[link|https://www.somewhereinblog.net/blog/Rafiqvai/30280327|মুক্তিযুদ্ধ আমাদের গৌরব গাঁথা আমাদের ইতিহাস : ঘটনাপঞ্জি ও জানা অজানা তথ্য। [১]]
২য় পর্ব
যুক্তফ্রন্ট গঠনঃ
৪ ডিসেম্বর, ১৯৫৩।
প্রধান সংগঠকঃ মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী,শেরেবাংলা এ. কে. ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী।
১৪ অক্টোবর, ১৯৫৪: ১৯৪৮ সালে গঠিত গণ পরিষদ বাতিল হয়।
১৯৫৪ সালের নির্বাচনঃ
যুক্তফ্রন্ট গঠিত হবার পর ২১ দফা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করে- যার প্রথম দফা ছিল বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করা।
নির্বাচনের আসন সংখ্যাঃ ৩০৯
(স্পিকার সহ ৩১০)। মহিলা আসন ৯টি।
মুসলিম আসনঃ ২৩৭
যুক্তফ্রন্ট জয়ী হয়ঃ ২২৩ টি আসনে।
৩ এপ্রিল, ১৯৫৪: যুক্তফ্রন্ট সরকার গঠন করে। পূর্ব বাংলার মূখ্যমন্ত্রী হন শেরেবাংলা এ. কে.ফজলুল হক।
৩০ মে, ১৯৫৪: কেন্দ্রীয় সরকার যুক্তফ্রন্ট সরকার বাতিল করে।
২৯ ফেব্রুয়ারী, ১৯৫৬: পাকিস্তানের প্রথম শাসনতন্ত্র (দ্বিতীয় গণ পরিষদ কর্তৃক) গৃহীত হয়।
২৩ মার্চ, ১৯৫৬:
১. পাকিস্তানের প্রথম শাসনতন্ত্র কার্যকর হয়,
২. পূর্ব বাংলার নাম রাখা হয় পূর্ব পাকিস্তান,
৩.বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করা হয় শাসনতন্ত্রের ২১৪ নং অনুচ্ছেদে।
১৯৫৮ সালের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনঃ
৭ অক্টোবর, ১৯৫৮:
১. ইস্কান্দর মির্জা পাকিস্তানের প্রথম প্রেসিডেন্ট হিসেবে সামরিক শাসন জারী করেন,
২. ২৩ মার্চ, ১৯৫৬ সালে গৃহীত শাসনতন্ত্র তিনি বাতিল করেন।
২৭ অক্টোবর, ১৯৫৮: ইস্কান্দর মির্জার স্থলে আইউব খান দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
শিক্ষা আন্দোলন, ১৯৬২:
১৯৬২ সালে ’হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশন’ শিক্ষাকে এলিট শ্রেণীর উপযুক্ত বলে শিক্ষার ব্যয় বৃদ্ধি করে দেয়। কমিশনের রিপোর্ট অনুসারে শিক্ষাকে লাভজনক করার জন্য অবৈতনিক শিক্ষা অবাস্তব ঘোষণা করা হয়। যার ফলে,
শিক্ষাকে মৌলিক অধিকার করে তোলার জন্য আন্দোলন দানা বাঁধতে থাকে।
৩০ জানুয়ারী, ১৯৬২: হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীকে করাচীতে গ্রেফতার করা হয়। এর প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনি ধর্মঘট জারী হয়। গ্রেফতার হন,তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া, শেখ মুজিবর রহমান এবং আবুল মনসুর আহমেদ।
১ মার্চ, ১৯৬২: পাকিস্তানের নতুন শাসনতন্ত্র জারী।
১৯ আগষ্ট, ১৯৬২: হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীকে মুক্তি দেয়া হয়।
১৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৬২: ’হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশনের রিপোর্ট বাতিলের দাবীতে মিছিলে পুলিশ গুলি চালায়, এবং তাতে কয়েকজন শহীদ হন। ১৭
সেপ্টেম্বরকে শিক্ষা দিবস ঘোষণা করা হয়।
৭ অক্টোবর, ১৯৬২: সমগ্র পাকিস্তানে প্রতিবাদ দিবস পালিত হয়।
৬ দফা, ১৯৬৬:
উত্থাপকঃ শেখ মুজিবর রহমান জাতীয় ’মুক্তির সনদ’ খ্যাত ৬ দফা রচিত হয় লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে।
দফা সমূহঃ
১. লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে ফেডারেশন সরকার গঠন,সংবিধান প্রণয়ন ও স্বায়ত্বশাসন,
২. প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র বিষয়ক ক্ষমতা থাকবে কেন্দ্রীয় সরকারের,বাকী ক্ষমতা প্রাদেশিক সরকারের,
