somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

"মুসলিমদের শিরক" বা "সোনার পাথর বাটি" :: বিশ্ব ইজতিমা বিষয়ক

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এ লেখাটিকে অত্যন্ত সিম্পল এবং সংক্ষিপ্ত রাখছি। ব্যক্তিগতভাবে আমি গালাগালি, তীব্র কথা এমনকি তর্ককেও প্রচন্ড অপছন্দ করি। সেটা মুসলিম বিদ্বেষী ইহুদির বিরুদ্ধে হোক, রাসূল দ.'র বিদ্বেষী নাস্তিকের বিরুদ্ধে হোক আর ওহাবী, ভন্ড পীর বা দেওবন্দী-শিয়ার বিরুদ্ধে হোক।

ধর্মীয় বিষয়গুলো ঝগড়াটেদের ঝগড়ায় এতই অস্পষ্ট হয়ে গেছে যে, দিন-তারিখ-পৃষ্ঠা আর ছাপাখানার রেফারেন্সের কচকচি এগুলোকে স্পষ্ট না করে আরো গুলিয়ে দিবে।

খুবই সম্মানের সাথে একটা কথা জানাই, ভাল মানুষরা ভাল মনে করে তাবলীগ ও ইজতেমাতে যোগ দেন। এখানে সৎ মানুষ আছেন, খোদাভীরু মানুষ আছেন। যেমন ভাল মানুষরা ভাল মনে করে হজ্ব করে, ভাল মানুষরা ভাল মনে করে শাহবাগে গেছেন, ভাল মানুষরা ভাল মনে করে শাপলা চত্ত্বরেও গেছেন। সৎ মানুষরা চার্চে যাযন, সিনাগগে যান, মন্দির বা মসজিদেও যান। যার যার উপলব্ধির ভিত্তিতে মানুষ কাজ করে, এ নিয়ে গায়ের উপর চাপিয়ে দেয়ার কিছু নেই। কিন্তু জানতে চাইলে সত্যটাকে আমরা যেভাবে জানি সেভাবে জানানো দায়িত্ব মনে করি।

লেখাটা সরল হলেও এতে মনোযোগ দেয়া জরুরি। মতবাদ ও গোত্রবাদ আমাদের চোখের সামনে ইসলামকে এমনভাবে নাচাচ্ছে যে, পথে থেকেও আমরা পথ হারাতে বসেছি। আমি অবশ্যই কোনও তীব্র কটাক্ষমূলক কথা আশা করি না এখানে। কোন পক্ষ থেকেই না, কারো কাছ থেকেই না।

বিশ্ব ইজতেমা শুরুতে ছিল তাবলীগ জামাতের জাতীয় সম্মেলন। পরে তা প্রচুর জনসমাবেশের কারণে বিশ্ব ইজতেমায় পরিণত হয়।
তাহলে ইজতেমার আগে তাবলীগ। তাবলীগ জামাত এসেছে ভারতের দেওবন্দ মাদ্রাসার মতাদর্শ থেকে। এখনো কওমী ধারার মাদ্রাসাগুলো দেওবন্দ মাদ্রাসার আদর্শেই পরিচালিত হয়। তাই তাবলীগের আগে দেওবন্দ মাদ্রাসা।

ভারতের দেওবন্দ মাদ্রাসা অনেক বড় আকৃতির একটা প্রতিষ্ঠান। দেওবন্দ মাদ্রাসা বা কওমী ঘরানা বা তালেবান আন্দোলন বা তাবলীগ জামাত- এটা একটা অবিচ্ছিন্ন মতাদর্শ।

আমাদের সরল জানামতে, দেওবন্দ মাদ্রাসা প্রথমে হানাফি ফিক্বাহ্ বা হানাফি মাজহাবের উপর প্রতিষ্ঠিত একটি সূফিপন্থী সুন্নি মাদ্রাসা ছিল। তখন আরবে ওয়াহাবী আন্দোলনের সূত্রপাত হয়। ব্রিটিশ রাজশক্তির সহায়তায় এর উত্থান। একদিকে বিন আবদুল ওয়াহাব নজদী ধর্ম নিয়ে অন্যদিকে সৌদ গোত্রপতি গোত্রশক্তি নিয়ে এক্ষেত্রে এগিয়ে আসে। তুর্কি খিলাফাত, যা মাজহাবপন্থী ছিল, সেই খিলাফাতের হাত থেকে আরবকে সরিয়ে নিয়ে স্রেফ গোত্রের নামে নামকরণ করা হয় "সৌদি আরব", যা কুরাইশ আরব হলেও বেমানান হতো। আরব এমনকি কুরাইশ গোত্রেরও না, সৌদ গোত্রের হবার তো প্রশ্নই ওঠে না। এটা পুরো সৃষ্টিজগতের।

