শ্রদ্ধা জানাতে আসিনি আমি,
গাইতে আসিনি কোন গান সকরুণ সুরে।
জানাতে আসিনি কোন কষ্টের অনুভূতি।
শুধু এসেছি আমি এটুকু বলতে যে,
"আমি স্বেচ্ছায় আপনাদের পক্ষ ত্যাগ করছি, হে মাননীয়।"
আমি এতো এতো অন্যায় ও বিশৃঙ্খলার দায়ভার
বয়ে নিতে অপরাগ, হে মাননীয়।
আপনার রাজ্যে মানবাধিকার আজ পদে পদে লাঞ্চিত,
বাক স্বাধীনতা আজ রুদ্ধ।
আপনার ভয়টা ঠিক কোথায় আমি বুঝলাম না।
তাই,
পক্ষ ত্যাগই হোক আমার প্রতিবাদের ভাষা।
আর কিবা করতে পারি এ ছাড়া আমরা,
আমাদের মত সাধারণ মানুষেরা।
শেষ আশ্রয়স্হল যখন ভেঙে পড়েছে একে একে তখন হতাশা এসে ঘিরে ধরে।
আপনি আমার হাত অদৃশ্য শৃঙ্খলে আবদ্ধ করে রেখেছেন, হে মাননীয়।
আমার জবানে লাগাম দিয়েছেন, হে মাননীয়।
আমার দৃষ্টি এখন বাঁধাগ্রস্হ,
আমি দেখেও কিছু দেখি না এখন।
আপনার রাজ্যে এখন নির্বিচারে মানব হত্যা বৈধতা পেয়েছে ।
সত্য বলা এখানে মহা অন্যায়।
ধর্ষণ জায়েজ।
দূর্নীতি সে হতেই পারে,
উন্নয়নের সাথে দূর্নীতি সম্পর্কযুক্ত তাই!
আমি আতঙ্কিত হে মাননীয়।
আমার ছোট ছোট দুটি বাচ্চা আছে।
আমার একটা সংসার আছে।
আরো আছে বৃদ্ধ বাবা মা।
একটি অবিবাহিতা বোন।
আমার যে অনেক দায় দায়িত্ব।
আছে নিজের জীবনের প্রতি ভীষণ রকম মায়া।
তবুও এসেছি
এই সামান্য প্রতিবাদটুকু প্রকাশ করতে।
হ্যাঁ, বিবেকের দংশন হতে রেহাই পেতে।
আপনি আমাকে কারাগারে অন্ধকার কুঠুরিতে নিক্ষেপ
করতে চাইলে করুন।
তবু আমি বলবো
আমি আপনার বর্তমান কার্যকলাপের প্রতিবাদ স্বরূপ, স্বেচ্ছায়, সজ্ঞানে, করো প্ররোচনায় নয়,
একান্ত নিজ ইচ্ছায়,নিজ দায়িত্বে আপনার পক্ষ ত্যাগ করছি।
কিছুটা দায় মুক্ত হতে হয়তো,
তবে সত্যি কি হতে পারবো দায় মুক্ত হতে?
এতো সহজ দায় মুক্তি।
প্রশ্ন থেকেই যায়।
©রফিকুল ইসলাম ইসিয়াক
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:২০