somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সুঁচ আর চালনির গপ্পো

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

♦أَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الشِّيْطَانِ الرَّجِيْمِ (বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহ্'র নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি)
♦بِسْمِ ٱللَّٰهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ (পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহ্'র নামে)
♦ٱلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ (আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক)


(ছবি নেট হতে)

আজ কিছু মনের কথা বলি। ব্লগে আসার আগে ব্লগ বিষয়ে ধারণাটা অনেক বিস্তৃত আর স্বচ্ছ ছিলো। ভাবতাম ইহা গণ্য মান্য স্বনামধন্য সুশিক্ষিত মানবিক মানুষজনের পদচারণায় মুখর। কিন্তু ব্লগে আসার পর কতিপয় শব্দ সন্ত্রাসীর দৌরাত্ম্যে পুরো ধারণাটাই পাল্টে গিয়েছিলো। এখানে একটা বিষয় যুক্ত করা দরকার। অনেকের মতো আমিও ভিলেজ পলিট্রিক্সের বলয়ে আটকে আছি। ভিলেজ পলিট্রিক্সের ভয়াল থাবায় যখন সুস্থ্য পথের দর্শন পাচ্ছিলাম না তখনই অনেক আশা নিয়ে ব্লগে এসেছিলাম নিজের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করে পরামর্শ পাবার লক্ষ্যে। অনেকেই হয়তো জানেন যে সম্প্রতি ব্লগিং-এ এ্যাক্টিভ হলেও আমার আইডি কিন্তু যুগের পুরাতন। তারপরও ব্লগিং শুরু করে থেমে যাবার কারণ এই শব্দ সন্ত্রাসীরা। প্রথম যখন ব্লগে লিখি তখন জানা ছিলোনা যে এখানেও ভিলেজ পলিট্রিক্স আর গ্রুপ আছে। ভেবেছিলাম এখানে সবাই যেহুতু শিক্ষিত তাই হয়তো ব্লগ পড়ে ভালো-মন্দ মন্তব্য করা বা এড়িয়ে যাওয়া পর্যন্তই। এর বাহিরে কারো সঙ্গে কারো আর কোনো সম্পর্ক নেই। তাই জানা ছিলো না যে এখানে ইসলামের পক্ষ নিয়ে লিখলে একদলের বিষক্রিয়া শুরু হয়ে যায়। আর শুরুতে এই বিষক্রিয়াই আমার জন্যে কাল হয়ে দাঁড়িয়েছিলো। শুরুর যে পোস্টটি ছিলো তাতে ইসলামের ছোঁয়া থকায় এবং প্রোফাইল পিকচারে কালিমা লিখা থাকায় নিজের অজান্তেই একদল শব্দ সন্ত্রাসীর চক্ষুশূল হয়ে যাই। তখন হতেই আমার প্রতি জামাত-শিবির তকমা শুরু হয়ে যায়। যদিও সেই পোস্টে কোনো রাজনৈতিক ছোঁয়া ছিলো না। ছিলো নতুন হিসেবে কুশল বিনিময়ের আবেদন। কিন্তু এভাবে প্রত্যাখান প্রত্যাশাতীত। তারপর পোস্ট দিলেই দেখতাম তাকে সেই শব্দ সন্ত্রাসীদল যেকোনোভাবে জামাত-শিবিরের এবং রাজাকারের সঙ্গে মিশিয়ে দিচ্ছে। হয়তো পোস্টে বললাম, সবুজ প্রকৃতি ভীষণভাবে মন কাড়ে। সেখানে শব্দ সন্ত্রাসীদলের মন্তব্য হতো, কাড়বেইতো। পাকিস্তানের পতাকা যে সবুজ! ভাবা যায় যে কি অবস্থা এমন শব্দ সন্ত্রাসীদলের মানসিকতার! তাদের কতোটা মানসিক নির্যাতনের শিকার সাধারণ এবং নতুন ব্লগারগণ! আরো অবাক বিষয় যে, কাউকে দেখতাম না এসবের প্রতিবাদ করতে। এমনকি কর্তৃপক্ষেরও এতে কোনো ভ্রুক্ষেপ দেখতাম না। এভাবে যে কতো ব্লগার হারিয়েছে জানিনা। শুধু আক্ষেপ করতে পারি যে ব্লগার কমছে। তখন যা লিখি তাতেই জামাত-শিবির বা রাজাকার মিশানোটাকে নিজের নিরাপত্তার জন্যে হুমকি মনে হয়। আর তখনই সব পোস্ট ডিলিট করে ব্লগিং-এ ইস্তফা দেই। তাই আজ সেই পোস্টগুলো রেফারেন্স হিসেবে দেখাতে পারছি না। কিন্তু তারপরও ব্লগ ছেড়ে যাইনি। বিরতি দিয়ে দিয়ে এসেছি পরিবেশ পরিবর্তনের আশায়। কিন্তু প্রতিবারই আশার গুড়ে বালি। এভাবে বারবার প্রত্যাখান নিজের মনেও আলাদা জেদের সৃষ্টি করে। আর তার ফলেই সুস্থ্যধারার ব্লগিং-এর আশায় ব্লগে আসা আজকের এই পরিবর্তিত আমি।

