somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রসঙ্গ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারঃ ৪ লক্ষ মানুষ প্রত্যাশা নিয়ে তাকিয়ে আছে আমাদের দিকে (ডট রাসেল ভাইয়ের পোস্ট,সামুতে যার মুখ বাঁধা)

২২ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১১:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ইতিমধ্যে পিয়াল ভাই আর জেবতিক আরিফ আজকের আলোচনা নিয়ে লেখা দিয়েছে, সুতরাং আলোচনায় বিষয়বস্তু এবং আমাদের প্রাপ্তি বিষয়টা স্পষ্ট সবার কাছেই- কিছুটা নেপথ্যের ঘটনা এবং কিছুটা ভবিষ্যতের ভাবনা জানানোর জায়গা থেকে এই কথাগুলো লিখছি।

প্রথমতঃ পিয়াল ভাই যখন যৌবনজ্বালা ফোরামটিকে বদলে যৌবনযাত্রা করলেন এবং যখন সেখান থেকেই একটা সিগনেচার ক্যাম্পেইনের সূচনা হলো তখন অতিরিক্ত নীতিবাগিশগণ অনেক অকথা-কুকথা বলেছে, মুক্তিযুদ্ধের পবিত্রতা, এটার সম্মান এইসব আলোচনা অনেক হয়েছে তখন ব্লগে। তবে কেউই তখনও সামনে আসে নি বিকল্প কোনো প্রস্তাব নিয়ে-

মূলত এই পরিবর্তনের গল্পটুকু থেকে সমকামী বাঙ্গালী সমাজ যা উদঘাটন করে নিয়ে আসলো তা হলো পিয়াল ভাই একটা পর্ণো সাইটে ঘোরাঘুরি করে- প্রাপ্তবয়স্ক একজন মানুষ অন্য কারো ক্ষতির কারণ না হয়ে ন্যাংটা ছবি দেখছে এটাতে পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যায় না কিংবা মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে না। সবাই সময় সুযোগ থাকলে এই কাজ করে এবং এ কারণেই সেই ফোরামের সদস্য সংখ্যা এখনও সামহোয়্যারের নিকের তুলনায় বেশী। যদিও সামহোয়্যারে অনেকেরই অনেক নিক আছে, কিন্তু ন্যাংটা ছবি দেখতে হলেও মানুষ এতটা আগ্রহ নিয়ে যায় যে সেটা এমন সামাজিক একটি সাইটের সম্মিলিত নিকের তুলনায় বেশী মানুষকে আকৃষ্ট করে-

মহান নীতিবাগীশদের অনেকেরই নিজস্ব একাউন্ট আছে সেখানে- তাদের নিয়মিত পদচারণায় মুখর হলেও যেহেতু এটা তারা কাকের মতো আড়াল করতে চায় তাই সেটা যখন প্রকাশ্যে এলো তখন সবারই শালীনতাবাদী শিশ্ন সটান খাঁড়া হয়ে গেলো-

সে সময় কেউ একজন প্রস্তাব করেছিলো- যৌবনজ্বালার ব্যানারে সিগনেচার ক্যাম্পেইন করলে যদি অন্য কারো চামড়া জ্বলে তাহলে নিজেরাই কেনো একটা ব্যানার তুলে ধরে সে ব্যানারে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে গণসাক্ষর সংগ্রহ করার কাজটা শুরু করে না। যারা পবিত্রতাবাদী তারা এই ব্যানারে কাজ করলো, আদতে মূল লক্ষ্য তো যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি করা, পিয়াল যৌবনযাত্রা থেকে এই লড়াই সূচনা করেছে ভালো, অন্য কেউ অন্য কোনো অবস্থান থেকে এটা নিয়ে সামনে আগালেও তেমন সমস্যা নেই।

এটা নিয়ে কমিটি করে একটা সাধারণ সম্পাদক একটা আহ্বায়ক জাতীয় বাঙালী আমলাতন্ত্রপ্রীতির একটা নমুনা পাওয়া গেলো প্রথম সমাবেশেই- সেটার পর সিদ্ধান্ত হলো কোনো কমিটি হবে না, কমিটি হলেই পদ নিয়ে কামড়াকামড়ি হবে সুতরাং স্পষ্ট কোনো নেতা থাকা উচিত হবে না এই সাক্ষর কর্মসূচীর।

