(খুব মনোযোগ সহকারে নিচের প্রতিটি অংশ পড়ুন)
কি ঘটেছিলো সেদিন-
- জিয়াদ পাইপে পড়ে যায় শুক্রবার সাড়ে তিনটার
দিকে।
- উদ্ধার অভিযান শুরু হয় বিকেল ৫ টায়।
- ৬০০ ফুট গভীরে দড়ি ফেলা হয় রাত আট টায়।
- রাত সাড়ে আট টায় ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে
বলা হয় শিুশুটি সাড়া দিচ্ছে। রশি ধরে উঠার চেষ্টা
করছে। কিন্তু রশি ধরে উঠে আসতে পারছে না।
- ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে বলা হয় শিশুটির জন্য
৬০০ ফুট গভীরে জুস ও পানি পাঠানো হয়েছে।
- সে জুস খাওয়ায় এবং সাড়া দেওয়ায় তাকে
অক্সিজেন সরবরাহ করা হয় রাত ৯ টায়।
- রাত পৌনে ১২টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের
উদ্ধারকর্মী মনির হোসেন জানান, জিয়াদের
সঙ্গে তার বেশ কয়েকবার কথা হয়েছে। জুস
পাঠানোর পর জিয়াদ বলেছিল সে একটুখানি জুস
খেয়েছে। উপর থেকে দড়ি ফেলার পর সে
বলেছিল, ‘আমি ধরতে পারছি না।’
- রাত ১ টায় সেই মনির হোসেন জোর গলায়
আবারও জানান, রাত সাড়ে ১১টার দিকে তিনি পাইপের
ভেতর থেকে অস্বাভাবিক কান্নার শব্দও শুনতে
পেয়েছেন।
- রাত আড়াইটার দিকে ৬০০ ফুট গভীরে ক্যামেরা
নামিয়ে ক্যামেরায় তেলেপোকা, টিকটিকির সন্ধান
মেলে। কিন্তু জিয়াদের কোনো হদিস মেলেনা
- রাত ৩ টায় একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা পাইপের
মধ্যে কোনো শিশু পড়ে যাওয়ার বিষয়টি গুজব
বলে উল্লেখ করেন।
- একই সময়ে স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রীও পাইপের
মধ্যে শিশু পড়ে যাওয়ার বিষয়টি গুজব বলে উল্লেখ
করেন।
- পরদিন অর্থাৎ শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে
আনুষ্টানিকভাবে উদ্ধার অভিযান পরিত্যক্ত ঘোষণা
করা হয়।
আসুন তার পরের প্রকৃত ঘটনাতে যা অনেকের
অজানা-
- জিয়াদ পাইপে পড়ে যায় শুক্রবার সাড়ে তিনটার
দিকে।
- তার কিছুক্ষণের মধ্যেই জিয়াদের বাবাকে দুইজন
ব্যক্তি লোক চক্ষুর আড়ালে নিয়ে যায়। জানা যায়,
এই দুই জন স্থানীয় যুবলীগ নেতা।
- ৩ ঘন্টা ধরে যখন জিয়াদের বাবাকে খুঁজে পাওয়া
যাচ্ছিলো না তখন কাজে আবিষ্কার করা হয় থানাতে।
- থানায় নিয়ে স্থানীয় ওই দুই যুবলীগ নেতা এবং
পুলিশ জিয়াদের বাবাকে হত্যার হুমকি দেয়।
- জিয়াদের বাবা জোর পূর্বক ঘটনাস্থলে আসার
চেষ্টা করলে ওই দুই যুবলীগ নেতা পুলিশের
সহযোগিতায় জিয়াদের বাবাকে থানায় আটকে রাখে।
- জিয়াদকে উদ্ধারের জন্য রাত ১২ টায় যখন
সেচ্ছাসেবক প্রস্তুত ঠিক তখনি ফায়ার সার্ভিস
মহাপরিচালকের মোবাইলে কোনো এক
গায়েবী কল আসে, তার পরেই বাতিল হয় ওই
সেচ্চাসেবীকে পাইপে নামানোর সিদ্ধান্ত।
- তারপর সময় অপচয় আর মিডিয়াকে একটি পাইপমুখী
করে রাখা হয় সারাটি রাত।
- ২৩ ঘন্টার নাটকীয়তার শেষে পরদিন বেলা
আড়াইটায় সমাপ্ত ঘোষণা করা হয় উদ্ধার কাজ।
- বেলা তিনটার দিকে উদ্ধার করা হয় জিয়াদের লাশ।
শুনলে অবাক হয়ে যাবেন-
- পাইপে পড়ে যাওয়ার দুই ঘণ্টার মধ্যেই মারা যায়
জিহাদ।
- ৫-৫:৩০ এর মধ্যেই মারা যায় জিয়াদ।
- পাইপের নিচে থাকা পানিতে ডুবে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে
মারা যায় সে।
- মাথায় আঘাত পাবার কারণে পড়ে যাওয়ার পর পরেই
কথা বলার শক্তি হারিয়ে ফেলে জিয়াদ।
- ৬০০ ফুট নয় মাত্র ২৪০ ফুট গভীর থেকে উদ্ধার
করা হয় জিয়াদকে।
- ২৩ ঘন্টা নয়, মাত্র ২৩ মিনিটেই উদ্ধার করা হয়
তাকে।
- জিয়াদ ২৪০ ফুট গভীরেই পানিতে ডুবে মারা
গেছে, অথছ রাত আড়াইটায় সারা দেশ বাসীকে
ধোকা দেওয়া ওই ক্যামেরা ৬০০ ফুট নিচে গিয়েও
পানি অথবা জিয়াদের হদিস পায়নি।
বড়ই কষ্ট লাগে ভাবতে, এ দেশে ম্যানহোলের
ঢাকনা বন্ধ থাকে না, কিন্তু ফেসবুক, টুইটার, স্কাইপি
বন্ধ থাকে!!!
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩০