somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অনুগল্প - যৌনাবেগ - গৃহশিক্ষক এবং

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

(১)

-ইমাদ তোমার আম্মুকে একটু ডাক দাও
-কেন স্যার ?
-কথা বলবো ।
-কি কথা বলবেন স্যার ?
-একটা জরুরী কথা বলবো
-জরুরী কথাটা কি স্যার ?
-সেটা তোমার আম্মুকেই বলতে চাচ্ছিলাম । তুমি কি উনাকে ডাক দিতে পারবে ?

ইমাদ প্রশ্ন ছাড়া কথা বলতে পারে না । ক্লাস থ্রিতে পড়া ইমাদের যেকোন বাক্য শুরু হয় কি বা কেন দিয়ে । ফায়েজ মাঝে মাঝে ধৈর্য হারিয়ে ফেলে । ইচ্ছে হয় বাচ্চার কান বরাবর এক চটকানা দিয়ে বয়ড়া বানিয়ে দিতে । ফায়েজের হাজারো অপূর্ণ ইচ্ছার মতো এই ইচ্ছাও অপূর্ণ থেকে যায় । স্টুডেন্টদের কানে চটকানা দেয়া তার পক্ষে সম্ভব নয় । চটকানা দেয়া দূর হস্ত সে এখন পর্যন্ত তার কোন স্টুডেন্টকে উচ্চস্বরে ধমক দেয়নি । কোনকারণে প্রচণ্ড বিরক্ত হলেও ফায়েজ বিরক্তি গিলে দুপাশের গাল ঈষৎ ফুলিয়ে ঝকঝকে দাঁত দেখিয়ে হাসার অভিনয় করে যায় । যে ছেলের স্টুডেন্ট পড়িয়ে মাস চালাতে হয় তার বিরক্ত হওয়া মানায় না ।


--ও মা ! তুমি তো পুডিং শেষ করোনি । পুডিংটা নিজ হাতে বানিয়েছিলাম । খেতে বাজে হয়েছে , তাই না ?
--না না । তা হবে কেন । আসলে সকালের দিকে একটু ফুড পয়জনিং এর মতো হয়েছিল তো তাই আর পুডিং মানে খাইনি । ফায়েজ ভালো বিব্রত । কি বলবে সে বুঝতে পারছে না

পয়জনিং ময়জনিং কিচ্ছু না । ঘটনা হচ্ছে মেসে প্রতিদিন সকাল রাত দুই বেলা ডিম তরকারির স্বাদ নিতে নিতে ডিম জিনিসটার প্রতি ফায়েজের চরম অনীহা এসে গেছে । আজকেও মিলে গিয়ে দেখে এক ড্রাম ঝোলের মধ্যে অর্ধেক মুরগীর ডিম উঁকি দিচ্ছে । দূর ছাতা বলে সে আর ডাইনিং এ ই বসেনি । ফায়েজ আশায় ছিল ইমাদদের বাসায় আজ বিকালের স্পেশাল কোন নাস্তায় সে তার ক্ষুধা মিটিয়ে নিবে । বড়লোকের বাচ্চাদের পড়ানোর এই এক বিশাল সুবিধা । নিত্যদিন প্লেটভর্তি মুখরোচক খাবার পাওয়া যায় ।

কপালের লিখন , না যায় ডিম খণ্ডন ।
ইমাদদের বুয়া আম্বিয়ার মা যখন টেবিলে প্লেটে চারপিস পুডিং সাজিয়ে দিয়ে গেল সেটা দেখে ফায়েজের কেমন যেনো বমি বমি ভাব হচ্ছিল । মনে হচ্ছিল একপিস পুডিং মুখে দিলেই ঘর ভাসিয়ে বমি হয়ে যাবে । কিন্তু এখন শিরিন সুলতানার প্রশ্ন শুনে ফায়েজ কিছুটা “ কি হবে , কি হবে “ অবস্থায় পড়ে গেছে । স্টুডেন্টের মা যদি ভেবে বসেন তার বানানো পুডিং খেতে খারাপ হয়তো সেটা ফায়েজের মাসের শেষ তারিখে পাঁচ হাজার টাকা উপার্জনের উপর আকস্মিক প্রভাব ফেলতে পারে ।


