পোষ্ট ন্যাটাল ওয়ার্ড ( যেখানে বাচ্চা জন্মের পর কোন সমস্যা হলে মা ও বাচ্চাকে রেখে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়।), গাইনি ডিপার্টমেন্ট, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ। যেখান থেকে প্রতিদিন গড়ে ৬/৭ জন মা তাঁর বাচ্চাকে নিয়ে সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরে যান।
,
মালেকা বানু। পোষ্ট ন্যাটাল ওয়ার্ডের আয়া। সে রোগীর দেখভাল করে। প্রতিদিন যখন এখান থেকে রোগী বাসায় যায় তখন সে না চাইতেই রোগীর গার্জিয়ান তাঁকে ৫০০-১০০০ /= টাকা বখশিস দেন। কারণ হলো বাচ্চাও সুস্থ আছে, মা ও সুস্থ আছে।তাই সবার মন আনন্দে ভরপুর। ৫০০-১০০০/= টাকা কোন বিষয়ই না। এখন যদি প্রতিদিন ৬ জনও রিলিজ হয় তাহলে টোটাল টাকা হবে ৬*৫০০=৩০০০/=। তবে সব টাকা সে পায়না। কারন, এখানে আরো একজন আয়া আছে, হাসনাবানু। অর্থাৎ, তাঁরা প্রত্যেকেই প্রতিদিন গড়ে ১৫০০/= টাকা করে বখশিস পায়। তাহলে মাস শেষে একেকজন পায় ১৫০০*৩০=৪৫,০০০/= টাকা।আর তাদের সরকারী বেতন ধরলাম ৫০০০ টাকা। অর্থাৎ তাদের মাসিক ইনকাম ৫০,০০০/= টাকা।
,
সিয়াম। ইন্টার্ন ডক্টর। তাঁর প্লেসমেন্ট এখন গাইনিতে। তাঁর সরকারী বেতন ( এটাকে আসলে বেতন বলা ঠিক না। বলা চলে একধরনের ফাইজলামি।) সর্বসাকুল্যে দশহাজার টাকা। সামনে ঈদ। বোনাস বলতে কোন জিনিস তাঁর জন্য বরাদ্দ নাই। যে আয়াগুলো সারাদিন তাকে স্যার স্যার করে ডাকে তাদের ইনকাম দেখে সে মনে মনে ভাবে " ও চাচা, ঢাকা কতদূর??"( অর্থাৎ কবে সে এমন রোজগার করতে পারবে??)
,
বিঃদ্রঃ আয়া ইনকাম করতেছে সেজন্য তাঁর মনে কোন ক্ষেদ নেই। ক্ষেদ তাঁর নিজের প্রফেশনের উপর, সরকারের(ফাইজলামির) উপর।