somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কিছু নিরস কৌতুক

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:১১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

♦أَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الشِّيْطَانِ الرَّجِيْمِ (বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহ্'র নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি)
♦بِسْمِ ٱللَّٰهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ (পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহ্'র নামে)
♦ٱلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ (আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক)


(ছবি নেট হতে)

আজ সংগ্রহের ঝাঁপি হতে ডায়াবেটিকধারী রাজনীতিপ্রেমীগণের জন্যে কিছু নজরানা নিয়ে উপস্থিত হলাম যার অনেকগুলোই হাই-থট। তাই রাজনৈতিক জ্ঞাণ আবশ্যক….. :P


এক নিরেট ভদ্রলোক ভোটে দাঁড়ালেন। ভদ্রলোকটি ভোটে হারার পর তাঁকে প্রশ্ন করা হলো, ‘আচ্ছা দাদা, আপনি কত ভোট পেয়েছেন? লোকটি উত্তর দিল, ‘তিনশ এক।’
‘তা আপনি তো জানতেন যে কিছুতেই ওনার বিপরীতে জিততে পারবেন না, তাহলে দাঁড়ালেন কেন?’
লোকটি শান্ত গলায় উত্তর দিলেন, ‘আমি ভোটে জিতবার জন্যতো দাঁড়াইনি, আমি শুধু দেখতে চেয়েছিলাম এই শহরে কত বোকা লোক আছে!’
=p~


নেতা পার্টির সভায় যোগ দিতে এসেই টেবিলের ওপর একটা চিরকুট পেলেন, তাতে লেখা—"বলদ!"
বক্তৃতা দেবার সময় তিনি বললেন, ‘এমন অনেক উদাহরণ আছে—মানুষ চিঠি লিখে তার তলায় নিজের নাম সই করতে ভুলে যায়। কিন্তু আজ আমি একটা নতুন জিনিস দেখলাম। এখানে এসে আমি একটা চিঠি পেলাম, তাতে লেখক নিজের নাম স্বাক্ষর করেছেন কিন্তু আসল চিঠিটাই লিখতে ভুলে গেছেন।
=p~


-‘বিশ্বাসঘাতক কাকে বলে স্যার?’
-‘জানো না? আমাদের দল ছেড়ে যারা অন্য দলে যোগ দেয়, তারা বিশ্বাসঘাতক।'
-‘আর যারা অন্য দল ছেড়ে দিয়ে আমাদের দলে যোগ দেয়?’
-‘তারা দেশপ্রেমিক।’
=p~


এক লোক প্রতিদিন বারে যায় মদ খেতে। তবে খাওয়া শুরু করার আগে দেশের কুখ্যাত এক রাজনীতিবিদের ছবি সামনে রেখে পেগের পর পেগ খেতে থাকে। তো একদিন বারের ওয়েটার কৌতূহলী হয়ে জানতে চাইল, ‘স্যার প্রতিদিন ঐ লোকটার ছবি সামনে রেখে পান করেন কেন?’
লোকটি বলল, ‘যখন ঐ বাজে লোকটাকে ফেরেস্তা মনে হতে থাকে তখনই বুঝে যাই আমার নেশা হয়েছে আর খাওয়া ঠিক না?’
=p~


হরতালের দিন দেখা গেল হরতাল ডাকা এক ছোটখাটো নেতা ঘরে দিবানিদ্রা দিচ্ছে। তার দাদা এ দৃশ্য দেখে ছি ছি করে উঠলেন।
-‘এই তোদের রাজনীতির ছিরি? হরতাল ডেকে ঘরে ঘুমাচ্ছিস? রাজনীতি করতাম আমরা... সেই সময় জীবনটা তো জেলে জেলেই কাটিয়ে দিলাম...’
-‘জেলে কী করতে তখন?’
-‘কী আর করব, ঘুমাতাম।’
-‘আমিও তো ঘুমাচ্ছি’... বলে ফের শুয়ে নাক ডাকতে লাগল।
=p~


