Click This Link
লম্পট শিক্ষক পরিমল জয়ধরের পর আরও এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। তেজগাঁও সিভিল এভিয়েশন হাই স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক রতন কুমার পাল ছাত্রী, শিক্ষিকা এবং মহিলা অভিভাবকদের যৌন হয়রানি করছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন ওই স্কুলের শিক্ষকরা। শিক্ষকরা জানান, অশালীন কথাবার্তার মাধ্যমে তিনি মেয়েদের উত্ত্যক্ত করেন। নানা অজুহাতে মেয়েদের গায়ে হাত দেয়ার কারণে এরই মধ্যে তাকে মেয়েদের শিফ্ট থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তিনি মহিলা শিক্ষকদেরও নানাভাবে যৌন হয়রানি করেন। মহিলা শিক্ষকরা তার বিরুদ্ধে প্রধান শিক্ষকের কাছে লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন। গত ১০ জুলাই দাখিলকৃত এক মহিলা শিক্ষকের অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ৩ থেকে ৪ মাস ধরে রতন পাল আমার সঙ্গে নানা রকমের অশ্লীল কথাবার্তা বলছে। অশালীন আচরণ করছে। নানা ধরনের অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে আমাকে উত্ত্যক্ত করছে। আমি তার ইভ টিজিংয়ের শিকার। অপর এক অভিযোগে বলা হয়েছে, রতন পাল বেশ কয়েকজন ছাত্রীর সঙ্গে কখনও কৌশলে বা জোরপূর্বক দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করেছেন। কৌশলের মধ্যে রয়েছে- প্রশ্নপত্র ফাঁস, বিনা পয়সায় কোচিংয়ে পড়ানো, পরীক্ষায় ফেল করানোর ভয়, কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য প্রভৃতি। অনেক ছাত্রী লজ্জায় বিষয়টি এড়িয়ে গেলেও কেউ কেউ রতন পালের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে বাধ্য হচ্ছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, রতন কুমার পালের কোচিংয়ে না পড়লে ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে করা হয় অসৌজন্যমূলক আচরণ। অন্য শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়ায় শিবলী নামের এক ছাত্রকে তিনি বেধড়ক পিটিয়েছেন। এভাবে তার কোচিংয়ে পড়ার জন্যে ছাত্র-ছাত্রীদের বাধ্য করা হয়। তার কোচিং সেন্টার শাহীনবাগ মসজিদের পাশে।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. শাহজাহান মিয়া সাংবাদিকদের জানান, আমার কাছে কয়েক দিন আগে রতন পালের নারী কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ এসেছে। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। এ মুহূর্তে আমি কারও পক্ষে বা বিপক্ষে বলতে পারবো না। তার বিরুদ্ধে অন্য কোনো অভিযোগ আমার কাছে আসেনি। এলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। তিনি জানান, রতন পাল সহকারী প্রধান শিক্ষক নন। তবে চলতি দায়িত্বে রয়েছেন।
অভিযুক্ত শিক্ষক রতন পাল সাংবাদিকদের জানান, আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ এসেছে তার কোনটিই সত্য নয়। তবে আমি যেহেতু ম্যানেজিং কমিটিতে শিক্ষক প্রতিনিধি সেহেতু অনেক বিষয় আমাকে ম্যানেজ করতে হয়।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