ভারত থেকে হজ্ব করতে যাওয়া কিছু সংখ্যক ধর্মসচেতন মানুষ তখন সৌদ গোত্রবাদের দখল করা মক্কা ও মদীনায় ধর্মের নতুন পরিবর্তিত ব্যাখ্যা গ্রহণ করেন এবং ফিরে আসেন। দেওবন্দ মাদ্রাসায় সে শিক্ষা স্থান পায় এবং একই সাথে ক্ল্যাসিক্যাল শিক্ষাও পুরোপুরি সরে না। সৃষ্টি হয় নতুন একটি ধারা যা ক্ল্যাসিক্যাল সূফি-মাজহাবপন্থী ধারার পুরোপুরি বাইরেও না, আবার পুরোপুরি সৌদি ওয়াহাবি ধারাও না।

রয়ে যায় একই সাথে পুরনো হানাফি শিক্ষা, সেইসাথে ক্ল্যাসিক্যাল এই ধারার কিছু বিষয়কে "শিরক-বিদআত" বলাটা সাব্যস্ত হয়। পুরনো অনেক বিষয় রাখা হয় আবার অনেক জানাশোনা সুন্নাতকে করে দেয়া হয় রদ।

এক্সট্রিম ওয়াহাবী মতাদর্শ থেকে আসা এমনি এক মত হল, মুসলিমরা শিরকে ডুবে আছে। বলা বাহুল্য, এটা রাসূল দ.'র অনেক হাদীসের সরাসরি বিপরীত। কুরআনের অনেক আয়াতেরও বিপরীত। রাসূল দ. বারবার বলেছেন, তাঁর উম্মাহ্ শিরক করবে এই ভয় তাঁর নেই। এ বিষয়ে নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে যে রাসূল দ.'র পর তাঁর উম্মাহ্ আর শিরক করবে না। কিন্তু তারা ভ্রান্তিতে জড়িয়ে যাবে এবং পরস্পরকে দোষারোপ করবে এই ভয় তাঁর রয়েছে।
দেওবন্দ মাদ্রাসা থেকে এই "শিরক" মতকে গ্রহণ করা হয়। এবং এক্সট্রিম ওয়াহাবি বা সালাফি মতাদর্শের মত করেই "শিরক" কে "বিদআত" এর সমার্থক করে নেয়া হয়।

সবচে কষ্টদায়ক বিষয় হল, মুসলিমদের মধ্যে শিরক এর তকমা আঁটা হয়েছে তাদের উপরে, যারা রাসূল দ.কে ভালবাসার মাধ্যমে এবং নবী-রাসূল-আহলে বাইত-সাহাবা-ওয়ালীগণকে মানার মাধ্যমে ঈমানের শর্ত পূরণ করেন। অর্থাৎ শিরকের কুঠার দিয়ে আঘাত করা হয়েছে খোদ ইসলামেরই ৩৫% হানাফি সহ মোট মুসলিম জনসংখ্যার ৭৫-৮০% মানুষকে। মাজহাবপন্থী ও সূফিপন্থীদের।

রাসূল দ. বলেছেন, তাঁর উম্মাহ'র সিংহভাগ কিয়ামাতের আগ পর্যন্ত পথভ্রষ্ট হবে না। মাজহাবপন্থীদের সংখ্যা এখনো পৃথিবীতে ৭০%। এদের সবাইকে "শিরক-কারী" হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

এটা ছিল মূলত সৌদ গোত্রের সাথে কুরাইশ গোত্রের গোত্রীয় শত্রুতা ও জিঘাংসার ফল। রাসূল দ., তাঁর পরিবার, তাঁর সাহাবীগণ, চার খলিফা- এঁদের প্রতি দৃঢ় আনুগত্য ও সুউচ্চ সম্মান প্রদর্শনের বিশ্বাসকে গোত্রীয় দৃষ্টিকোণ থেকে বিন আবদুল ওয়াহাব নজদী সাব্যস্ত করেন "শিরক" হিসাবে।

মাজহাবপন্থী, সূফি ও শিয়াদের বিশ্বাসকে "শিরক" সাব্যস্ত করার পর এদের কর্মকে সাব্যস্ত করা হয় "বিদআত" হিসাবে।
এভাবে বিশ্বাস ও কর্ম- উভয় দিক ব্যালেন্স করে নিয়ে ওয়াহাবী চরমপন্থী মতবাদের উত্থান ঘটে যেখানে কোনও ইমাম, কোনও মহা মনীষী কাউকে পরিপূর্ণভাবে মানা হয় না বা স্বীকৃতি দেয়া হয় না।
এই চরমপন্থী উত্থানের একটা মধ্যমপন্থী রূপ হল দেওবন্দ মাদ্রাসার মুভমেন্ট।

ক্ল্যাসিক্যাল তথা সূফিপন্থী ও মাজহাবপন্থী মানুষরা দেওবন্দ মুভমেন্টের সাথে একমত নন কারণ এতে ওয়াহাবী এলিমেন্ট খুবই তীব্রভাবে আছে। অপরদিকে সৌদ গোত্রবাদ উদ্ভুত ওয়াহাবী মতবাদ তথা সালাফি-আহলে হাদীস বা "অনলি মুসলিম" মনোভাবের মানুষরাও দেওবন্দ ঘরানাকে একেবারেই গ্রহণ করেন না কারণ এতে সূফি ও হানাফি এলিমেন্টও অত্যন্ত তীব্রভাবে আছে।

তাই আমরা দেখতে পাবো, একই সাথে সালাফি-আহলে হাদীস এবং সূফি-সুন্নি-মাজহাবপন্থী এই দুই বিপরীত মেরু থেকে তাবলীগ জামাতের সমালোচনা করা হয়। মজার ব্যাপার হল, এই সমালোচনা কিন্তু সম্পূর্ণ বিপরীত দোষ ধরে করা হয়।

তাবলীগ জামাতের প্রতিষ্ঠাতা বলেছেন, "লোকে মনে করে আমি নামাজ প্রতিষ্ঠার জন্য দাওয়াতে তাবলীগ প্রতিষ্ঠা করেছি। তা নয়।" আসলে তাদের বিশ্বাস হয়েছিল এমন যে, মানুষের মধ্যে আর তৌহিদ নেই। শিরক ঢুকে গেছে। তাই "মুসলিমদের শিরক" তথা "সোনার পাথর বাটি" দূর করার জন্য দাওয়াতে তাবলীগের প্রতিষ্ঠা। সোনার বাটি থেকে পাথর দূর করতে চাওয়া যেমন অবাস্তব-কল্পনা তেমনি মুসলিমের ভিতর থেকে শিরক দূর করতে চাওয়া অসম্ভব লক্ষ্য।

তাবলীগ জামাতের প্রথম কাজটাই হয় পরিচয় চাওয়া। "মুসলমান ভাই তো?"
হ্যা বোধক উত্তর এলে অদ্ভুত কথা হয় এরপর। "আমরা কালিমার দাওয়াত নিয়ে এসেছি/ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ'র দাওয়াত নিয়ে এসেছি।"
এরচে অদ্ভুত কিছু আর হতে পারে না। মুসলিম ভাইকে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ'র দাওয়াত দেয়ার মত ভ্রান্ত কাজ আর কিছু হতে পারে না। আর লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্ পূর্ণ কালিমা নয়। এটা কালিমার প্রথম অংশ। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ্ দ. হচ্ছে পূর্ণাঙ্গ কালিমা যা বুখারী ও মুসলিম শরীফে অত্যন্ত স্পষ্ট ভাষায় বলা হয়েছে।

