#Save Palestine
কেউ বাড়িয়েছিল হাত যেদিন তোমরা চেয়েছিলে আশ্রয়?
কেউ দেখেছিল কি ফিরে, যেদিন তোমরা হাহাকার ভরা আর্তনাদে সব হারিয়ে দিয়েছিলে চিৎকার?
কেউ হয়েছিল কি সমব্যথী যখন তোমার জনগোষ্ঠী বিলুপ্ত হতে যাচ্ছিল?
হ্যাঁ বাড়িয়েছিল হাত।
দেখেছিল ফিরে।
হয়েছিল সমব্যথী।
একটি জনগোষ্ঠী।
হ্যাঁ,ফিলিস্তিন জনগোষ্ঠী।
অন্য কেউ তো নয়!
তবে কেন আজ তাদের আশ্রয়ের সুযোগ নিয়ে তাদের করো বিনাশ?
তারা কি তোমাদের সকল শিশুর মুখে বিনা স্বার্থে খাবার তুলে দেয়নি?
তারা কি তোমাদের জীবন জীবিকাকে সচল করে মূল স্রোতে ফিরে আনতে সাহায্য করেনি?
তারা কি তোমাদের মুক্ত বাতাসে একটু হাঁটা চলা করার সুযোগ দিয়ে আনন্দ লাভ করেনি?
দিয়েছিল তো আশ্রয়, জুগিয়েছিল তো তোমাদের শিশুদের মুখের অন্ন।
নিয়েছিল তো ভাগ করে যা ছিল দরিদ্রের সংসারে।
সব ভুলে গিয়ে,
দিনে দিনে সেই তোমরা সেই আশ্রিতরা একটু একটু করে নিয়েছো দখলে আশ্রয়দাতার
ঘর গেরস্থালী মাঠ প্রান্তর।
প্রতিবাদে জেগে উঠলে তাকে করেছো তুমুল প্রতিরোধ
দিনশেষে তারা হয়েছে বাস্তুচ্যুত।
তোমাদের সুপরিকল্পিত আঘাতে।
তোমার শিশুর মুখের আহারের জোগানদাতার শিশুগুলোর দিকে নিক্ষেপ করো আজ
বুলেট বোমা।
তাদের রক্তাক্ত করো, ক্ষতবিক্ষত করো, এতিম করো,তার পরিবারকে করো নিঃশ্চিহ্ন।
তাদের জীবনকে করো অনিশ্চিত।
হায় প্রতিদান!
অকৃতজ্ঞ জাতি!
এই বুঝি উপকারীর প্রতিদান?
জেনে রেখো,
জালিম আর জুলুম কখনো চিরস্থায়ী হয়নি কখনো।
তুমিও বা তোমরাও নও চিরস্থায়ী এই পৃথিবীতে।
ইতিহাস থেকে মানুষ শিক্ষা নেয় না এটাই আফসোস।
তাই ইতিহাস ফিরে আসে বার বার।
এমন কিছু করো না
যাতে ইতিহাস তোমাদের মুখে ছিটায় ঘৃণার থুতু, বারংবার, বারংবার।
তোমাদের ধিক্কার জানাই।
তোমাদের ধিক্কার জানাই।
তোমাদের ধিক্কার জানাই।
তোমাদের অহংকার,
তোমাদের দর্প,
তোমাদের আত্মগরিমা।
ধ্বংস হোক।
ধ্বংস হোক।
ধ্বংস হোক।
© রফিকুল ইসলাম ইসিয়াক
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৬:১১