পরবর্তী সভায় পুনরায় এটাতে বদল হলো, কিন্তু শেষ পর্যন্ত এটা অরণ্য- রুবেল এবং তাদের বন্ধুদের কর্মসূচি- একেবারে স্পষ্ট ভাবেই এটাতে তাদের অবদান ৯৫ শতাংশ। তারাই এটার মূল হোতা, মূল চালিকা শক্তি- আমি নিজে তেমন ভাবে যুক্ত ছিলাম না এটাতে। আমার নিজের পেটের ধান্দা আছে- সে ধান্দায় আমাকে ঘুরতে হয় শহরে- পেটে ভাত না থাকলে আদর্শের কোনো মূল্য নেই- এই বাস্তবতাটুকু উপলব্ধি করেই নিখাদ অবসর বিনোদনের জায়গা থেকে আমার সংশ্লিষ্ঠতা এখানে।

মূলত আমার কাজ ছিলো মাঝে মাঝে এই সাক্ষরতা অভিযানে উপস্থিত হয়ে চা সিগারেট ফুকা। একটু গল্প করে, আড্ডা মেরে বাসায় চলে আসা, সেটা মোটেও খুব বড় কোনো অবদান নয়।

তবে এভাবেই একরোখা ভাবেই তারা কিভাবে কিভাবে সাক্ষরের প্যাড ভরে ফেললো, ১ লক্ষ মানুষের সাক্ষর সংগ্রহ হয়ে গেলো। তারপর আমাদের প্রথম আনুষ্ঠানিক প্রেস বিবৃতি দেওয়া হলো- সেটাও খুব বেশী সফল হয় নি, মুলত মৌলিক দাবির জায়গাটা যুদ্ধাপরাধীদেরব ইচার, এবং সেখানে ধর্ম নিরপেক্ষ বাংলাদেশের দাবিটাও ছিলো উল্লেখিত- তবে সাক্ষরতা অভিযানে কোনো ভাবেই এটাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয় নি। কিন্তু শিরোণাম নিয়ে বিতর্ক হওয়ার পরে হঠাৎ করেই লক্ষ্য পুণঃনির্ধারণ করা হলো, আমরা ১০ লক্ষ সাক্ষর সংগ্রহ করবো- এই উন্মাদনার কোনো প্রয়োজন ছিলো না, তবে একটা অসম্ভব লক্ষ্য সামনে থাকায় অরণ্যদের উৎসাহে ভাটা পড়ে নি। তাদের বন্ধুদের নিয়ে তারা যা করেছে সেটা বিশ্বের অন্যতম সেটা স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে করা কাজ। এভাবে মনে হয় ৪ লক্ষ মানুষের সাক্ষর সংগ্রহের কাজ কোথাও করা হয় নি।

মাঝে জালাল ভাই দেশে আসলেন, এই মানুষটার কীর্তিকলাপের সাথে পূর্ব পরিচয় থাকবার কারণে তাকে আমি বিশেষ শ্রদ্ধা করি- তার সাথে পরিচিত হওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে এটাও একটা বড় পাওয়া। তার সাথে টিআই ইমামের একটা আলোচনা হওয়ার কথা ছিলো, তবে জালাল ভাইয়ের নিজের তাড়া ছিলো, ঈদের আগে আগে পবিত্র উমরা করতে টি আই ইমামের মক্কা গমনে সে আলোচনা কিংবা সাক্ষাত সম্ভব হয় নি, আমরা জালাল ভাইয়ের সাথে ট্যাগ হওয়ার কথা ভাবছিলাম, সেটা সম্ভব হলো না।

মাসুদা ভাট্টির সাথে একদিন কথা হওয়ার সময় জানলাম টি আই ইমামের সাথে তার দেখা হবে, সুতরাং এটা একটা সাধারণ প্রস্তাবনা ছিলো যে যদি সুযোগ হয় তবে আমরা তার সাথে এই ইস্যু নিয়ে আলোচনা করবো-

