রূপাঃ হিমু। তুমি উঠবে না ?? এই রোদের
মধ্যে শুয়ে আছো কেন ??
হিমুঃ তুমি জাননা রূপা আজ আমি সকল
মায়া উপেক্ষা করে সবার কাছ থেকে
দূরে যাচ্ছি।
রূপাঃ কিন্তু তুমি যে বাদলের মত হাজার
মায়া রেখে যাচ্ছ । এরা তো তোমাকে
মুছে ফেলতে পারবে না হিমু।
হিমুঃ রূপা আমার মরণে কেউ কাঁদবে
সেটা তো আমি চাইনি। আমি
চেয়েছিলাম কেউ কাঁদবে না। সবাই
তাদের মতো করে আমাকে সাজাবে।
আজীবন লালন করবে আমাকে।
রূপাঃ লালন করবে ঠিক কিন্তু তোমার
মুক্তি তো হবে না হিমু।
হিমুঃ আমি চাই না মুক্তি। আজ আমার
মতো ক্ষুদ্র মানবের জন্য যদি ওই পা
ভাঙ্গা কুকুর চোখের জল ফেলে তবে
সেটা হবে আমার বাবার কৃতিত্ব। আমি
তো শুধু তার কথা মতই চলেছি। " আজ আমি
ক্লান্ত রূপা। আমি আর হাঁটতে পারছি
না। কেউ যেতে না দিলেও আমার বাবা
আমায় ডাকছে। বলছে আমি নাকি মাহা-
মানব হয়ে গেছি। "
রূপাঃ হিমু। এই হিমু মহা মানবের সাথে
যে আমি রূপা নামক এই অধ্যায়ের সমাপ্তি
হচ্ছে সেটা কি জানো ??
হিমুঃ জানতে চাই না রূপা। ওহ তাহলে
একেই বুঝি মৃত্যু বলে !!!!! কই কোন কষ্ট
নেই
তো। মরণে আমার ওপার শান্তি ।
রূপাঃ হুম। আমিও এই মিষ্টি ঘ্রাণ পাচ্ছি।
এটাই বুঝি সবার কাছে মৃত্যু নামের
পরিচিত ।
হিমুঃ রূপা। আজ কেন জানি তোমার
হাতটা ধরতে ইচ্ছা করছে। বাইরে তো
বৃষ্টি নেই। বৃষ্টি হলে " বৃষ্টি বিলাস "
করা যেত। পূর্ণিমাও অনেক বাকি।
পূর্ণিমা হলে " জোছনায় স্নান " করা
যেত। আজ খুব রোদ। তাহলে কি আমাদের
পূর্ণতা এই রোদের মাঝেই হবে ??
রূপাঃ হয়তো। চলো। আমরা সবার চোখের
জলে সিক্ত হয়ে সবার মনে ছোট্ট একটা ঘর
বাধি। তার নাম হবে " মায়া ঘর "
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩০