somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ধর্ম,জ্যোতিষ,ভাগ্য,তাবিজ,মন্ত্র এবং মন্দির-মসজিদ নির্মাণের মাধ্যমেই শুধু ভারতবর্ষ এগিয়ে যাবে উন্নতির চরম শিখরে। [প্রথম প্রকাশ: ‘বাক্-প্রতিমা’(আন্দামানের একটি সাহিত্য পত্রিকা)]

১৩ ই নভেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ধর্ম-বিষয়ক কিছু বলার আগে সমার্থক কয়েকটি বিশেষ শব্দ-পরিচিতির দরকার।কর্তব্য-প্রীতি-সুনীতি-সৎসঙ্গ-অহিংসা-গুণ-ভাব ইত্যাদি শব্দগুলি ‘ধর্ম’ শব্দটির(প্রায়) সমার্থক।অথচ,আমাদের কাগজে-কলমে,খাতায়-পাতায়-মাথায়-কথায় ধর্মের ‘গোদা’ অর্থ হ’ল---হিন্দু,ক্রিশ্চান,ইসলাম,শিখ,জৈন,বৌদ্ধ,আরও অনেক কিছুই। ‘ধৃ’ ধাতু থেকে নিষ্পত্তি হয়ে এসেছে ‘ধর্ম’ শব্দটি। ‘ধৃ’ যা ধরে রাখে।কী ধরে রাখে? না,মানুষের ‘মনুষ্যত্ব’-কে বা মানবের ‘মানবতা’-কে।কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়---কোথাও নেই এই ‘মানবতাবাদ’-এর কথা!ইদানীং অবশ্য মুষ্টিমেয় কিছু মানুষের মুখে বা বিক্ষিপ্তভাবে কিছু পুস্তক-পত্রিকায় মানবতাবাদের উল্লেখ থাকলেও একজন ‘আদর্শ’ ‘মনুপুত্র’-র সন্ধান পাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ---যাঁর কাছে ধর্মের প্রকৃত অর্থ হ’ল ‘মানবতাবাদ’।

মানবের ধর্ম মানবিকতা;পশুর ধর্ম পাশবিকতা।আমাদের কাছে ধর্মের অর্থ হোক নৈতিক দায়িত্ব ও কর্তব্যপালন;সর্বোপরি অহিংসা ও প্রেম।তথাকথিত হিন্দু,মুসলিম,শিখ,খ্রিস্টান ইত্যাদি ব’লে পরিচয় দিলে বিশ্বমানবধর্মের অবমাননা করা হয়।ধর্মের স্থান সবরকমের সঙ্কীর্ণতার ঊর্দ্ধে।কোনও গোষ্ঠীর বেড়াজালে নিজেকে আবদ্ধ রাখার অর্থ—ধর্মান্ধতার পাগলাগারদে বন্দী হয়ে থাকা।আর এই ধর্মান্ধতার অন্ধকূপে মানুষের কোমল প্রবৃত্তির স্বাভাবিক বিকাশ ব্যাহত হয়।ধর্মের জাঁতাকলে পিষ্ট হয়ে সৃষ্টিশ্রেষ্ঠ মানুষ সূক্ষাতিসূক্ষ ভাবনার ফসল ফলাতে পারে না তার মানসভূমিতে।প্রকৃতি-সৃষ্ট মানুষের ঊর্বর মনোভূমি তখন ঊষর হয়ে ওঠে।;সজীবতা ও স্নিগ্ধতার অভাবে মানবতাবোধ লুপ্ত হয়,মানসিক অবসাদ এসে ভিড় করে।তখন মানুষ আর মানুষ থাকে না।ধর্মের নামে অমানুষের সৃষ্টিহার অস্বাভাবিকহারে বৃদ্ধি পেতে থাকে।অন্যান্য গ্রহ-র সঙ্গে তুলনামূলকভাবে পৃথিবী গ্রহটির আকার বেশ ছোট।তাছাড়াও,এর তিন চতুর্থাংশ জল আর জলজন্তুতে ভরা।বাকী এক-চতুর্থাংশে
