ভুত কি গাছে ধরে। (আমার লেখা প্রথম ফঢ়ঢ় গপ্পো।)
ঘুট ঘুটে অন্ধকার রাত। সাথে এমন কেউ নাই যার সাথে গপ্পো করে এই নিড়ব রাতে পথ চলা যায়। হাতে পেন্ছিল ব্যাটারির একটা ছোট লাইট এটাই ভরশা। রাতে চা খাওয়ার অভ্যাস সেই ছোট বেলা থকেই। বেশি বেশি চা খাওয়ার জন্য সব সময় একটু আঢটু ঝাড়ি খাওয়া লাগে সব সময়। গ্রামের বাড়ি বেরাতে গিয়েও এটা বহাল রাখছি নিয়মিত ভাবে। পাসের বাড়ির এক মামা নদীর পারে যাবেন একটা কাজে। আমি ও সাথে রওয়ানা দিয়ে দিলাম। মামা আমাকে চায়ের দোকানে রেখে ওনার কাজে চলে গেলেন। আমি এক কাপ চা শেষ করে অনেক ক্ষন বসে বসে রেডিওর গান শুনলাম রাত বাজে ৮ টা গ্রামে এটা অনেক রাত। আরো এক কাপ চা খেলাম। দোকান বন্ধ করার সময় হয়ে গেছে। দোকানী আমাকে জিঙ্গাস করে আপনি বাড়ী যাবেন না? আমি বল্লাম হুম যাবো মামা আসবে বলে গেলেন... আমি ওনার জন্য অপেক্ষা করতেছি। উনি বল্লেন আপনার মামার আসতে হয়তো দেড়ি হবে আপনি বাড়ি চলে যান। তার পরেও একটু অপেক্ষা করে আমি ৯টার দিকে বাড়ি রওয়ানা দিলাম। দোকানী আমাকে একটু সাবধানে যেতে বল্লো। গ্রামের পথ তার উপরে এত রাত এও বল্লো আজকে আমাবর্ষার রাত। বাড়িতে যাওয়ার হাটা পথ ১০ মিনিটের মত। যাওয়া লাগে চিকন একটা রাস্তায় আসে পাসে বাঁশ ঝার। ঝি ঝি পোকা অনবরত ডেকে যাচ্ছে। মাঝে মাঝে পেঁচার ডাক কানে আসছে। আমার হাতের লাইটের ব্যাটারীও কেমন যেন এখন একটু আলো কম দিচ্ছে। ইস্ কি ভুলটাই না করলাম দোকান থেকে কেন ২টা নতুন ব্যাটারী কিনে নিলাম না। ঠিক এমন সময় কানের কাছ দিয়ে কি একটা যেন উরে চলে গেলো। বুকের মধ্যে ছ্যত করে উঠলো.... হার্ডবিট মনে হয় অনেক গুন বেরে গেছে... ঢুর ঢুর শব্দ নিজ কানে কখনো এমন শব্দ শুনেছি বলে মনে পরছে না। সামনের যায়গাটা ঠিক তেমন নিরাপদ ও না। আমার বাম পাসে ৩টা কবর ঠিক তার পাসেই বেশ বড় একটা শিমুল গাছ। লোক মুখে শোনা এই গাছে আমাবর্ষার রাতে এক ভুত দেখা যায়। ধুর আমার এখন এই সব মনে আসছে কেন। আমার এখন সাহশ দরকার অনেক সাহশ। একটু দুরে যেতেই কিযেন একটা আলোর মত চোখে পরলো। বাঁশ গুলো বাতাশে নরছে পাতা নড়ার শব্দ শুনে মনে হচ্ছে অনেক গুলো বাচ্চা ভুত কান্না করছে। নিজের অজান্তেই আমার হাটা বন্ধ হয়ে গেলো। একটা পাও আমি সামনের দিকে দিতে পারছিনা কেন। ঠিক এমন সময় দেখলাম অনেক লম্বা চুলের এক মেয়ে ঐ পলাশ গাছের উপর থেকে আমাকে দেখে হাসছে। কি বিদঘুরে সেই হাসি চোখতো নয় যেন আগুনের গোলা। এত লম্বা চুল গাছের উপরে বসে থাকার পরেও চুল গুলো গাছের নিচ পর্যন্ত ঝুলে আছে।
একি আমার এত ঠান্ডা লাগছে কেন?
শরীরটা পুরো বরফের মত ঠান্ডা হয়ে আসছে কেন?
গাছের পাতা গুলো এখন আর আগের মত নরছেনা কেন?
আবার সেই হাসি হা হা হা হু হু হু হু হি হি হি হি...........।
একটা লম্বা হাত আমাকে ধরার জন্য এগিয়ে আছে আমি ভয়ে দৌড়াব কিন্তু আমার পা নড়ছেনা আমার। আমি গলা ফাটিয়ে চিক্কার করবো আমার গলা দিয়ে একটা শব্দও বের হচ্ছে না। আমি শুধু শুনছি কারো হা হা হা হিহিহি হু হু হু করা হাসি.... কি কি অদ্ভুদ রকমের চেহারা গালে রক্ত গেলে আছে। একেবারে বুঝা যাচ্ছে কারো তাজা রক্ত কিছুক্ষন আগেই রক্ত খেয়ে এসেছে। কেমন কেমন করে যেন হাসছে.... হয়তো এখন আমার পালা আমাকে খাবে। ভয়ে আমি চোখে ঝাপসা দেখতে থাকি.... এবার এক হাত নয় ২ হাত দিয়ে আমাকে ধরার চেষ্টা করছে.... হাত দুটো আমার দিকে আস্তে আস্তে এগিয়ে আসতেছে.... আমার মুখ দিয়ে শুধু গু গা শব্দ বের হচ্ছে আমি চিৎকার করতে পারছিনা.... হাত আমাকে ধরে ফেলবে ঠিক এই....
ঠিক এই সময় কেউ আমাকে পেছন থেকে ধরলো আমি আমি চিৎকার......... দিলাম..........
না............ না...........না......এবার আমার গলা দিয়ে শব্দ বের হলো পেছনে চেয়ে দেখি মামা আমাকে ডেকে জিঙ্গাস করলো কিরে কি হইছে...... মামা ভু...ত ভু.......ত,,ত মামা। চল এখানে বেশিক্ষন থাকা ঠিক না। বাড়িতে চল...
কেমন হইলো আমার ফঢ়ঢ় গপ্পো ?? খারাপ হইতেই পারে এটা আমার প্রথম গপ্পো তাই বইলা কেউ মাইনাস দিলে খপর আছে বইলা দিলাম। নেটের সমস্যার কারনে এমনিতেই ঠিক মত ব্লগাইতে পারি না তার উপর মাইনাস খাইলে আমি নাই হয়ে জামু।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ২:৩২