আমার এ পোষ্টটি সবার ভালো না ও লাগতে পারে । যাদের মুক্তিযুদ্ধ ও আমাদের স্বাধীনতার গৌরবগাঁথা সর্ম্পকে বিন্দু মাত্র শ্রদ্ধাবোধ বা আগ্রহ নাই তারা দয়া করে এ পোস্টটি এড়িয়ে যাবেন।
এক নজরে মুক্তিযুদ্ধের শুরু থেকে শেষ
=================================
মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিঃ ঘটনাক্রম
=======================
আমাদের স্মৃতিসৌধের ৭টি ফলক। এই পোস্ট সাজানো হয়েছে সেই ৭টি ফলকের আলোকে।
(১) ভাষা আন্দোলন
(২) ১৯৫৪ সালের নির্বাচন
(৩) ১৯৫৮ সালের সামরিক শাসনের
বিরুদ্ধে আন্দোলন
(৪) শিক্ষা আন্দোলন, ১৯৬২
(৫) ৬ দফা, ১৯৬৬
(৬) গণ অভ্যুত্থান, ১৯৬৯
(৭) মুক্তিযুদ্ধ
================================================================================
লাহোর প্রস্তাবঃ
=============
উত্থাপনঃ ২৩ মার্চ, ১৯৪০.
উত্থাপকঃ শেরেবাংলা এ. কে. ফজলুল হক।
স্থানঃ লাহোরে মুসলিম লীগের বৈঠক।
দফাঃ ৪ টি।
১. ভৌগলিক দিক থেকে স্বতন্ত্র রাষ্ট্র গঠন ।
২. মুসলমান সংখ্যা গরিষ্ঠতার ভিত্তিতে স্বতন্ত্র রাষ্ট্র গঠন ।
৩. রাজ্যগুলো স্বায়ত্বশাসিত হবে,।
৪. সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষার বিধান ।
=============================
দেশ বিভাগঃ
==============
@পাকিস্তান স্বাধীনতা পায়ঃ ১৪আগষ্ট, ১৯৪৭
@গভর্ণর জেনারেলঃ মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ।
@ভারত স্বাধীনতা পায়ঃ ১৫ আগষ্ট, ১৯৪৭
@গভর্ণর জেনারেলঃ লর্ড মাউন্ট ব্যাটেন।
ভাষা আন্দোলনঃ
=================
দেশ ভাগের সময় বাংলা ভাষাভাষীর শতকরা হারঃ
বাংলা- ৫৪.৬%, পাঞ্জাবী-২৭.১%,
পশতু- ৬.১%, উর্দূ-৬%, সিন্ধী- ৪.৮%, ইংরেজী-১.৪%।
২ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৭: তমুদ্দুন মজলিশ গঠন করা হয়। ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষিতে এটাই সর্বপ্রথম সংগঠন।
সদস্যঃ ৩;
সংগঠকঃ অধ্যাপক আবুল কাশেম (ঢাঃ বিঃ)।
বাকী সদস্যঃ সৈয়দ নজরুল ইসলাম, শামসুল আলম।
১৯৪৭ সালে করাচীতে কেন্দ্রীয় শিক্ষা সম্মেলনে উর্দূকে রাষ্ট্রভাষা প্রস্তাবনার প্রতিবাদে জানুয়ারী,১৯৪৮; ঢাকায় গঠিত হয়’রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ’।
এই পরিষদের দাবী ছিলঃ
১. বাংলা হবে শিক্ষার বাহন ও অফিস আদালতের মাধ্যম,
২. পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হবে বাংলা ও উর্দূ
২৩ ফেব্রুয়ারী, ১৯৪৮: পাকিস্তান প্রথম গণ-পরিষদের প্রথম অধিবেশনে ’ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত’
বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবী প্রথম উত্থাপন করেন।পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খান এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন।
২৬ ফেব্রুয়ারী, ১৯৪৮: ধর্মঘট পালিত হয় পূর্ব বাংলায় এবং অব্যহত থাকে ১৫ মার্চ, ১৯৪৮ পর্যন্ত। পূর্ব বাংলার তৎকালীন
মূখ্যমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দিন দাবি সমর্থনের আশ্বাস দেন।
২১ মার্চ, ১৯৪৮: রেসকোর্স ময়দানে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঘোষণা করেন- ’উর্দূই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা’।
২৪ মার্চ, ১৯৪৮: কার্জন হলে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঘোষণা করেন- ’উর্দূই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা’। এর
ফলে আন্দোলন আবার শুরু হয়।১৯৫০ সালে লিয়াকত আলী খানও একই ঘোষণা দেন।
২৬ জানুয়ারী, ১৯৫২: পাকিস্তানের নব নিযুক্ত প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দিন ঘোষণা দেন- ’উর্দূই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা’
।৩০ জানুয়ারী, ১৯৫২: ঢাকায় ধর্মঘট পালিত হয় এবং এদিনই ’সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম কমিটি’ গঠন করা হয়। কমিটির বৈঠকে ২১
ফেব্রুয়ারীকে ভাষাদিবস ঘোষণা করে,২১ ফেব্রুয়ারী , ১৯৫২; হরতাল আহবান করা হয়।
২১ ফেব্রুয়ারী, ১৯৫২: পূর্ব বাংলার গভর্ণর নূরুল আমিন, ২১ ফেব্রুয়ারীর কর্মসূচী নষ্ট করার জন্য ওইদিন ১৪৪ ধারা জারী করে।
ভাষা আন্দোলনকারীরা ১৪৪ ধারা অমান্য করে মিছিল শুরু করে।
তখন মিছিলে পুলিশ গুলি চালালে সালাম, বরকত শফিক সহ অনেকে শহীদ হন এবং প্রচুর আন্দোলনকারী আহত হন। আন্দোলন
অব্যহত থাকে।
উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা ঘোষণার সিদ্ধান্ত পিছিয়ে যায়।
২৩ ফেব্রুয়ারী, ১৯৫২: প্রথম শহীদ মিনার উদ্বোধন করেন শহীদ শফিউরের পিতা-মৌলভী মাহবুবুর রহমান
চলবে
তথ্য সূত্রঃইন্টারনেট ও বিভিন্ন বই এর সাহায্য নেওয়া হয়েছে ।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ৮:১০