somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

:| ভুত কি গাছে ধরে। (আমার লেখা প্রথম ফঢ়ঢ় গপ্পো।)

২১ শে জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১:৩৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



ভুত কি গাছে ধরে। (আমার লেখা প্রথম ফঢ়ঢ় গপ্পো।)

ঘুট ঘুটে অন্ধকার রাত। সাথে এমন কেউ নাই যার সাথে গপ্পো করে এই নিড়ব রাতে পথ চলা যায়। হাতে পেন্ছিল ব্যাটারির একটা ছোট লাইট এটাই ভরশা। রাতে চা খাওয়ার অভ্যাস সেই ছোট বেলা থকেই। বেশি বেশি চা খাওয়ার জন্য সব সময় একটু আঢটু ঝাড়ি খাওয়া লাগে সব সময়। গ্রামের বাড়ি বেরাতে গিয়েও এটা বহাল রাখছি নিয়মিত ভাবে। পাসের বাড়ির এক মামা নদীর পারে যাবেন একটা কাজে। আমি ও সাথে রওয়ানা দিয়ে দিলাম। মামা আমাকে চায়ের দোকানে রেখে ওনার কাজে চলে গেলেন। আমি এক কাপ চা শেষ করে অনেক ক্ষন বসে বসে রেডিওর গান শুনলাম রাত বাজে ৮ টা গ্রামে এটা অনেক রাত। আরো এক কাপ চা খেলাম। দোকান বন্ধ করার সময় হয়ে গেছে। দোকানী আমাকে জিঙ্গাস করে আপনি বাড়ী যাবেন না? আমি বল্লাম হুম যাবো মামা আসবে বলে গেলেন... আমি ওনার জন্য অপেক্ষা করতেছি। উনি বল্লেন আপনার মামার আসতে হয়তো দেড়ি হবে আপনি বাড়ি চলে যান। তার পরেও একটু অপেক্ষা করে আমি ৯টার দিকে বাড়ি রওয়ানা দিলাম। দোকানী আমাকে একটু সাবধানে যেতে বল্লো। গ্রামের পথ তার উপরে এত রাত এও বল্লো আজকে আমাবর্ষার রাত। বাড়িতে যাওয়ার হাটা পথ ১০ মিনিটের মত। যাওয়া লাগে চিকন একটা রাস্তায় আসে পাসে বাঁশ ঝার। ঝি ঝি পোকা অনবরত ডেকে যাচ্ছে। মাঝে মাঝে পেঁচার ডাক কানে আসছে। আমার হাতের লাইটের ব্যাটারীও কেমন যেন এখন একটু আলো কম দিচ্ছে। ইস্ কি ভুলটাই না করলাম দোকান থেকে কেন ২টা নতুন ব্যাটারী কিনে নিলাম না। ঠিক এমন সময় কানের কাছ দিয়ে কি একটা যেন উরে চলে গেলো। বুকের মধ্যে ছ্যত করে উঠলো.... হার্ডবিট মনে হয় অনেক গুন বেরে গেছে... ঢুর ঢুর শব্দ নিজ কানে কখনো এমন শব্দ শুনেছি বলে মনে পরছে না। সামনের যায়গাটা ঠিক তেমন নিরাপদ ও না। আমার বাম পাসে ৩টা কবর ঠিক তার পাসেই বেশ বড় একটা শিমুল গাছ। লোক মুখে শোনা এই গাছে আমাবর্ষার রাতে এক ভুত দেখা যায়। ধুর আমার এখন এই সব মনে আসছে কেন। আমার এখন সাহশ দরকার অনেক সাহশ। একটু দুরে যেতেই কিযেন একটা আলোর মত চোখে পরলো। বাঁশ গুলো বাতাশে নরছে পাতা নড়ার শব্দ শুনে মনে হচ্ছে অনেক গুলো বাচ্চা ভুত কান্না করছে। নিজের অজান্তেই আমার হাটা বন্ধ হয়ে গেলো। একটা পাও আমি সামনের দিকে দিতে পারছিনা কেন। ঠিক এমন সময় দেখলাম অনেক লম্বা চুলের এক মেয়ে ঐ পলাশ গাছের উপর থেকে আমাকে দেখে হাসছে। কি বিদঘুরে সেই হাসি চোখতো নয় যেন আগুনের গোলা। এত লম্বা চুল গাছের উপরে বসে থাকার পরেও চুল গুলো গাছের নিচ পর্যন্ত ঝুলে আছে।
একি আমার এত ঠান্ডা লাগছে কেন?
শরীরটা পুরো বরফের মত ঠান্ডা হয়ে আসছে কেন?
গাছের পাতা গুলো এখন আর আগের মত নরছেনা কেন?
আবার সেই হাসি হা হা হা হু হু হু হু হি হি হি হি...........।
একটা লম্বা হাত আমাকে ধরার জন্য এগিয়ে আছে আমি ভয়ে দৌড়াব কিন্তু আমার পা নড়ছেনা আমার। আমি গলা ফাটিয়ে চিক্কার করবো আমার গলা দিয়ে একটা শব্দও বের হচ্ছে না। আমি শুধু শুনছি কারো হা হা হা হিহিহি হু হু হু করা হাসি.... কি কি অদ্ভুদ রকমের চেহারা গালে রক্ত গেলে আছে। একেবারে বুঝা যাচ্ছে কারো তাজা রক্ত কিছুক্ষন আগেই রক্ত খেয়ে এসেছে। কেমন কেমন করে যেন হাসছে.... হয়তো এখন আমার পালা আমাকে খাবে। ভয়ে আমি চোখে ঝাপসা দেখতে থাকি.... এবার এক হাত নয় ২ হাত দিয়ে আমাকে ধরার চেষ্টা করছে.... হাত দুটো আমার দিকে আস্তে আস্তে এগিয়ে আসতেছে.... আমার মুখ দিয়ে শুধু গু গা শব্দ বের হচ্ছে আমি চিৎকার করতে পারছিনা.... হাত আমাকে ধরে ফেলবে ঠিক এই....
ঠিক এই সময় কেউ আমাকে পেছন থেকে ধরলো আমি আমি চিৎকার......... দিলাম..........
না............ না...........না......এবার আমার গলা দিয়ে শব্দ বের হলো পেছনে চেয়ে দেখি মামা আমাকে ডেকে জিঙ্গাস করলো কিরে কি হইছে...... মামা ভু...ত ভু.......ত,,ত মামা। চল এখানে বেশিক্ষন থাকা ঠিক না। বাড়িতে চল...


কেমন হইলো আমার ফঢ়ঢ় গপ্পো ?? খারাপ হইতেই পারে এটা আমার প্রথম গপ্পো তাই বইলা কেউ মাইনাস দিলে খপর আছে বইলা দিলাম। নেটের সমস্যার কারনে এমনিতেই ঠিক মত ব্লগাইতে পারি না :(( তার উপর মাইনাস খাইলে আমি নাই হয়ে জামু। X(
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ২:৩২
৪০টি মন্তব্য ৩৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×