“গুরু দক্ষিণা”—প্রচুর কাঁচা টাকা
প্রতি বছর গুরু-দক্ষিণার (গুরু মানে এখানে গেরুয়া পতাকা, ভাগোয়া ঝান্ডা) দিন বিশাল পরিমাণ কাঁচা টাকা সঙ্ঘের তহবিলে জমা পড়ে । প্রায় পুরোটাই ক্যাশ । ফলে, কালো টাকা সাদা করার সুবর্ণ সুযোগ ব্যবসায়ী মহলের কাছে । কত টাকা জমা পড়লো, তার কোনো হিসাব সরকারকে দেওয়া হয় না, ফলে কর দেওয়ারও প্রশ্ন নেই । এছাড়া আরএসএস বিদেশে তার সদস্য ও সমর্থকদের কাছ থেকেও বিশাল পরিমাণ টাকা পায় ।
বিজেপি-র নির্বাচনী তহবিলে টাকা দেওয়া ছাড়াও বিদেশে বসবাসকারী সঙ্ঘ-সমর্থকরা আরএসএস-এর বিদেশি সংস্করণ হিন্দু স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখায় ‘গুরু দক্ষিণা’ জমা দেন । এছাড়াও ওভারসিজ ফ্রেন্ডস অফ বিজেপি, ভিএইচপি অপ আমেরিকা ও হিন্দু স্টুডেন্টস কাউন্সিল অফ আমেরিকা-র মাধ্যমেও টাকা আসে বলে জানা যায় । মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে যেসব হিন্দু মন্দির আছে সেগুলি সাধারণত রক্ষণশীল ও অরাজনৈতিক । দ্বিতীয় প্রজন্মের অভিবাসী মার্কিন-ভারতীয় যুবকদের ধরার জন্য বিশ্ব হিন্দু পরিষদ আয়োজিত হিন্দু-সামার ক্যাম্প ও হিন্দু স্টুডেন্ট কাউন্সিল আয়োজিত নানা ধর্মীয় সভার মধ্য দিয়ে আরএসএস এখন মন্দিরগুলিকে হাতের মধ্যে আনার চেষ্টা করছে । সাংস্কৃতিক শিক্ষার নামে একটি গোটা প্রজন্মকে অন্ধ, বিচ্ছিন্নতাকামী ধর্মান্ধে পরিণত করার প্রচেষ্টা চলছে । ভারত থেকে আসা অনেকেই বিজেপি ও আরএসএস-এর সঙ্গে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও হিন্দু স্টুডেন্ট কাউন্সিলের সম্পর্কের কথা জানেন না । সঙ্ঘ পরিবারের ফ্যাসিবাদী ধরনের কর্মসূচি এগিয়ে নিয়ে যেতে এদের ব্যবহার করা হচ্ছে। (ক্রমশঃ)
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৪৫