এক তরুণ রাজনীতিতে যোগ দিতে এলে তাকে জিজ্ঞেস করা হলো,
-‘কী চাই?’
-‘আমি গণতন্ত্রে বিশ্বাসী।’
-‘সেক্ষেত্রে আমরা কী করতে পারি?’
-‘মানে... আমি গণতান্ত্রিক রাজনীতি করতে চাই, কার সাথে কথা বলব?’
-‘কেনো? সাইকিয়াট্রিস্টের সঙ্গে।’
=p~


দুই গবেষক কথা বলছে—
-‘আচ্ছা সমাজতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা মার্কস, এঙ্গেলস আর লেনিনকে কি আমরা বিজ্ঞানী বলতে পারি?’
-‘কখনোই না।’
-‘কেন?’
-‘কারণ বিজ্ঞানীরা তাদের ধারণা প্রথম প্রয়োগ করেন গিনিপিগের উপর। মানুষের উপর নয়।’
=p~


-‘আচ্ছা কোনো দৈনিক পত্রিকা দিয়ে কি একটা আস্ত হাতি মোড়ানো সম্ভব?’
-‘অবশ্যই, যদি সেই দৈনিকে ছাপা হয় কোনো রাজনীতিবিদের বক্তৃতা।’
=p~


পিতা পুত্রকে বলছে—
-‘তুমি প্রতিদিন মিথ্যা কথা বলো, মিথ্যা বলার পরিণাম জানো?’
-‘না।’
-‘সারাজীবন হয় রাজনীতিবিদ না হয় উকিল হয়ে থাকবে।’
=p~


এক বয়স্ক লোক আর তরুণ কথা বলছে—
-‘কী করছ আজকাল?’
-‘জি, সৎ রাজনীতি করার চেষ্টা করছি।’
-‘ভালো। তুমি শাইন করবে।’
-‘কিভাবে বুঝলেন?’
-‘কারণ এ লাইনে সম্ভবত তোমার কোনো প্রতিযোগী নেই!’
=p~


উপরের ঘটনার সেই তরুণের সঙ্গে সেই বয়স্ক লোকের বছর দুয়েক পর আবার দেখা।
-‘কী তোমার সৎ রাজনীতি কেমন চলছে?’
-‘জি না, সুবিধার না।’
-‘ঠিক আছে তুমি আমার সঙ্গে আসো।’ বলে ভদ্রলোক তরুণকে নিয়ে দশতলা এক বিল্ডিংয়ের ছাদে উঠে গেলেন।
-‘এবার লাফ দাও।’
-‘কী বলছেন, এখান থেকে লাফ দিলে তো মারা যাব।’
-‘তুমি কি সৎ রাজনীতি করে উন্নতি করতে চাও?’
-‘জি।’
-‘তাহলে লাফ দাও।’ তরুণ লাফ দিল।
যথারীতি হাত-পা ভেঙে মাটিতে আছড়ে পড়ল তরুণ। কিন্তু মরল না। ভদ্রলোক লিফটে করে দ্রুত নেমে এলেন। তার পাশে গিয়ে বললেন, ‘নিজে সৎ থাকবে, কিন্তু অন্য রাজনীতিবিদদের বিশ্বাস করবে না...এটাই তোমার প্রথম এবং শেষ শিক্ষা।’
=p~


-‘কী ব্যাপার? আগের সরকারের আমলে তো খুব কলমবাজি করলে! এখন চুপচাপ বিষয় কী? নাকি ডিগবাজি দেয়ার চিন্তা-ভাবনা করছ?’
-‘ডিগবাজি আমরা দেব না আফটার অল আমরা বুদ্ধিজীবী... ডিগবাজি দেবে আমাদের কলম!’
=p~