মুলত নিজে কোনো কাজ না করলেও গণসাক্ষরের দলের প্রচারণায় যে বিপুল সংখ্যক মানুষ তাদের মনোভাব এবং সমর্থন জানিয়েছে এই উদ্যোগকে তাদের প্রতি আমাদের একটা দায়বদ্ধতা আছে। আমি মূলত এই কথাটুকুই টি আই ইমামকে জানাতে চেয়েছিলাম, আপনি সরকার এবং রাষ্ট্র যন্ত্রের সাথে সংযুক্ত, সরকার যা করবে সেটার বাইরে আপনার যাওয়ার সুযোগ নেই, কিন্তু আমরা সাধারণ মানুষ, সাধারণ মানুষের ভাবনায় এই বিচারের দাবিটুকু কতটা গভীরে আছে সেটা আপনাকে উপলব্ধি করতে হবে- আপনি শুধুমাত্র আপনার সরকারের কাছে এবং নির্ধারিত দায়িত্ব বিধির জন্য প্রশাসনের কাছে দায়বদ্ধ কিন্ত সম্মিলিত ভাবে আমরা দায়বদ্ধ ৪ লক্ষ মানুষের কাছে, যারা আমাদের প্রচারণায় উদ্বুদ্ধ হয়ে নিজেদের ভেতরে লুকিয়ে থাকা বিচারের দাবিটাকে প্রকাশ করেছে আমাদের নির্ধারিত ফর্মে- আপনি আমাদের কোনো জবাব না দিতে চাইলেও ১০ মাস হয়ে গেছে, আমরা আমাদের সেইসব মানুষকে জানাতে চাই আমাদের চেষ্টার কোনো ত্রুটি থাকবে না, আপনারা একটা কলমের খোঁচায় যে অধিকার আমাদের সমর্পন করেছেন, সে অধিকার রক্ষার আন্দোলনে আমরা পিছনে সরে আসবো না।

মাসুদা তার কথা রেখেছে, মিটিংয়ের দিনক্ষণ ঠিক করে ৩ দিন আগে আমাকে জানিয়েছে- আমিও সেই মতো ঠিক করলাম কাকে কাকে অন্তর্ভুক্ত করবো-

পিয়াল ভাই- আমাদের সময়ের মুক্তিযুদ্ধ গবেষক, তার ক্ষমতা এবং যোগ্যতা নিয়ে আমার কোনো সংশয় নেই, তবে সমস্যা হলো মাথায় পাথর ভর্তি মানুষগুলো তার এই ক্ষমতা এবং যোগ্যতার মূল্যায়ন করতে ব্যর্থ-

আরিফ জেবতিক- যখন ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি গণ আদালত কর্মসূচি নিয়েছিলো তখন ষেও এসেছিলো ঢাকায়- এই বিচারের দাবির মিছিলে সে অনেক আগে থেকেই আছে- এরা এই বিচারের দাবির সাথে আছে প্রায় দেড় যুগ-
তার সাথে নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধি হলো মনির হাসান, যারা ১৪ই ডিসেম্বরের দল করে প্রকাশ্যে শাহরিয়ার কবির এবং হারুন উর রশিদের সাথে আলোচনা করেছে শহীদ মিনারে- সেটা এ ধরণের প্রথম সমাবেশ ছিলো যার উদ্যোগের সূচনা হয়েছিলো অন্তর্জালে-

একই সাথে গণ সাক্ষরের দল- যাদের আমি চিনি জানি-

আর আমার অন্তর্ভুক্তি নেহায়েত চামে চিকনে, কোনো কাজ না করেও কিছু প্রিভিলেজ পাওয়া সম্ভব- আমি এই সমাবেশে সেই প্রিভিলেজড পার্সন।

যদিও এই সাক্ষাৎকারটুকু আমার ঠিক মনোঃপুত হয় নি, আমাদের প্রস্তুতির ত্রুটি ছিলো। আমরা তেমন ভাবে জানতামও না আমরা কি বলবো। পিয়াল ভাইয়ের বক্তব্য পিয়াল ভাই উপস্থাপন করেছে, তবে সেটার বাইরে আসলে তেমন ভাবে জানানো হয় নি কিছুই। খাপছাড়া ভাবে যা আলোচনা হয়েছে সেটার সারাংশ পাওয়া গেছে জেবতিকের লেখায়-

এবার পেছনের কথাগুলো বলি-
সরকার ধারণা করছে যখনই যুদ্ধাপরাধের বিচারের সূচনা হবে, তখন এটার বিরোধিতাকারী শক্তিরা বেশ সক্রিয় হয়েই প্রতিরোধ করবে- এখন যদিও স্বীকার করা হচ্ছে না আন্তর্জাতিক পরিমন্ডল থেকে কি চাপ আসছে- তবে কিছুটা চাপ কিংবা নিরাসক্ততা আছে এই বিষয়ে- তবে সরকার চাইছে সামাজিক শক্তিগুলো যেনো এই বিরোধিতাকে দমন করতে সক্ষম হয়-