ইমাদের মা শিরিন সুলতানা টেবিলে কাছে দাড়িয়ে । তিনি ভুরু কুঁচকে পুডিং এর প্লেটের দিকে তাকিয়ে আছেন । ফায়েজ বুঝতে পারছে না তিনি রেগে আছেন কিনা । এর আগে শিরিন সুলতানার বানানো সব অখাদ্য ফায়েজ গিলেছে । আজকের চারপিস পুডিং এর জন্য কি তিনি ছেলের টিচার হিসেবে ফায়েজকে নট করে দিবেন ? অসম্ভব নয় । কোটিপতির আকর্ষণীয় সুন্দরী স্ত্রীদের পক্ষে কোন কিছুই অসম্ভব নয় ।

ফায়েজ এইসব ভাবতে ভাবতেই এক পিস পুডিং মুখে পুরে নিল ।
শিরিন সুলতানা অবাক হয়ে বলল – করছো কি ! তুমি আবার পুডিং মুখে দিচ্ছো কেন । ফেলে দাও । আমি বুয়াকে তোমার জন্য বেলের শরবত নিয়ে আসতে বলছি । ফুড পয়জিং এ বেলের শরবত উপকারী ।
শিরিন সুলতানা ফায়েজকে কিছু বলার সুযোগ না আম্বিয়ার মা , আম্বিয়ার মা বলতে বলতে চলে গেলেন ।


ফায়েজ লজ্জা পাচ্ছে । তার মতো ছাপোষা মানুষকে কেউ গুরুত্ব দিলে তার লজ্জা লাগে ।
কিছুক্ষণের মধ্যে বড় এক গ্লাসে আম্বিয়ার মা বেলের শরবত দিয়ে গেল । ফায়েজ চুকচুক করে বরফ কুঁচি মেশানো বেলের শরবত খাচ্ছে । বেলের শরবত এতো সুস্বাদু কবে থেকে হল ! ফায়েজ বাড়িতে বেলের শরবত খেয়েছে । তখন ভালো লাগত না । ছাবা ছাবা আঁশ থাকতো , টপাক করে বিচি পেটে ডুকে যেত । কেমন যেন কটু গন্ধ । কিন্তু আজকের বেল মনে হয় বাইরের দেশের । ফ্লেবারটা অন্য রকম । স্বাদটাও দারুন ।

শরবত শেষ করে গ্লাস টেবিলে রাখার মুহূর্তেই শিরিন সুলতানা আসলেন । তিনি ফায়েজের মুখোমুখি সোফায় গা এগিয়ে দিলেন । ফায়েজ লক্ষ্য করেছে ভদ্রমহিলার সব কিছুতেই আভিজাত্য প্রকাশ পায় । এই যে উনি যে বসেছেন মনে হচ্ছে মুঘল সাম্রাজ্যের মধ্যবয়সী কোন সম্রাজ্ঞী চারিদিক দূতি ছড়িয়ে সিংহাসন অধিকার করে আছেন ।

--ইমাদ বলল , তুমি নাকি জরুরী কি বলবে ? কি ? শিরিন সুলতানা কৌতূহলী ।
-- না , মানে গতকাল আমার বেতনের খামে ৫০০ টাকা বেশি এসে গিয়েছিল । ফায়েজ মানিব্যাগ হাতে নিয়ে ৫০০ টাকার একটা চকচকে নোট টেবিলের উপর রাখলো ।

শিরিন সুলতানা মুচকি হেসে বলল – এইটা আবার ফেরত দিতে হয় নাকি ? বোকা ! হয়তো ভুলে চলে গেছে । রেখে দাও । তোমার কাজে লাগবে ।

ফায়েজ টাকাটা হাতে নিল না । তেমনি বসে রইলো । শিরিন সুলতানাও কোন কথা বলছে না । তিনি ঘাড় আলতো বাঁকা করে ফায়েজকে দেখছেন ।

ফায়েজ গতকাল মেসে ফিরে বেতনের খাম খুলে যখন ৫০০ টাকা অতিরিক্ত আবিষ্কার করে , মনে মনে সে খুশি ই হয়েছিল ।