-"ইয়া রাসূলআল্লাহ্ দ., লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্ ই কি চাবি নয়?"
"হ্যা, কিন্তু এর খাঁজ রয়েছে।"
আর সেই খাঁজ হচ্ছে মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ্ দ.। যাঁরা ইতোমধ্যেই লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ্ দ. মানেন তাদের মধ্যে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্'র দাওয়াত দেয়া মানে সুস্পষ্টভাবেই মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ্ দ. বাদ দেয়া। বিষয়টা যতই আজব বোধ হোক, এমনি।
ইসলামের প্রতিটা বিষয় থেকে রাসূল দ. কে, তাঁর চার খলিফা রা. কে, তাঁর পরিবার বা আহলে বাইত ও সাহাবী বা আসহাব রা. গণকে আড়াল করার একটা প্রক্রিয়া সব সময় ওয়াহাবী মুভমেন্টে জড়িত ছিল। হাদীস থেকে রাসূল দ.'র সম্মানবাচক তথ্যগুলোকে জয়িফ বলা হচ্ছে। স্বয়ং ইমাম বোখারীর শত শত হাদীসকে, ইমাম মুসলিমের শত শত হাদীসকে, ছয় শুদ্ধগ্রন্থের হাজার হাজার হাদিসকে জয়িফ বলা হচ্ছে। জয়িফ শব্দের অর্থ দুর্বল অথচ এখন জয়িফ ও জালকে একত্রে বলা হচ্ছে অবশেষে জয়িফ ও জালকে সমার্থক বলা হচ্ছে। সবশেষে জয়িফকে এভাবে বলা হচ্ছে, "জয়িফ, অর্থাৎ জাল" যার সরাসরি অর্থ হল, "দুর্বল, অর্থাৎ মৃত।"
এর মূল কারণ গোত্রবাদ ও গোত্রবোধ। গোত্রবাদ কত তীব্র হলে রাসূল দ.'র ভূমিকে কেউ নিজ গোত্রর নামে নামকরণ করতে পারে, নিজ গোত্রপতির নামে নামকরণ করতে পারে!

তাবলীগ জামাত পূর্ণাঙ্গ ওয়াহাবী মুভমেন্ট নয়। পূর্ণাঙ্গ ওয়াহাবী মুভমেন্ট যেখানে ইতোমধ্যে বলছে, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ্ দ. যারা এক বাক্যে পাশাপাশি বলবে তারা মুশরিক (তারেক মনোয়ারের ইউটিউব ভিডিও)সেখানে দেওবন্দী মুভমেন্ট বিষয়টাকে এভাবে দেখছে না ও ব্যবহার করছে না কিন্তু কার্যক্ষেত্রে ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় তেমটাই করছে।

তাবলীগ জামাতে প্রতিনিয়ত যে বিষয়টা শেখানো হয় তা হল, আমরা সর্বত্র শিরকে ডুবে আছি। অকল্পনীয়! একজন মানুষ এ বিশ্বাস করতে পারে যে, তার হামের টিকা দিলে আর হাম হবে না, অথচ সে এ বিশ্বাস কী করে করে যে, রাসূল দ. নিশ্চয়তা দেয়ার পরও মুসলিমরা শিরক করতে পারে!

"এই পোশাকটা আমাকে বাবা দিয়েছেন", বা, "আমি কালকে এ কাজটা করব" এইসব কথাকে তাঁরা শিরক বলছেন। অথচ এই কথাগুলো হল দুর্বল কথা। অপূর্ণাঙ্গ কথা। দুর্বল কথাকে সবচে বড় জুলম শিরক হিসাবে অভিহিত করার মত বোকামি আর কী হতে পারে!

তাবলীগে যুক্ত হওয়া ওয়াহাবী বিশ্বাস বা আক্বিদার মধ্যে সবচে ভয়ানক আক্বিদা হচ্ছে রাসূলুল্লাহ্ দ.'র উম্মাহকে শিরকের দোষে দুষ্ট করা এবং রাসূল দ.'র সম্মান বিষয়ক বিশ্বাসকে "শিরক" ও কাজকে "বিদআত" অভিহিত করা।