মানুষ,গরু,ছাগল,ভেড়া,উল্লুক,ভল্লুক,বাঁদর,হনুমান,রাক্ষস,খোক্কস,ভূত,প্রেত ইত্যাদির সহাবস্থানে মানবতার বাস্তবায়ন যে কতখানি সম্ভব তা’ আমার মতো সাধারণ মানুষের আন্দাজ করা কঠিন।এক তো আগাছার ভিড়;তার উপর গাছাদের খামচা-খামচি---এভাবে কি ধর্মের স্বরূপদর্শন বা আত্মোপলব্ধিকরণ সম্ভব?আমার জন্মের আগে ‘ধর্ম’ বলতে মানুষ কী বুঝত বা বোঝাত—জানি না।তবে জ্ঞান হওয়ার পর থেকেই দেখে আসছি ধর্ম মানে,টিকি অথবা টুপি;মালা না হয় তসবি;পৈতে না হয় সুন্নত;লুঙ্গি না ধুতি,পূর্ব না পশ্চিম,মন্দির না মসজিদ,জল না পানি,শের আলি না বনমালি-র বিভেদীকরণ।আর এই বিভেদীকরণ কি মানুষকে কখনও সবল ক’রে তুলতে পারে?প্রাসঙ্গিক মনে ক’রেই একটা অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করছি।কোলকাতার আখড়া,বড়তলা,মেটিয়াব্রুজ এলাকার কিছু মানুষ ‘চেয়ার’কে বলে ‘স্টুল’ আর ‘স্ক্রু ড্রাইভার’কে বলে ‘বাঁটালি’।বলা বাহুল্য, ‘বাঁটালি’ একটা আলাদা যন্ত্র যা’ কাঠের কাজে ছুতোর-মিস্ত্রিরা ব্যবহার করেন,ইংরেজিতে যার নাম ‘চিজেল’।যা’ হোক এই হ’ল সেই বিশেষ মানুষগুলির কথ্যভাষার দূর্দশা।অথচ মজার ব্যাপার হ’ল,তাঁরা এসব ভুল-ভ্রান্তি নিয়ে চিন্তিত নন্।কারণ,তাঁদের ব্যবহৃত এ-জাতীয় শব্দগুলি স্বরচিত।বাংলা ভাষার ব্যাকরণসম্মত আভিধানিক শব্দাবলী তাদের কাছে নিষ্প্রয়োজন।ধর্মের ক্ষেত্রেও এই একই কথা প্রযোজ্য।পৃথিবীর কোনো এক ক্ষুদ্রতম বিন্দু থেকে ‘ধর্ম’ শব্দের উৎপত্তি এবং তার সঠিক অর্থ বা সঠিক প্রয়োগ না থাকায় যত বিপত্তি।
অসংখ্য মানুষের বিশ্বাস রয়েছে জ্যোতিষ-শাস্ত্রের উপর।শোনা যায়,জ্যোতিষ বা হস্তরেখা নাকি বিজ্ঞানসম্মত।জ্যোতিষী বা গণক-ঠাকুররা নাকি ভূত-ভবিষ্যৎ সব বলে দিতে পারেন;এঁরা দৈবজ্ঞ।তর্কের খাতিরে সাময়িকভাবে একথা স্বীকারও করতে পারি বিশ্বখ্যাত ভবিষ্যদ্বক্তা ‘নষ্ট্রাডামে’-র কথা স্মরণ ক’রে।[সম্পাদকীয় সংযোজন: ফরাসী দিব্য ক্ষমতাসম্পন্ন ভবিষদ্বক্তা মাইকেল ডি নষ্ট্রাডামে(১৫০৩খ্রিস্টাব্দ---১৫৬৬ খ্রিস্টাব্দ)ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন---‘In the year 1999…from the sky will come the great king of terror.’ ৯/১১-এর টোয়াইন টাওয়ার (আমেরিকার ওয়ার্লড্ ট্রেড্ সেন্টার) ধ্বংস-কে বহু মানুষ মনে করছেন নষ্ট্রাডামে’-র সেই ভবিষ্যদ্বাণীর রূপায়ণ] তাহলেও একটা সঙ্গত প্রশ্ন মনে আসে স্বাভাবিকভাবেই।গত ২০০৪ খ্রিষ্টাব্দের ২৬/১২’র অব্যবহিত পূর্বে সারা পৃথিবীর তথাকথিত জ্যোতিষী/গণকঠাকুর/ভবিষ্যদ্বক্তারা কি ঘুমিয়ে পড়েছিলেন?নাকি,এক্ষেত্রে ভবিষ্যদ্বাণী ঘোষণায় তাঁদের অনীহা ছিল?তাঁরা কি ভূমিকম্প বা সুনামি’র মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কথা জানতেন না?নাকি,এসব বিপর্যয় জ্যোতিষশাস্ত্র-বহির্ভূত বিষয়?
