রাত তিনটা বাজে। সমস্ত এলাকাটায় কবরের নিস্তব্দতা।অনিরও বেশ গা ছমছম করছে।অন্য দিন তো এমন হয় না আজ হঠাৎ কি কারণে গা ছমছম করছে সে ঠিক বুঝতে পারছে না। বিকালে সুমির কথাগুলোয় কিসের ইঙ্গিত ছিল?
সে যে রাস্তা ধরে হাঁটছে সেই রাস্তার বাতিগুলো কোন এক কারণে ঠিক মতো কাজ করছে না।অনি এক ফাঁকে রাস্তার মাথায় গিয়ে জরুরি কাজটি সেরে নিলো।চাপ মুক্ত হতে পেরে এখন তার বেশ ভালো লাগছে। যদিও গা ছমছমে ভাবটা কমেনি।মনে হচ্ছে অশরীরি কোন কিছু তার পিছু নিয়েছে। আচ্ছা সে কি ফিরে যাবে? আগে কোনদিন তো এমন হয় নি।
সে ঘড়ি দেখলো, অলরেডি পনেরো মিনিট লেট।নেহাত এই পাড়ার কুকুরগুলো তার চেনা। দিনের বেলা এদিকে এসে খাবার দিয়ে হাত করা আর কি। নয়তো এতক্ষণে সারমেয় গুলো ঠিকই হৈচৈ শুরু করে দিতো।কালো রঙের একটা বেশ বড় সড় কুকুর তাকে অতিক্রম করার সময় তার বেশ ভয় করতে লাগলো । এই কুকুরটাকে তো এর আগে এই এলাকায় দেখা যায় নি।
রাহুল সাধারণত এতো দেরি করে না। আজকের গন্তব্য কোথায় অনি জানে না, ফোনে জিজ্ঞেস করলেও রাহুল পরিষ্কার জানায়নি তাকে। তা না হলে সে আগে থেকে জায়গা মতো পৌছে যেতো।
ঝামেলা যত তাড়াতাড়ি মেটানো যায় তত ভালো।অনি এক ফাঁকে পকেট হাতড়ে দেখে নেয় ব্লেডের প্যাকেটটা ঠিক ঠাক আছে কিনা। হ্যাঁ ঠিকই আছে, ছুরিটিও আছে জায়গা মত। একটা ক্রু হাসি দেয় সে আজই খেলা ফাইনাল করতে হবে। এই অস্থির জীবনযাপন তার আর পোষাচ্ছে না।
সুমিও তাকে সন্দেহ করা শুরু করেছে
মাঝরাতে যার স্বামী হুটহাট না বলে বাইরে বেরিয়ে যায় তাকে তো যে কোন মেয়ে সন্দেহ করবেই।
পিছন থেকে কেউ একজন ঘাড়ে হাত দিতেই দারুণ ভাবে চমকে উঠে তাকাতেই অনি দেখলো......
© রফিকুল ইসলাম ইসিয়াক।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৫:১৪