এ পোস্টটায় মূলত শুধু একটা দিকেই আলোকপাত করা হল।

বিশ্ব ইজতিমা যদি এড়ানোর বিষয় হয়, তবে তা এজন্য এড়ানোর বিষয়। বিশ্ব ইজতিমায় নামাজ পড়া হয়, মুনাজাত করা হয়, অনেক মানুষ একসাথে আল্লাহর কথা বলেন- এগুলোর কোনটাই সমস্যা না। অর্ধসত্য সব সময় মিথ্যার চেয়ে ভয়ানক। এখন যদি কোন মুসলিমকে এসে কোনও শয়তান পূজারী বলে, আল্লাহ্ সর্বশক্তিমান, আল্লাহ্ স্রষ্টা, তিনিই মালিক কিন্তু লুসিফার আল্লাহর বড় ছেলে, কোনও মুসলিম এ কথায় গলবে না। কিন্তু অর্ধসত্য ভয়ানক। একজন মুসলিম অন্য মুসলিমের ভয়ানক কথাও মেনে নিতে রাজি আছে। কারণ সেখানে নামাজ আছে, রোজা আছে, পাগড়ি আছে, দাঁড়ি টুপি এবং মিসওয়াক আছে। সবই আছে, সেইসাথে মুসলিমদের মুশরিক বলাও আছে! অথচ রাসূল দ. আল্লাহর পক্ষ থেকে নিশ্চয়তা দিয়েছেন যে মুসলিমরা শিরক করতে পারবে না। করবে না। আসলে রাসূল দ. ও তাঁর প্রিয়জনদের ভালবাসাকেই শিরক সাব্যস্ত করার একটা প্রক্রিয়া এটা।

আমি তাবলীগে দুই চিল্লা লাগানো, বহুবার তিনদিন যাওয়া, উচ্চশিক্ষিত, সুউচ্চ তাবলীগ পরিবারের একজনকে চিনি, যে জানে না রাসূল দ.'র রওজা মদীনায় নাকি মক্কায়। কারণ তাবলীগে কখনো সে আলাপ হয়নি, কারণ তার বাসায় কখনো এ আলাপ হয় না। কেন? রাসূল দ. কী সমস্যা?

যেখানে পূর্ণসত্য হল "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ্" সেখানে "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্" ভয়ানক কারণ তাতে "মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ দ." বাদ দেয়ার একটা প্রবণতা স্পষ্ট। আর যেখানে "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্" ভাল সেখানে "লা ইলাহা" ভয়ানক কারণ তাতে আল্লাহ্-ই বাদ পড়ে যান।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৩২
১০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইরান ইসরাইলের আক্রমণ-প্রতি আক্রমণ আর আমাদের সুন্নী-শিয়া মুমিন, অ-মুমিন কড়চা।

লিখেছেন আফলাতুন হায়দার চৌধুরী, ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩০

(ছবি: © আল জাযীরা মিডিয়া নেটওয়ার্ক)

শ্রদ্ধেয় ব্লগার সামিউল ইসলাম বাবু'র স্বাগতম ইরান পোষ্টটিতে কয়েকটি কমেন্ট দেখে এই পোষ্ট টি লিখতে বাধ্য হলাম।
আমি গরীব মানুষ, লেখতে পারিনা। তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৯




আমরা পৃথিবীর একমাত্র জাতী যারা নিজেদের স্বাধীনতার জন্য, নিজস্ব ভাষায় কথা বলার জন্য প্রাণ দিয়েছি। এখানে মুসলিম হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান চাকমা মারমা তথা উপজাতীরা সুখে শান্তিতে বসবাস করে। উপমহাদেশের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্যা লাস্ট ডিফেন্ডারস অফ পলিগ্যামি

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০


পুরুষদের ক্ষেত্রে পলিগ্যামি স্বাভাবিক এবং পুরুষরা একাধিক যৌনসঙ্গী ডিজার্ভ করে, এই মতবাদের পক্ষে ইদানিং বেশ শোর উঠেছে। খুবই ভালো একটা প্রস্তাব। পুরুষের না কি ৫০ এও ভরা যৌবন থাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার প্রিয় কাকুর দেশে (ছবি ব্লগ) :#gt

লিখেছেন জুন, ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৩



অনেক অনেক দিন পর ব্লগ লিখতে বসলাম। গতকাল আমার প্রিয় কাকুর দেশে এসে পৌছালাম। এখন আছি নিউইয়র্কে। এরপরের গন্তব্য ন্যাশভিল তারপর টরেন্টো তারপর সাস্কাচুয়ান, তারপর ইনশাআল্লাহ ঢাকা। এত লম্বা... ...বাকিটুকু পড়ুন

যেরত

লিখেছেন রাসেল রুশো, ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:০৬

এবারও তো হবে ইদ তোমাদের ছাড়া
অথচ আমার কানে বাজছে না নসিহত
কীভাবে কোন পথে গেলে নমাজ হবে পরিপাটি
কোন পায়ে বের হলে ফেরেশতা করবে সালাম
আমার নামতার খাতায় লিখে রেখেছি পুরোনো তালিম
দেখে দেখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×