বিষয়টা স্পর্শ্বকাতর এবং মূলত জড়িতদের অধিকাংশই বিরোধী দলীয় রাজনীতির সাথে সংশ্লিষ্ট, তবে এটা যে রাজনৈতিক বৈরিতাউদ্বুত কোনো বিষয় নয়, বরং এটা ন্যায় বিচারের পক্ষে অবস্থান- এই বাস্তবতাটুকু নির্মাণে সফল হবে না বিরুদ্ধ প্রচারণায় এমন একটা আশংকা রয়েছে সরকারের।

সরকারের যেকোনো পদক্ষপকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাববার মতো মানুষের কমতি নেই বাংলাদেশে, সুতরাং এমন অনেকগুলো সংগঠন যারা যুদ্ধাপরাধের বিচার চায় তাদের নিয়ে একটা সম্মিলিত মোর্চা তৈরির ভাবনা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে সরকারী পর্যায়ে- আমাদের আনন্দ কিংবা উল্লাসের বিষয় হলো গণসাক্ষর দল এবং ১৪ই ডিসেম্বরের দলকে তেমনই একটা সংগঠন হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে সরকার। এটা নিয়ে উল্লসিত হওয়া যায়, তবে এটার রাজনৈতিক ভবিষ্যত শূণ্য রাখলেই সবচেয়ে ভালো হবে। এটার নেপথ্যের মানুষগুলোকে আমি চিনি, আমি বিশ্বাস করি এদের কারো আসলে এই আন্দোলন থেকে কোনো পয়সা উপার্জনের লোভ নেই- এটা নিঃস্বার্থ এবং চেতনার জায়গা থেকেই এখানে সংযুক্ত- এই বিশ্বাসটুকু আছে বলেই আমি এখনও ভাবি এরাই সবচেয়ে উপযুক্ত সংগঠন হয়ে উঠবে এখানে- তারা কোনো প্রলোভনে লড়াইয়ের মাঠ থেকে সড়ে যাবে না।

এই সংগঠনগুলোর উপরে অর্পিত দায়িত্বের ভার অনেক, তাদের বিরুদ্ধ প্রচারণার বিরুদ্ধে গিয়ে যুদ্ধাপরাধের বিচারের পক্ষএ মতামত প্রদান করতে হবে, প্রিন্টি মিডিয়া, ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় তাদের উপস্থিতি জানাতে হবে সব সময়ই, তবে আমাদের সুবিধা হলো, আমাদের কোনো বিবেচক ব্লগারই আসলে যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিপক্ষে নেই, যারা বিপক্ষে তাদের বিরুদ্ধে এদের অবস্থান সরকার অনুরোধ করবার আগে থেকেই স্পষ্ট।

দ্বিতীয়ত যে ভাবনাটা আমাদের জানানো হয়েছে সংক্ষিপ্তাকারে-
আমরা এই যুদ্ধাপরাধের বিচারের ক্ষেত্রে আলাদা ভাবে আর কি ভুমিকা রাখতে পারি-

আমাদের হাতে সংগৃহীত তথ্যের পরিমাণ নেহায়েত কম না। গত ৩ বছরের ধারাবাহিক লড়াইয়ে সম্মিলিত ভাবে আমরা অনেক ঐশ্বর্য জমাতে পেরেছে, পারস্পরিক ইগো সমস্যায় অকার্যকর কোনো সংগঠনই এই কাজটুকু করে নি, তাদের ক্ষমতা অপচয় হয়েছে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রকাশের অহেতুক বাকযুদ্ধে- আমরা কাছিমের মতো ধীরে ধীরে লড়াই করতে করতে এমন একটা অবস্থানে পৌঁছেছি যে আমাদের নিজস্ব সংগৃহীত প্রমাণ আসলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে সহায়ক ভুমিকা পালন করতে পারে-

