মুক্তির তীব্র নিনাদে
প্রখর প্রফুল্ল চিৎকার,
উল্লসিত বিজয় ঘোষণায়
দারুন অমস এক লড়াইয়ে,ত্যাগে
বিজয়ীর বেশে।
বহুমাত্রিক শোকগাঁথার অবলম্বনে
জয়ের বাধ ভাঙা জোয়ার নিয়ে যেন স্বাধীনতা এলো অবশেষে।
কাঙ্খিত স্বাধীনতা।
এরপর বাস্তবতায়
বিজয়ের এত বছর পর আশা এবং আক্ষেপ দুটোই বর্তমান।
কি পেয়েছি ,কি পাইনি,
কি চেয়েছি ,কি চাইনি,
সাথে ব্যক্তিগত হিসাব !
যুদ্ধ কি কেউ হিসাব করে করেছিলো?
সেতো ছিলো সময়ের দাবি,
স্বাধিকারের লড়াই।
মুক্তির সংগ্রাম।
নিজস্ব দায়িত্ববোধ....
অনেক তো হলো তর্ক।
এর মাঝে স্রোতের অনুকূলে ঢুকে গেল,
বিজাতীয় পাকিদের রক্ত,
রাজাকার আলবদরের ভক্ত,
হিংস্র হায়েনাদের প্রেতাত্মা!
করলো অতি সুক্ষমাত্রার প্রয়োগ
জাতির রন্ধ্রে রন্ধ্রে
ঘৃণার বিষ বাষ্প
তৈরি হলো আরেক দ্বিজাতি তত্ত্ব
আমাদের শিরায় শিরায় অতি সংগোপনে।
কেউ কেউ হয়ে গেলো
নিজের অজান্তে পাকি হানাদারের
রাজাকারদের ভক্ত, ধর্মের ভিত্তিতে।
আদর্শের অবকাঠামোগত বিনির্মাণে
৭১ এর ভাবনা, বোধ, চেতনা কি করে দিক ভ্রান্ত হলো?
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা আগস্ট, ২০২০ সকাল ৯:৫৬