বেশ কয়েক বছর ধরে লক্ষ্য করা যাচ্ছে---আন্দামানে কিছু গেরুয়াধারী মরশুমী ভন্ড জ্যোতিষীদের প্রাবল্য ঘটেছে।প্রকৃতপক্ষে এঁরা কর্মবিমুখ,অলস এবং ফাঁকিবাজ।মানুষের সরল বিশ্বাসের ‘রক্তজীবি পরগাছা’ এরা।এরা ঠগ,প্রবঞ্চক,ধাপ্পাবাজ।খোঁজখবর নিয়ে জানা গেল---এই সমস্ত ভন্ড জ্যোতিষীগুলির উৎপত্তিস্থল/সৃজনস্থল হ’ল অন্ধ্র-তেলেঙ্গানা বিধৌত দাক্ষিণাত্য।আন্দামানের বাড়ি-বাড়ি এমনকি অফিস কাছারিতে ঘুরে ঘুরে এরা মানুষের সরলতা শিকার ক’রে জীবিকানির্বাহ করে।
জ্যোতিষশাস্ত্র-বিষয়ক আরো দু’চার কথা বলা প্রয়োজন,নইলে ‘গরীবী রেখা’-র নিম্নবর্তী মানুষগুলি যে একদিন হারিয়ে যাবে ‘মরিবী রেখা’-র নীচে---এ বিষয়ে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই।বহু শহরের অলিতে-গলিতে ভাগ্যগণনার বিজ্ঞাপনসরূপ ছোট-বড় অনেক সাইনবোর্ড নজরে আসে আমাদের।পোর্টব্লেয়ারের জংলিঘাট অঞ্চলেও সেদিন নজরে এল,একটা ছোট দোকানের গায়ে লাল অক্ষরে হাতে লেখা আছে—‘এখানে হাত দেখা হয়’।ব্যাধ বা জংলী শিকারীরা যেমন শিকারের নেশায় ফাঁদ পেতে,বন্য পশু-পদচারণ-শব্দের ওঁত পেতে থাকে,(লক্ষ্য একটাই---কখন এই মরণফাঁদে এসে পড়বে জীবজন্তু)ভাগ্যনির্ণয়ের ঠিকাদার-জ্যোতিষীরাও তেমনিভাবে অপেক্ষায় থাকে---কখন হাড়িকাঠে মাথা দেবে ‘বলির পাঁঠা’রা।
তাগা-তাবিজ-মন্ত্রশক্তির কথা যত কম বলা যায় ততই মঙ্গল।লটারিতে মোটা টাকা পাওয়ার আশায় কোমরে-গলায়-হাতে-অষ্টপৃষ্ঠে তাবিজ মাদুলি বেঁধে কত লোক যে সর্বস্বান্ত হয়েছে,তা’ জানতে হ’লে হিসাবশাস্ত্র-বহির্ভূত কোনো গণনাপদ্ধতি আবিষ্কারের প্রয়োজন হবে।একটা কথা কেউ বোঝেন না বা বুঝতে চান না যে মন্ত্রশক্তির প্রভাব যদি ফলপ্রদ-ই হবে,তাহলে মন্ত্রদানকারী নিজে কেন মন্ত্রবলে অমরত্বলাভ করেন না!(?)