দুই বন্ধু কথা বলছে—
-‘খেয়াল করে দেখেছিস যারাই, রাজনীতি করে তাদের সবার মাথার চুল কম।’
-‘এর কারণ আছে।’
-‘কী কারণ?’
-‘দুদিন পরপরই ডিগবাজি দিয়ে দল বদল করতে হয় তো...’
=p~


দুই রাজনীতি সচেতন ব্যক্তি কথা বলছেন—
-‘রাজনৈতিকভাবে সবচেয়ে নিরাপদ কোন দেশ?’
-‘যে দেশের কোনো বিশ্বস্ত বন্ধু নেই, যেমন ইসরায়েল... চারপাশ দিয়ে শত্রু পরিবেষ্টিত।’
=p~


‘একজন রাজনীতিবিদকে সমুদ্রে ডুবিয়ে হত্যা করলে কী শাস্তি হতে পারে?’
-‘সেক্ষেত্রে সমুদ্র আইনে শাস্তি হতে পারে।’
-‘কী রকম?’
-‘সমুদ্রের পানি দূষিত করে পরিবেশ দূষণের দায়ে বড় অঙ্কের জরিমানা দিতে হতে পারে!’
=p~


শেরজা তপন ভাই স্পেসাল! একটি রাশিয়ান জোক, অবশ্যই পলিটিক্যাল—
-‘পুঁটি মাছ কী?’
-‘কমিউনিজম পর্যন্ত সাঁতরে আসা তিমি মাছ।’
=p~


নেতা : আমাকে ভোট দিয়ে দেখেন প্রত্যেকের মুখে হাসি ফুটাবো।
জনতা : কিভাবে? সবাইকে একটা করে জোকসের বই দিবেন?
=p~


এক নেতা জনসভায় তার দীর্ঘ ভাষণের এক পর্যায়ে বলতে লাগল ‘...অনেক সময় মূর্খরাও বুদ্ধিমানের মতো কথা বলে...’
এক দর্শক-শ্রোতা পাশ থেকে বলে উঠল, ‘সে তো আমরাও শুনছি এক ঘণ্টা ধরে…
=p~


-‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের তিন মাসে তো দেখি কোনো উন্নতি হয় নাই... খুনখারাবি হয়েছে সমানে।’
-‘ঐ তিন মাসে আপনি কই ছিলেন?’
-‘জেলে।’
=p~


নেতাকে নিয়ে জোকস বানানোর জন্য গ্রেফতার করা হলো একজনকে। তাকে যখন সেই নেতার সামনে নিয়ে দাঁড় করানো হলো তখন সে চারদিকে চেয়ে দেখে দামি-দামি সব আসবাবপত্র। সে মুগ্ধ হয়ে বলে ফেলে,
-‘বাহ! কী সুন্দর সব জিনিস!’
-‘একদিন এদেশের সবার ঘরে ঘরে এসব থাকবে।’ গম্ভীর হয়ে বললেন নেতা।
তখন জোকস বানানোর জন্য গ্রেফতার হওয়া লোকটি বলে উঠল, ‘সেকি জোকস তো বলব আমি, আপনি কেন?’
=p~


এক দেশের প্রধানমন্ত্রী অশিক্ষিত। তো বিরোধী দল সেই প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে মিছিলে শ্লোগান দিচ্ছিল-
"শাব্বাস! ভাই শাব্বাস!
প্রধানমন্ত্রী এইট পাস।"
কিন্তু দেখা গেল এই শ্লোগান শুনেও সরকারি দল মোটেই অখুশি নয়। এর কারণ কী?
কারণ অনুসন্ধান করে জানা গেল প্রধানমন্ত্রী আসলে সিক্স পাস। দুই ক্লাস বাড়িয়ে বলাতে তারা খুশি।
=p~