যদিও আমি এইখানে কোনো নেতা নই, সুতরাং আমি কিছু প্রস্তবনা তুলে ধরতে চাইছি, আমরা আইন মন্ত্রী, সরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং সমন্বয়কের দায়িত্বে থাকা টিআই ইমামের কাছে আমাদের কি কি সহযোগিতার কথা জানাতে পারি- আমরা পরস্পর বিচ্ছিন্ন হলেও আমাদের মিলিত হওয়ার উন্মুক্ত একটা ময়দান হচ্ছে ব্লগ, সুতরাং তারা কোটি টাকা ব্যয়ে ভ্যান আর বাস নিয়ে যা করতে পারবে আমরা কম্পিউটারে বসে তার চেয়ে দ্রুত তথ্য প্রসার করতে পারি, ছড়িয়ে দিতে পারি বাংলাদেশে। এমন কি বিদেশেও ছড়িয়ে দিতে পারি এটা।

আমরা আমাদের সংগৃহীত তথ্যপ্রমাণগুলোর অনুলিপি তাদের দিবো, যদি সরকার মনে করে তাদের এমন একটা আর্কাইভ প্রয়োজন, তবে উপযুক্ত অবকাঠামো দিলে আমরা নিজেরাই নিজ দায়িত্বে সেটাকে সমৃদ্ধ করবার উদ্যোগ নিবো।

যদি সরকার মনে করে কোনো যুদ্ধাপরাধীড় বিষয়ে তার হাল নাগাদ তথ্য প্রয়োজন, তবে আমরা যদি আমাদের পক্ষ্যে সম্ভব হয়, নিজস্ব ক্ষমতা বলে আমরা সে সহায়তাটুকু তাদের দিবো।

যদি সরকার মনে করে তাদের আমাদের যেকোনো সহযোগিতা প্রয়োজন এই বিচারের বিষয়ে- এমন কোনো উদ্যোগ যা ততটা দুরহ নয়, আমরা সেটুকু সহযোগিতা তাদের করতে প্রস্তুত-

তবে এর বিনিময়ে আমরা চাইবো একটাই নিশ্চয়তা-

আমাদের এই সকল সহযোগিতার বিনিময়েও আমরা চাই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হোক, অন্তত বিচার প্রক্রিয়াটা শুরু হোক-
৪ লক্ষ মানুষ প্রত্যাশাভারা চোখ নিয়ে তাকিয়ে দেখছে আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ দিকে।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১১:৫৪
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বন্ডাইর মত হত্যাকাণ্ড বন্ধে নেতানিয়াহুদের থামানো জরুরি...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:২৫

বন্ডাইর মত হত্যাকাণ্ড বন্ধে নেতানিয়াহুদের থামানো জরুরি...

বন্ডাই সৈকতের হামলাস্থল। ছবি: রয়টার্স

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই সৈকত এলাকায় ইহুদিদের একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সমবেত মানুষের ওপর দুই অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী অতর্কিতে গুলি চালিয়েছে। এতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমাণ নন বলা কুফুরী

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১৪



সূরাঃ ২ বাকারা, ২৫৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৫৫। আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই।তিনি চিরঞ্জীব চির বিদ্যমাণ।তাঁকে তন্দ্রা অথবা নিদ্রা স্পর্শ করে না।আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সমস্তই... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিজয়ের আগে রাজাকারের গুলিতে নিহত আফজাল

লিখেছেন প্রামানিক, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:১৩


ঘটনা স্থল গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি থানার উড়িয়া ইউনিয়নের গুণভরি ওয়াপদা বাঁধ।

১৯৭১সালের ১৬ই ডিসেম্বরের কয়েক দিন আগের ঘটনা। আফজাল নামের ভদ্রলোক এসেছিলেন শ্বশুর বাড়ি বেড়াতে। আমাদের পাশের গ্রামেই তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

৫৫ বছর আগে কি ঘটেছে, উহা কি ইডিয়টদের মনে থাকে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৮




ব্লগের অনেক প্রশ্নফাঁস ( Gen-F ) ১ দিন আগে পড়া নিউটনের ২য় সুত্রের প্রমাণ মনে করতে পারে না বলেই ফাঁসকরা প্রশ্নপত্র কিনে, বইয়ের পাতা কেটে পরীক্ষার হলে নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

১৯৭১ সালে পাক ভারত যুদ্ধে ভারত বিজয়ী!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯


দীর্ঘ ২৫ বছরের নানা লাঞ্ছনা গঞ্জনা বঞ্চনা সহ্য করে যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বীর বাঙালী অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে বীরবিক্রমে যুদ্ধ করে দেশ প্রায় স্বাধীন করে ফেলবে এমন সময় বাংলাদেশী ভারতীয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×