এবার আসা যাক মন্দির-মসজিদ নির্মাণের কথায়।এ প্রসঙ্গে প্রখ্যাত লোকসঙ্গীত-শিল্পী নকুল বিশ্বাসের একটা গানের দুটো লাইন মনে পড়ে গেল:-
‘যদি মন্দির মসজিদে গিয়ে জুতো চুরি যায়
দয়াল,কেমনে ডাকব তোমায় নির্জন নিরালায়!’
আলোচ্য বিষয়টিকে স্বল্প পরিসরে সীমাবদ্ধ রাখার প্রয়োজনে মন্দির-মসজিদ প্রসঙ্গটির দ্রুত অবতারণা করতে হ’ল।দু’একটি ‘মহাজন-বাণী’ উদ্ধৃত করা যেতে পারে এখানে।
‘অন্ধকারে লুকিয়ে আপন মনে
কাহারে তুই পূজিস সংগোপনে
নয়ন মেলে দেখ দেখি তুই চেয়ে দেবতা নাই ঘরে।‘(ধূলামন্দির/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)
অথবা,
‘...ওরে,এ ভারতবর্ষ তোদের মন্দিরের ভরতবর্ষ নয়,মুসলমানের মসজিদের ভারতবর্ষ নয়---এ আমার মানুষের,মহামানুষের মহাভারত।‌’ ( কাজী নজরুল ইসলাম)
মন্দির-মসজিদ নির্মাণের মাধ্যমে ভারতবর্ষ এগিয়ে যাবে কি পিছিয়ে যাবে---এ সিদ্ধান্তে আসা, ভারতবর্ষের মতো বিশাল ও বৈচিত্রপূর্ণ দেশের ক্ষেত্রে,এক কথায় সম্ভব নয়।সদাজাগ্রত সর্বশক্তিমান (ঈশ্বর-আল্লা-গড্-ভগবান যে নামেই হোক না কেন)প্রতিটি জীব ও অনু-পরমানুর মধ্যে সদা বিরাজমান।জাগতিক সব কাজ সম্পন্ন হয় তাঁরই অদৃশ্য ইঙ্গিতে।ইট্-কাঠ-বালি-পাথর-সিমেন্ট দিয়ে তৈরি ছাদ-আঁটা চার দেয়ালের মাঝখানে কখনও ঈশ্বরপ্রাপ্তি হয় না।মানুষ যদি নাকে চশমা এঁটে ঘরময় চশমা খুঁজে বেড়ায়,সে নেহাত ‘আহাম্মক’ ছাড়া আর কিছুই নয়।বিশ্বনিয়ন্তা খোঁজার জন্য মন্দির-মসজিদ নির্মাণ এই নাকে চশমা এঁটে চশমা খোঁজার মতো আহাম্মকি/বেওকুফি।
‘কৃষ্ণ’ শব্দটি নিষ্পন্ন হয়েছে কর্ষণ থেকে।আত্মকর্ষণ>আত্মদর্শন=কৃষ্ণ (ঈশ্বর)-প্রাপ্তি।(কৃষ্ণপ্রাপ্তির অন্য অর্থ ‘মৃত্যু’;আমি আর কথা বলছি না)।আমাদের আত্মকর্ষণে প্রবৃত্তি নেই;নেই ইচ্ছা,একাগ্রতা,মনোনিবেশ-ক্ষমতা।তাই ঢাক-ঢোল পিটিয়ে,চিৎকার-চেঁচামেচি করে,মাইক বাজিয়ে ‘আগমনী’ বা আজানের(আহ্বানের) নামে ঈশ্বর খোঁজার বাহানায়,প্রকৃতপক্ষে ‘শব্দদূষণ’ ছাড়া আর কোনো সৎকর্ম করি না।ঈশ্বর খোঁজার সহজ পথটি দেখিয়েছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ(জীবে প্রেম করে যেইজন,সেইজন সেবিছে ঈশ্বর)।অথচ সেই সোজা পথে না হেঁটে ,জগঝম্প রাস্তায় আমরা ঈশ্বর খুঁজতে বের হই,যা গিয়ে শেষ হয় রেষারেষি,মারামারি,হানাহানিতে।
