মুক্তিযুদ্ধের চেতনা VS ধর্মীয় চেতনা। আগ্রাসী সাম্রাজ্যবাদী শক্তির তৈরী করে দেওয়া এই দ্বৈরথের এজেন্ট হিসেবে যতদিন আমরা সক্রিয় থাকব ততদিন আমরা আসলেই সত্যিকার অর্থে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব না।
আমার কিছুতেই একটা কথা বুঝে আসেনা , মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কোথায় বলা আছে যে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালন করতে হলে পার্টিকুলার একটা ধর্মের ছোট-খাটো কোন গুরু নয় সরাসরি সেই ধর্মের প্রবর্তককে গালি-গালাজ করতে হবে?? একেবারে অশ্রাব্য ভাষায় তাঁকে নিয়ে বই লিখতে হবে?? মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বলতে আমি বুঝি সবকিছুর আগে দেশপ্রেম। ভাইরে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার দোহাই দিয়ে যেই মানুষটাকে আপনারা গালি-গালাজ করছেন, সেই মানুষটাই তাঁর অনুসারীদের শিখিয়েছেন, "দেশপ্রেম ঈমানের অঙ্গ।" ৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধে যারা যুদ্ধ করেছিলেন তাঁদের ৯৫% ই এই মানুষটার অনুসারী আর ৫% ছিলেন অন্যান্য ধর্মের( বিশেষ করে হিন্দুধর্মের) অনুসারী। আর চেতনাজীবীদের সংখ্যা ০.০%। তাহলে আজ কেন চেতনাজীবীরা বলছেন, " অভিজিৎ রায়রা হারলে, হারবে বাংলাদেশ? " ভাইরে বাংলাদেশেরর জয়ে অভিজিৎদের ভূমিকা কখনো ছিলোই না। আজ ব-দ্বীপ প্রকাশনী বন্ধ হলে কেন আপনাদের চেতনাদন্ড লাফিয়ে ওঠে? ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে তো এই চেতনাদন্ডটা লাফিয়ে ওঠেনি??
ধর্ম বিশাল একটা ব্যাপার। হোক সেটা মুসলিম বা হিন্দু বা খ্রীষ্টান ধর্ম। প্রতিটা ধর্মই অনেকগুলো চেতনার সমন্বয়ে গঠিত। তারমধ্যে দেশপ্রেম তথা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা অন্যতম একটা চেতনা। তাহলে হাল আমলের তথাকথিত চেতনাজীবী ভাইয়েরা আমার কেন আপনারা এই মুক্তিযুদ্ধেরর চেতনা আর ধর্মীয় চেতনাটাকে মুখোমুখি দাড় করিয়ে শান্তিকামী বাঙ্গালী জাতীর মধ্যে বিভাজন তৈরী করছেন?? কার স্বার্থে? কোন আগ্রাসী সাম্রাজ্যবাদী শক্তির স্বার্থে এসব করছেন?? ভাইরে এখনো সময় আছে, চোখ থেকে টিনের চশমাটা খোলেন।খালি চোখে পরিষ্কার হৃদয়ে প্রিয় মাতৃভূমিটাকে একবার দেখেন। চেতনাপ্রেমিক না হয়ে দেশপ্রেমিক হোন।