হিসাব করে মাস পাড় করা ফায়েজদের জন্য অতিরিক্ত ৫০০ টাকা অবশ্যই আশীর্বাদক । কিন্তু পরক্ষনেও ফায়েজের মনে হল ৫০০ টাকাটা তার ফেরত দেয়া দরকার । এমনও তো হতে পারে ৫০০ টাকার নোট ইচ্ছাকৃতভাবে তার খামে এসেছে । বড়লোকদের অনেক খেয়ালের ভিতর এইটাও একটা খেয়াল । তাদের বাচ্চাকে পড়ানো গৃহশিক্ষক কতোটা লোভী ৫০০ টাকা অতিরিক্তভাবে খামে ভরে সেটা পরীক্ষার করা হচ্ছে না , এই গ্যারান্টি কে দিবে ? এই পরীক্ষায় যদি ফায়েজ ফেল করে তবে হয়তো তাকে আর ইমাদের শিক্ষকদের লিস্টে রাখা হবে না । পাঁচ হাজার টাকার কাছে পাঁচশ থাকা জলাঞ্জলি দেয়া সে ক্ষেত্রে কিছুই না ।

কে জানে এই খেয়ালি পরীক্ষায় পাস করলে ফায়েজকে হয়তো আরও বড় কোন পুরস্কার দেয়া হতে পারে । বিত্তবানদের হাতেই স্বর্গ থাকে , এই শহরে ধাক্কা খেয়ে ফায়েজ এই সত্য ভালমতোই শিখেছে ।

নীরবতা ভাঙলেন শিরিন সুলতানা । তিনি কিছুটা কৌতুকের ঢঙে ফায়েজকে বললেন
– ঠিক আছে , তুমি যদি ৫০০ টাকা বিনাকারনে নিতে না চাও , তবে আমার ছোট্ট একটা কাজ করে দাও । পারবে ?
ফায়েজ ঘাড় কাঁত করে জানালো – সে পারবে ।

শিরিন সুলতানা ঠোঁট বাঁকিয়ে হাসলেন । ভিতরের রুমে চলে যাওয়ার দুই মিনিটের মাথায় তিনি কালো প্যাকেট হাতে ফিরলেন । এবার তিনি ফায়েজের বিপরীত সোফায় না বসে বসেছেন ঠিক তার পাশের সোফায় । ভদ্রমহিলার গা থেকে বিদেশী কোন পারফিউমের হালকা সুবাস আসছে ।

শিরিন সুলতানা ফায়েজের চোখে সরাসরি তাকিয়ে বললেন –
--ধানমন্ডীর সাতের শওকত শপিং মলের দ্বিতীয়তলায়
জোনাকি লেডিস হাউজ থেকে এই প্যাকেট এক্সচেঞ্জ করে আনতে হবে । তাদের বলবে কালোর বদলে সেইম সাইজের লালটা দিতে । রিসিট ভিতরে আছে । চেক করে নিও । তুমি ক্যাবে যাবে , ক্যাবে আসবে । ট্যাক্সি ভাড়ায় টেবিলের ঐ ৫০০ টাকা খরচ হয়ে যাবে । এখন রওনা দিলে ৭ টার মাঝে ফিরে আসতে পারবে ।

ফায়েজ জি আচ্ছা বলে উঠে দাঁড়ালো । দরজা পর্যন্ত এগিয়ে আসলেন শিরিন সুলতানা নিজে । দরজা আটকানোর সময় তিনি মৃদুস্বরে উচ্চারণ করলেন – আমি অপেক্ষায় থাকবো ।

ফায়েজ রাস্তায় নামলো । গলির শেষ মাথায় একটা ইয়েলো ক্যাব । আপডাউন হিসেবে তাতে উঠে বসলো । ক্যাব চলছে ধানমণ্ডির উদ্দেশ্যে । রাস্তার মাঝখানে একবার দোকান থেকে দুইটা বেনসন কিনে নিল । তারপর আরামসে সিটে হেলান দিয়ে অনেকদিন পর বেনসনে কষে টান লাগাল ।