প্রকৃতপক্ষে,মানুষের প্রয়োজন আত্ম-উপলব্ধি ও আত্মজ্ঞান;তবেই আত্মিক বিকাশ,আমার মাঝে আমিত্বের প্রকাশ সম্ভব। ‘আপনার মাঝে দেখ,আপন স্বরূপ’(কাজী নজরুল ইসলাম)।অতি প্রাচীন চাণক্য-শ্লোক উপমার ছলে সে কথাই বলে:--
‘যস্য নাস্তি স্বয়ং প্রজ্ঞা শাস্ত্রং তস্য করোতি কিম্।
লোচনাভ্যাম বিহীনস্য দর্পণঃ কিং করিষ্যতি’।।
---যার নিজের নেই জ্ঞান,শাস্ত্র তার কী করবে?অন্ধ ব্যক্তির কী(উপকার)টা করতে পারে আয়নায়?
বিশাল এই দেশ ভারতবর্ষ-র পক্ষে এগিয়ে চলা তখনই সম্ভব,যখন একতার বন্ধনে আমরা সবাইকে সংগঠিত করতে পারব।বৈচিত্র্য’র মাঝে ঐক্য-প্রতিষ্ঠাই হ’ল উন্নতির প্রথম সোপান।
‘নানা ভাষা নানা মত নানা পরিধান
বিবিধের মাঝে দেখ মিলন মহান।‌’
ঐ বৈচিত্র্য মানে কিন্তু ভুরি-ভুরি অন্ধবিশ্বাস নয়,রাশি রাশি কুসংস্কার ভরা আচার-বিচার পদ্ধতি নয়।গলায় বড় তাবিজ বা মাদুলি ঝুলিয়ে যদি পাশ করা যায়,তাহলে বই পড়ায় কী কাজ?মন্ত্রবলে যদি ধনী হওয়া যায়,তাহলে ভারতের অধিকাংশ মানুষ গরিব কেন?মন্ত্রপূত তেল-জলে যদি রোগ-নিরাময় সম্ভব,তাহলে ডাক্তার বা হাসপাতালের কী প্রয়োজন?তাই খুব সহজ ভাষায়—নৈতিক এবং মানবিক চরিত্র-নির্মাণ ছাড়া স্বদেশ-নির্মাণ কোনও কালেই সম্ভব নয়।মন্দির-মসজিদ নির্মাণের মাধ্যমে ভারত-নির্মাণের স্বপ্ন তাই ‘সোনার পাথর-বাটি’-র মতোই অবাস্তব।এ স্বপ্ন বিশ্ব-মানবিকতা বিকাশের চরম অন্তরায়।
৭টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

সচিব, পিএইচডি, ইন্জিনিয়ার, ডাক্তারদের মুখ থেকে আপনি হাদিস শুনতে চান?

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:৪৫


,
আপনি যদি সচিব, পিএইচডি, ইন্জিনিয়ার, ডাক্তারদের মুখ থেকে হাদিস শুনতে চান, ভালো; শুনতে থাকুন। আমি এসব প্রফেশানেলদের মুখ থেকে দেশের অর্থনীতি, রাজনীতি, সমাজনীতি, বাজেট,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×