এক ব্যবসায়ী তাঁর দাঁত তোলার জন্য গেলেন চীনে। ডেন্টিস্ট জানাল, প্রতি দাঁত তোলার খরচ পাঁচশ টাকা।
ব্যবসায়ী বললেন, ‘এত কেন, আমাদের দেশে তো দশ টাকা দিলেই দাঁত তুলে দেয়।’
ডেন্টিস্ট বললেন, ‘আমাদের দেশে দাঁত তোলা অনেক কঠিন কাজ। দাঁত আমরা কানের ভেতর দিয়ে তুলি।’
-‘কান দিয়ে কেন?’
-‘আমাদের দেশে মুখ খোলা নিষেধ। বেআইনি।’
=p~


নির্বাচনের পোস্টারের জন্য ছবি তুলতে গেছে এক রাজনৈতিক নেতা। নেতা বলল, ‘আচ্ছা আমি যদি এক হাত উপরে তুলে বক্তৃতার মতো ভঙ্গিতে ছবিটা তুলি তাহলে ছবিটা বাস্তবধর্মী হতো, কী বলেন?’
-‘দু’ হাত উপরে তোলা অবস্থায় হাতকড়া পরা হলে আরো বেশি বাস্তববাদী হয়…’
=p~
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:১২
৯টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আওয়ামী লীগ বর্তমানে বিজেপির বাংলাদেশি শাখা.....

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:২৭


হিসাবে দায়িত্ব পালন করছে এমন মন্তব্য করেছেন কলকাতার সাংবাদিক ও লন্ডন ভিত্তিক একটিভিস্ট অর্ক ভাদুড়ী। ফাইনালি কলিকাতার একজন দাদা বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন। যে হারে কলিকাতার ফাটাকেস্ট শুভেন্দু ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে... ...বাকিটুকু পড়ুন

একটা জনমত জরিপ....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৯:৩১

একটা জনমত জরিপ....

নিজ উদ্যোগে একটা জরিপ কাজে গত কয়েক দিন বিভিন্ন শ্রেনি পেশার মানুষদের সাথে কথা বলেছি। নিজের রাজনৈতিক অবস্থান থাকলেও নিরপেক্ষ মতামত জানতে, বুঝতে নিজেকে শতভাগ নিরপেক্ষ রেখেছিলাম। কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভাষা (বাংলা) তুমি কার? (বাঙ্গালী কে তবে আর কাহার বা বাংলা ভাষা ??)

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:৫৭


'পতিত ও পতিতা' নিয়ে ব্লগার 'ভুয়া মফিজ' বেশ ক্যাচালে জড়িয়ে পড়েছিলেন। খানদানী ভাষাবিদেরা তাকে ভাষা নিয়ে অনেক পাঠ দিয়েছিলেন। একথা মানতে দ্বিধা নেই যে, খানদানী ভাষাবিদেরা মনে করে শুদ্ধভাষা... ...বাকিটুকু পড়ুন

উপন্যাস 'কৃষ্ণকান্তের উইল' পড়েছেন?

লিখেছেন রাজীব নুর, ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৬



রবীন্দ্রনাথ যখন বাচ্চা পোলাপান-
তখন বঙ্কিমচন্দ্র পুরোদমে লেখালেখি করে যাচ্ছিলেন। সেই সাথে করতেন চাকরি। রবীন্দ্রনাথ বঙ্কিমচন্দ্রের বই আগ্রহ নিয়ে পড়তেন এবং হয়তোবা মনে মনে ভাবতেন, আরে এরকম গল্প... ...বাকিটুকু পড়ুন

বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে আপনি আমন্ত্রিত....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৯

প্রিয় সুহৃদ,

আচ্ছালামুয়ালাইকুম।
আমার গুম জীবন এবং গুম পরবর্তী সত্য ঘটনাবলী নিয়ে লেখা 'গুম এবং অতঃপর' এবং 'দ্যা আনটোল্ড স্টোরি' (২০২০-২০২১ সালে সিএনএন, আল-জাজিরা এবং বিবিসি চ্যানেলে আমার নাম/পরিচয় গোপন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×