৩. দুই প্রদেশের জন্য আলাদা মুদ্রা এবং আলাদা স্টেট ব্যাংক স্থাপন,
৪. কর ও শুল্ক নির্ধারণ ক্ষমতা থাকবে প্রাদেশিক সরকারের,
৫. বৈদেশিক মুদ্রা তত্ত্বাবধান,নিয়ন্ত্রণ ও বিনিময় প্রাদেশিক সরকারের হাতে থাকবে,
৬. আঞ্চলিক প্রতি্রক্ষা বাহিনী গঠন।সম্মেলনে ৬ দফা উত্থাপন
৫ ফেব্রুয়ারী, ১৯৬৬: কেন্দ্রীয়১৩ ফেব্রুয়ারী, ১৯৬৬: বিরোধী দলীয় সম্মেলনে ৬ দফা উত্থাপন।
২৩ মার্চ, ১৯৬৬: লাহোরে আনুষ্ঠানিকভাবে ৬ দফা উত্থাপন।
আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, ১৯৬৮:
৩ জানুয়ারী, ১৯৬৮: আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দায়ের।
১৮ জানুয়ারী, ১৯৬৮: শেখ মুজিবগ্রেফতার।মামলার অভিযোগঃ আগরতলায়,বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রয়োজনে ভারতের সহযোগিতার পরিকল্পণা করা হয়। রাষ্ট্রদ্রোহীতার কারণ দেখিয়ে মামলা দায়ের করা হয়।আগরতলা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেনঃ শেখ মুজিবর রহমান, আলী রেজা, ভারতের ইন্টার ইন্টেলিজেন্স বিভাগের ব্রিগেডিয়ার মেনন।
মামলার আসামীঃ ৩৫ জন।ষড়যন্ত্র ফাঁস করেনঃ আমির হোসেন মামলার বিশেষ আদালতের বিচারপতিঃ এস. এ. রহমান
শেখ মুজিবের পরে আইনজীবিঃ শহীদ ময়েজ উদ্দিন।
গণ অভ্যুত্থান, ১৯৬৯:
৫ জানুয়ারী, ১৯৬৯: ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠন।
২১ দফার সাথে ৬ দফা মিলিয়ে ১১দফা এবং আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা বাতিল করে শেখ মুজিব সহ ৩৫জন আসামীর মুক্তির দাবীতে ছাত্রসংগ্রাম পরিষদ এর নেতৃত্বে গণঅভ্যুত্থান শুরু হয়।
৮ জানুয়ারী, ১৯৬৯: গণতান্ত্রিকসংগ্রাম পরিষদ গঠন।
১৮ জানুয়ারী, ১৯৬৯: চূড়ান্ত বিক্ষোভশুরু।
২০ জানুয়ারী, ১৯৬৯:
১. এক মাসের জন্য ১৪৪ ধারা জারী,
২. বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের গুলি বর্ষণ, ৩. গুলিতে আসাদ শহীদ হন।
২৪ জানুয়ারী, ১৯৬৯: নবকুমারইনস্টিউটের দশম শ্রেণীর ছাত্র মতিউর শহীদ হন।
১৫ ফেব্রুয়ারী, ১৯৬৯:আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার আসামী সার্জেন্ট জহুরুল হক-কে ক্যান্টনমেন্টের ভেতর গুলি করে হত্যা করা হয়।
১৮ ফেব্রুয়ারী, ১৯৬৯:রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রক্টর শামসুজ্জোহাকে গুলি করে হত্যা করা হয়
২২ ফেব্রুয়ারী, ১৯৬৯: গণঅভ্যুত্থানেরমুখে আগরতলা মামলা প্রত্যাহারকরে শেখ মুজিবকে মুক্তি দেয়া হয়।
২৩ ফেব্রুয়ারী, ১৯৬৯: শেখ মুজিবকে বঙ্গবন্ধু উপাধি দেন তোফায়েল আহমেদ।
২০ মার্চ, ১৯৬৯: গভর্ণর মোনায়েম খানের অপসারণ
২৫ মার্চ, ১৯৬৯: আইয়ুব খানের পদত্যাগ ও জেনারেল ইয়াহিয়া খানের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর।
৫ ডিসেম্বর, ১৯৬৯: বঙ্গবন্ধু শেখমুজিবর রহমান পূর্ব পাকিস্তানেরনামকরণ করেন ’বাংলাদেশ’।
১৯৭০ সালের নির্বাচনঃ
৭ ডিসেম্বর, ১৯৭০: জাতীয় পরিষদের নির্বাচন।
১৭ ডিসেম্বর, ১৯৭০: প্রাদেশিকপরিষদের নির্বাচন।
নির্বাচনের বিবৃতিঃ
জাতীয় পরিষদের নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তানের ১৬৯ টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ পায় ১৬৭ টি আসন।
প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তানের ৩১৩ টি আসনের (১৩টি মহিলা আসন) মধ্যে আওয়ামী লীগ পায় ২৮৮ টি আসন।
চলবে
তথ্য সূত্রঃইন্টারনেট ও বিভিন্ন বই এর সাহায্য নেওয়া হয়েছে ।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৩