্রকাশের সুযোগ দেয়। আর কিছু মুসলিম রাষ্ট্র(মিশর, জর্দান ও তুর্কী) বাদে অন্য সকল মুসলিম রাষ্ট্রে কোন মুসলিম ব্যাক্তি, দল ও সংগঠন যদি বলে হামাসের ইসরাইলে হামলা চালানো অন্যায় ও অযৌক্তিক তো দেখবেন সৌদি, ইরান হলে তার প্রকাশ্য প্রাণদন্ড, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়াতে তাকে জেল জুলুম, উগ্র ধর্মীয় গোষ্ঠীর হামলার শিকার হতে হবে। এই সব কথা বিবেচনা করেই যতদিন বাংলাদেশে ছিলাম এই দেশেতো দূর কোন মুসলিম দেশেও আমার অনুরোধ জানাই নি। কারণ তাহলে আমিও জেল জুলুম, উগ্রপন্থীদের হামলার শিকার হতাম। প্রমাণ বিভিন্ন ব্লগে আমার বিরুদ্ধে বিষেদগার, আমার এই ব্লগ বাতিল করার দাবী তোলা হচ্ছে। যদিও তারা তথ্য ভিত্তিক, যৌক্তিক কোন কারণ দেখাতে পারছে না। এখানে একটা কথা সত্য যে দলই বাংলাদেশের সরকারে আসুক এখানে স্বাধীন ভাবে সব মতামত এমনকি তা যদি শান্তিপূর্ণও হয় তা অনেক ক্ষেত্রে প্রকাশ করা যাবে না। ব্লগের বিভিন্ন ব্লগার আমাদের বাংলাদেশের সমাজের বিভিন্ন অংশের প্রতিনিধিত্ব করে। তাই বাংলাদেশে থেকে না করে বৃটেন হতেই আমার সম্পূর্ণ যাত্রাকে সঠিক সিদ্ধান্ত বলেই মনে করি।
আমি এ লেখার মাধ্যমে আমারব্লগ এবং প্রথম আলোব্লগ কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই তাদের ব্লগে আমার এই লেখা সমূহ প্রকাশের জন্য। আর সামু কর্তৃপক্ষকে বিগত ৭/৮ দিন অনেক অনুরোধের পর(এই নিক চালুর ১৬/১৭ দিন পর) এই লেখা চলাকালীন সময়ে আমাকে প্রথম পাতায় লেখা প্রকাশের সুযোগ দিলেন। মনে হয় বাংলাদেশে প্রথম আলোব্লগ ও সামুব্লগ যথেষ্ঠ চাপের মধ্যে থাকে। এই ক্ষেত্রে আমারব্লগ কর্তৃপক্ষের কোন চাপ নেই। তারপরেও আশা করি উল্লেখিত সকল ব্লগে আমার লেখা প্রকাশ অব্যাহত থাকবে। ধন্যবাদ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


