- আম্মু, আমার এই মেয়েকে পছন্দ
- আচ্ছা বাসা কোথায়? দেখে আসি।
আমি ঠিকানা দিলাম। আম্মু আর আপু কয়েকদিন পরে মেয়ে দেখতে গেলেন। আমার বিয়ে দেয়ার জন্য মেয়ে খুজছেন অনেকদিন ধরে। কিন্তু আমার পছন্দ হচ্ছিলো না। এই মেয়েটাকে আমার পছন্দ ছিলো কিন্তু প্রেম ছিলো না। দেখা হত কথা হত দুজন দুজনকে পছন্দ হতো কিন্তু প্রেম করার ব্যাপারে আমি উদাসিন ছিলাম। কিন্তু যখন পরিবার আমার জন্য মেয়ে দেখতে দেখতে ক্লান্ত আর আমিও পছন্দ না করতে করতে ক্লান্ত তখন বলে দিলাম মেয়েটাকে দেখে আসার।
মেয়েকেও বললাম দেখতে যাবে তাকে। তারপর আম্মু আর আপু দেখে আসলো মেয়েকে। তাদের মোটামুটি ভালো লাগলো, আর আমি ছেলে, আমার পছন্দের উপরে কথা বলার নেই কেউ।
এর ভিতর আবার আম্মু এক দুর সম্পর্কের ভাই একটা মেয়ের হদিস পাঠালেন আম্মুকে কারন আগে থেকেই অনেক জায়গায় খোজ নেওয়া ছিলো। সেই মেয়ে সত্যিই সুন্দরী।
আমি আবার যখন কোনো মেয়ের ছবি পাই তখন ভাইব্রাদারদের দেখাই। তারা বললো আমার পছন্দের মেয়ের থেকে ওই মেয়েটা অনেক বেটার। পারলে তারা এখনই অই মেয়েটার সাথে আমার বিয়ে দিয়ে দেয়।
কিন্তু আমার পছন্দ অই একজায়গায় আটকে আছে। আমি না করে দিয়ে এই মেয়েকেই বিয়ে করবো বলে দিলাম।
এইবার মেয়েটা আমাকে নিয়ে কনফিউজড। আমার বেখেয়ালি সভাব বিয়ের পর ঠিক হবে কিনা, আমি বিয়ের পর কেমন হবো এই নিয়ে সন্দিহান। আমি সরাসরি বললাম এটা কপালের হাতে। আমি ভালো থাকার চেস্টা করি। ভালো থাকতে চাই কিন্তু বিয়ের পর কেমন হবো তা আল্লাহ ই ভালো জানেন তবে আমি চেস্টা করবো ভালো থাকার, ভালো স্বামী হওয়ার।
এই সেই নিয়ে কথা হতে হতে এক সময় ঘরে কি কি দরকার কি কি লাগবে এসব নিয়ে কথা হতে লাগলো। এই সময় সে বললো
- আপনার রুমের পর্দার কাপর চেঞ্জ করতে হবে। ওই কালারটা আমার ভালো লাগে না।
আমি ফানি মুডে বললাম, না এটাই থাকবে, আমার সাধের পর্দা। সে বললো
- আপনার কোনো পছন্দই ভালো না, আমার জন্য যদি কিছু কেনেন কখনো আমাকে দেখিয়ে কিনবেন। নইলে যত দামি জিনিসই হোক, আমি পরবো না। আপনার সব পছন্দই খারাপ।
তখন আমার মনে পরলো বন্ধুরা সবাই মেয়ের ছবি দেখে বলেছিলো, তোর পছন্দ ভালো না, এই মেয়ে তোর সাথে যায় না।
(আমি তাকেই এখনো বিয়ে করতে চাই)

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