ফায়েজ নিজের বিচক্ষণতায় নিজেই মুগ্ধ । তার ধারনা সত্য হচ্ছে । ৫০০ টাকার বিনিময়ে বড় কোন অপরচুনেটি শীঘ্রই তার কপালে আসচ্ছে । ইমাদদের পয়সার অভাব নেই । বেশ কিছু বড় কোম্পানির সরাসরি অংশীদার তারা । আছে হাউজিং প্রপার্টির বিজনেস । ফায়েজ যদি ঠিকমতো তাদের ফ্যামিলির সার্ভিস দিতে পারে তবে ভবিষ্যতে গৃহশিক্ষককের ছাইপাস অবস্থান থেকে ভালো চাকুরী সময়ের ব্যাপার হবে । শিরিন সুলতানার একটা ফোনকল চাকুরী পাওয়ার জন্য যথেষ্ট । ফায়েজ ভিতরে ভিতরে দারুন উত্তেজনা অনুভব করছে । উত্তেজনায় সে বা পা ঝাঁকায় । আজকে বাঁ পা’র ঝাঁকুনিতে ভুমিকম্প না ঘটলেই হয় ।

সিগারেটে শেষ টান দিয়ে ফায়েজ প্যাকেটের দিকে তাকালো । শিরিন সুলতানা বলেছিলেন ভিতরে রিসিট আছে । রিসিট চেক করতে ফায়েজ প্যাকেটের ভিতর হাত দিয়ে জমে গেল । বিস্ফোরিত চোখে সে প্যাকেট থেকে বের করে আনলো সাদা রঙের একটি ব্রা । সাইজ লিখা 36 DD


ফায়েজের মাথা ঝিম ঝিম করছে । প্রচুর ঘাম হচ্ছে । ফায়েজ বুঝতে পারছে তার সাদা কান টকটকে লাল হয়ে আসছে ।
ফায়েজের মোবাইল বের করে দেখল আজ মঙ্গলবার । আজ ৭ টায় ইমাদের ক্যারাটে ক্লাস । আম্বিয়ার মা তাকে সেখানে নিয়ে যায় । প্রতি মঙ্গলবার । ফায়েজ এইটাও জানে ইমাদের বাবা গত পরশু সিঙ্গাপুর গিয়েছেন । আসবেন নেক্সট উইক । ফায়েজের কানে বেজে যাচ্ছে শিরিন সুলতানার মৃদুস্বরে বলা কথাটি – আমি অপেক্ষায় থাকবো ।

ইয়োলে ক্যাব শওকত শপিং মলের নীচে ব্রেক কষলো । দোতলায় জোনাকি লেডিস হাউজ । ফায়েজ ক্যাব থেকে নেমে সোজা দোতলায় উঠবার সিঁড়ি বরাবর এগিয়ে যাচ্ছে ।


(২)

দীর্ঘক্ষন অপেক্ষা করেছেন ইয়োলো ক্যাব চালক মতিন মিয়া । ঘড়িতে ৭ টা বেজে গেছে । আর অপেক্ষা করা যায় না । ক্যাব জমা দিতে হবে । কিছু বাটপারের জন্য মাঝে মাঝে এমন খারাপ দিন যায় । আজ মতিন মিয়ার তেমনি এক খারাপ দিন । ভাড়াটা মাইর গেল । নাম না জানা ঐ যুবক প্যাসেঞ্জারের উদ্দেশ্যের তিনি বিশ্রী একটা খিস্তি দিয়ে ইঞ্জিন স্টার্ট দিয়ে তিনি চললেন গ্যারেজে । গ্যারেজে ক্যাব রেখে ওস্তাদের হাতে চাবি গাড়ি জমা দেয়ার আগে তিনি পিছনের সিটে কিছু পড়ে থাকতে দেখলেন । দরজা খুলে পিছনের সিট থেকে মতিন মিয়া একটা কালো প্যাকেট উদ্ধার করলেন ।
প্যাকেটের ভিতরে ছিল সাদা রঙের ব্রা আর ৫০০ টাকার চকচকে একটি নোট ।


=============================================

অনুগল্প - যৌনাবেগ - পুলিশ ইন অ্যাকশন

সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:১৪
৩০টি মন্তব্য ২৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×