somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

~~~অন্যায়ের আস্তাবল~~~

২৫ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ২:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

♦أَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الشِّيْطَانِ الرَّجِيْمِ (বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহ্'র নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি)
♦بِسْمِ ٱللَّٰهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ (পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহ্'র নামে)
♦ٱلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ (আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক)


(ছবি নেট হতে নিয়ে এডিট করা)

প্রিয় আভী,
জানি দুঃখ-সুখে মিলেমিশে আছো।
প্রিয় ছবি আপু,
তবু অজ্ঞাণেরে মূল্যবাণ জ্ঞাণ দিয়াছো।

জানি তোমার এই জ্ঞাণ বিলোনো অনেকের সয় না,
কি করে সইবে? উচিৎ কথা বন্ধু যে মেনে লয় না!
তবুও নিজের কর্তব্য আর দায়িত্ব করিতে পালন,
অমূল্য জ্ঞাণের ভান্ডার দিয়াছো করিয়া উন্মোচন।
কবি বলেন, "বিশ্বাসে মিলায় বস্তু, তর্কে বহুদূর",
সেই মহাবাণী অন্তরে ধরি তুলিছো তৃপ্তির ঢেকুর।
মহাণ স্রষ্টার প্রেম সাগরে নিজেরে দিয়াছো শপি,
তোমার মতো যে পারিনা, এই আমি মহা পাপী!
তোমার মত করে মন বড় চায় শাশ্বত বাণী বলি,
কিন্তু আমি, "পাছে লোকে কি বলে!" শুনে চলি!
তাই চলতে গিয়েও থেমে যাই হোঁচট খেয়ে অল্প,
এভাবে শুরু হলেও শেষ হয় না আমার বলা গল্প।
ভাবি এটাই শেষ লিখা, কিন্তু জানি না কেমন করে,
লেখা আমি ছাড়লেও লেখা যে ছাড়েনা আমারে।
বারেবারে টেনে-হিঁচড়ে আনে, কিছু লিখতে দেয় তাড়া,
কিন্তু যখন লিখতে বসি তখন বিবেক যে দেয় নাড়া!
চারদিকে চেয়ে দেখি বসে আছি অন্যায়ের আস্তাবলে,
তখন আর পারিনা কানে দিতে "পাছে লোকে কি বলে!"
কলম হয়ে যায় বিদ্রোহী কিন্তু বুঝেনা বিদ্রোহের নীতি,
লিখে ফেলে মনে যা আসে তাই ভুলে যায় প্রেম-প্রীতি।
চারদিকের ন্যয়-নীতিহীণতায় করে তুলে যে বেশামাল,
তখন আর থাকে না দিক ঠিক, বা লিখার হাল-চাল।
ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় চলে আসে তা, যা ছিলোনা লক্ষ্যে,
বিদীর্ণ করিয়া হাজারো কুঠার তখন চলে এই বক্ষে।
তাই সর্বশক্তি দিয়া নিজেরে বাঁধিয়া রাখিতে চাই আমি,
পাগল মনেরে কতো বুঝাই, আমার লিখা নয় তত দামি।
কোনো ক্ষতি হবেনা দেশ বা দশের, আমি না কলম ধরিলে,
কোনো মাখলুক রাখিবে না মনে, এই আমি অধম মরিলে।
কিন্তু ঐ যে "পাছে লোকে কি বলে!" তাতে মোর পিছুটান,
তাইতো বারবার লিখবোনা করেও হঠাৎ লিখি ভুলে মান।
পাছে লোকের খোঁচা খেতে খেতে যখন হয়ে যাই ক্লান্ত,
তখনই হঠাৎ ঘুরিয়া দাঁড়ায় সে মন, যা দুঃখ ভরাক্রান্ত।
তখন আবার কথিত সুশীল সমাজ হয়ে উঠে সোচ্চার,
যুক্তি খন্ডন পূর্বাচরণের, করিতে পূর্বের আচার বিচার।
কিন্তু যখন নীরবে চালিয়েছে মনেতে বিষের তরবারি,
তখন যে সুশীলদের ঘুম ছিলো বড্ড গভীর আর ভারি।
এসব যাতনা সইতে পারিনা, কইতে পারিনা মন খুলে,
তাইতো ভুলের পর শুধু ভুলই হয়ে চলে, ভুলেরই ফলে।
এই সুযোগে দ্বীনহীণে কয় দ্বীন নিয়া যতো মনগড়া কথা,
তখন সেই বিদগ্ধ মন আরো বিদগ্ধ, সইতে পারিনা ব্যাথা।
তাই বারবার চাই সব ছাড়িয়া যাইতে, না ফেরার ঐ দেশে,
আমার স্থান পূরণ নিশ্চই করিবে কেউ না কেউ ঠিক এসে।
ঘুনে ধরা এই সমাজের সংস্কারে নাই থাক মোর অবদান,
আগামী না জানুক মোর এই ভুলগাঁথা, না করুক অভিমান।
তোমরাও ভুলে যেও এই অধমেরে, রাখিওনা মনে আর ধরি,
তোমাদের মাঝে আমি চাইনা বাঁচিতে, নিয়া পাপের বোঝা ভারি।
তোমরা সদা থাকো সুখে, দুঃখ সব দিয়ে মোর বুকে কবর,
আগামী প্রজন্মেরে দিও না জানিতে, এই পাপী অধমের খবর।
তলাইয়া যাইতে মোরে করো সাহায্য এই অন্যায়ের আস্তাবলে,
এখানে মরে বেঁচে থাকা বড্ড কঠিন, যে কোনো ছল আর কৌশলে!