ভাবছেন হঠাৎ আজ কেনো এসব বলছি? কারণ ফেইসবুকে একজন ব্লগারের উচ্চ রক্তচাপ আর হার্টের ব্যাথা বাড়ার কারণ আরেক ব্লগার বলে জানতে পারলাম। বিষয়টা দেখেই আগের দিনগুলোর কথা মনে পরলো। যদিও তিনি যে সহানুভূতির আশা করে পোস্ট করেছেন সেটা কখনো পূর্ণ হবেনা জানি। কারণ, এখানে সহানুভূতি চাওয়াও অপরাধ যা ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ আর ধারণা হতে বুঝেছি। শুধু এখানে নয়, কোথাও কেউ কারো নয়। সবাই শুধু নিজের জন্য। আর যে সহানুভূতি চাওয়া সেটা বরং নিজেরই সীমাবদ্ধতার প্রকাশ। মানবিকতা আশা করলে দিতে হবে নিজের মানবিকতার প্রমাণ। কিন্তু যার বা যাদের নিকটে দিতে হবে তাদের মানবিকতা নিয়ে চিন্তা করাও হারাম। এই হচ্ছে আমাদের মানব সমাজ। বন্যেরা বনে সুন্দর, নীতিকথা বই-পুস্তকে। আর ভিলেজ পলিট্রিক্স ইজ ইন এভ্রিহয়ার!
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ২:৩৮
১১টি মন্তব্য ১১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=স্মৃতির মায়ায় জড়িয়ে আছে মন=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:০৯


ঘাস লতা পাতা আমার গাঁয়ের মেঠো পথ, ধানের ক্ষেত
জংলী গাছ জড়ানো লতাবতী - আহা নিউরণে পাই স্মৃতির সংকেত,
রান্নাবাটির খেলাঘরে ফুলের পাপড়িতে তরকারী রান্না
এখন স্মৃতিগুলো পড়লে মনে, বুক ফুঁড়ে বেরোয় কান্না।

ফিরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪৪


আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৬

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

শহীদ ওসমান বিন হাদি, ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

হ্যাঁ, সত্যিই, হাদির চিরবিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার এই মুহূর্তটিতেই তার খুনি কিন্তু হেসে যাচ্ছে ভারতে। ক্রমাগত হাসি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

'জুলাই যোদ্ধারা' কার বিপক্ষে যুদ্ধ করলো, হ্তাহতের পরিমাণ কত?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৫১



সর্বশেষ আমেরিকান ক্যু'কে অনেক ব্লগার "জুলাই বিপ্লব" ও তাতে যারা যুদ্ধ করেছে, তাদেরকে "জুলাই যোদ্ধা" ডাকছে; জুলাই যোদ্ধাদের প্রতিপক্ষ ছিলো পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, ছাত্রলীগ; জুলাই বিপ্লবে টোটেল হতাহতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?

লিখেছেন এ আর ১৫, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৩

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?


হাদিকে মারল জামাত/শিবির, খুনি নাকি ছাত্রলীগের লুংগির নীচে থাকা শিবির ক্যাডার, ডাকাতি করছিল ছেড়ে আনলো জামাতি আইনজীবি , কয়েকদিন হাদির সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×