ভক্ত পরিবেষ্টিত সক্রেটিসের বিষপানের দৃশ্য
প্রিয়ার তীব্র বাক্যবানে অনেক অভিমান নিয়ে আমি এক দিন হেমলক বিষ পান করলাম ।
কিঞ্চিত মাথা ঠান্ডা হতে আমি বুঝতে পারলাম বড্ড ভুল হয়ে গেছে ।
ততক্ষণে কিছু করার নেই ,আমার ভবলীলা সাঙ্গ হলো
ইশ ১০ তারিখে আমাদের বিবাহ বার্ষিকী ছিলো , কত ভুরিভোজ হতো ..........
অনুর হাতের রান্নার তুলনা হয় না..............
অনু মর্গ থেকে বলছি তোমায় খুব মিস করছি । তোমার হাতের সুস্বাদু রান্না খুব মিস করছি...................
কেউ কেউ আমাকে সত্যি সত্যি খুব মিস করছিলো । কিন্তু বাকিরা,,,,,,,,,,,,,,,,,,অয়ন শালাটা এতো মিথ্যাবাদী সে নাকি আমার কাছে টাকা পাবে...............টাকার অঙ্কটা শুনতেই আমার ভিমরি খাবার দশা হলো.....................
বেচে থাকলে নির্ঘাত আমি ওকে দু চার গা বসিয়ে দিতাম ।
আমার হাতপা বাধা কিছু করার নেই........সেই অর্থে আমার হাতে পায়ে কোন দড়ি নেই অবশ্য,দড়ি কেন কিছুই নেই। খুব অস্বস্তি হচ্ছে ........এরকম উলঙ্গ থাকার অভ্যেস আমার কোন কালে ই ছিলোনা । জমাদারনি মেয়েটি খুব বিশ্রিভাবে তাকিয়ে ছিলো .................লজ্জায় আমার বেগুনী রং ধারণ করার মতো অবস্থা হলো আরকি...........
আমার ছোট ছেলেটা আমার বিয়ের আংটি আর চেনটা চোখের নিমেষে হাপিস করে দিলো................ওযে এত বড় চোর তা কে জানতো ?খুব শান্তশিষ্ট ই তো মনে হতো.....................
বউটা কাদছে । অনু তোমাকে ততটা দুঃখী দেখাচ্ছেনা । আমার কুলখানির দিনে তোমার মুখে হালকা মেকআপ আমাকে আহত করেছে ।
বড়ছেলে আর মেয়েটা খুব কাদছে .উথাল পাতাল কান্না ,আহারে.....ফিরে আসতে ইচ্ছে করছে.................জানি সম্ভব নয় ।
নিয়তি ! নিয়তি !! নিয়তি!!
কিছুক্ষণের মধ্যে বুঝতে পারলামএবার সত্যি সত্যি আমার সময় শেষ ...............
কয়েকটা চ্যাংড়া ডাক্তার দ্রুত হাতে আমায় ব্যবচ্ছেদ করে ফেলতেই
রক্তকে তার নগ্নতা থেকে বের করে দিলো ।
আমার দেহটিকে খুলে ফেলার আগে প্রশংসিত করলো ....
মর্গে আমার দেহকে প্রস্তুত করল পাঠ্যসূচি হিসাবে .....................
আগামীদিনের সকল মানুষের মঙ্গল কামনায় ........................তারা আমায় ব্যবচ্ছেদ করতে লাগলো।
এই গাছের নির্যাস থেকে তৈরি হয় হেমলক বিষ । এর লতা পাতা ফুল বিচি সবই বিষাক্ত ।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:১৯