পুনশ্চ: কবিতাটি আভী তথা "কজী ফাতেমা ছবি" আপাকে উৎসর্গ করা যাতে সামগ্রিকভাবে ভাব প্রকাশ করা হয়েছে। আমার পূর্বের অনেক পোস্টে অনেক প্রিয় এবং শ্রদ্ধেয় ভাই ও আপাদের কমেন্ট ছিলো যার উত্তর করা হয়নি তারজন্য আন্তরিকভাবে ক্ষমা চাচ্ছি। সত্যি বলতে এই ব্লগ হতে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছি ঠিক, কিন্তু কিছু প্রিয় মানুষকে মন হতে গুটাতে পারছি না। সে সম্পর্কে বিস্তারিত ভবিষ্যতে বলবো ইনশাল্লাহ্। আর আমার স্টাইলে শুরুতে ধর্মীয় বিষয় যুক্ত করাটা যাদের কষ্ট দেয় তাদের কাছে আন্তরিকভাবে অনুরোধ থাকবে আমার লিখা এড়িয়ে যাবার। আমি ব্লকলিস্ট আর ভারি করতে চাইনা। আমার ভীষণ কষ্ট হয়।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ২:৩৪
১৪টি মন্তব্য ১৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=বেনারসী রঙে সাজিয়ে দিলাম চায়ের আসর=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫২



©কাজী ফাতেমা ছবি
মনে কি পড়ে সেই স্মৃতিময় সময়, সেই লাজুক লাজুক দিন,
যেদিন তুমি আমি ভেবেছিলাম এ আমাদের সুদিন,
আহা খয়েরী চা রঙা টিপ কপালে, বউ সাজানো ক্ষণ,
এমন রঙবাহারী আসর,সাজিয়েছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিজ্ঞানময় গ্রন্থ!

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪২

একটু আগে জনৈক ব্লগারের একটি পোস্টে কমেন্ট করেছিলাম, কমেন্ট করার পর দেখি বেশ বড় একটি কমেন্ট হয়ে গেছে, তাই ভাবলাম জনস্বার্থে কমেন্ট'টি পোস্ট আকারে শেয়ার করি :-P । তাছাড়া বেশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

অস্ট্রেলিয়ার গল্প ২০২৪-৪

লিখেছেন শায়মা, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৫


চলে যাবার দিন ঘনিয়ে আসছিলো। ফুরিয়ে আসছিলো ছুটি। ছোট থেকেই দুদিনের জন্য কোথাও গেলেও ফিরে আসার সময় মানে বিদায় বেলা আমার কাছে বড়ই বেদনাদায়ক। সেদিন চ্যাটসউডের স্ট্রিট ফুড... ...বাকিটুকু পড়ুন

আপনি কি বেদ, উপনিষদ, পুরাণ, ঋগ্বেদ এর তত্ত্ব বিশ্বাস করেন?

লিখেছেন শেরজা তপন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫২


ব্লগে কেন বারবার কোরআন ও ইসলামকে টেনে আনা হয়? আর এই ধর্ম বিশ্বাসকে নিয়েই তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে সবাই? অন্য ধর্ম কেন ব্লগে তেমন আলোচনা হয় না? আমাদের ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ‘অন্তরবাসিনী’ উপন্যাসের নায়িকাকে একদিন দেখতে গেলাম

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৫

যে মেয়েকে নিয়ে ‘অন্তরবাসিনী’ উপন্যাসটি লিখেছিলাম, তার নাম ভুলে গেছি। এ গল্প শেষ করার আগে তার নাম মনে পড়বে কিনা জানি না। গল্পের খাতিরে ওর নাম ‘অ’ ধরে নিচ্ছি।

... ...বাকিটুকু পড়ুন

×