শব্দের সীমা শব্দের বাধা পেরিয়ে প্রগতি
খতিয়ে দ্যাখে তার ঘরভাঙা বৈজ্ঞানিকদের কার কোন খেতাব
বিচিকাটা সব খাতাঞ্চিরা রিজার্ভ ব্যাংকে গান করে
ফেনাঝরানো সুমধুর সুরে : যতক্ষণ-না আহ্লাদে আটখানা সঙ্ঘরমণীরা
তাদের গভীর হিমে জমানো মাই থেকে চিনচিল্লা ঢাকা খুলে ফ্যালে
ক্যাডিলাক কাঁদানে গ্যাস আর ব্যারাক
আফ্রিকার জন্য সুপ্রিম আর্মি হেডকোয়ার্টারের সীলমোহর
স্বাধীন জগতের সব জলজমা উদরের জন্য
আর চুচির জন্য পুরস্কার দেওয়া হবে নাই বা না-কেন? হলিউডি
পাছা গোলাপি ছোপলাগা ফেনায় : পশ্চিমী দুনিয়ার
চেতিয়ে-তোলা বস্ত্রমোচন ডর্টমুণ্ড থেকে সান দিয়েগো অব্দি
ইয়ার্কি নয় হবে না-ই বা কেন? আর বানানো হবে না কেন
ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের মঞ্চ? আমাদের ছেলেপুলেরা কি তবে হয়তো
আমাদের চেয়ে বেশি সুখে থাকবে? এত হৈ-হৈ কেন?
এত হৈ-হৈ কেন যখন আহামরি ভাড়াটেরা ফরাশের তলায় বুকে হাঁটে
আর কাঠের ছাঁচ থেকে একেক খাবলা কামড়ে নেয় আর চিবিয়ে খায়
কর্মখালির বিজ্ঞাপন?
এত হৈ-হৈ কেন? আর এদের দিয়ে আমরা করবোই বা কী? বিধবাদের
নিয়েই বা আমরা করবোটা কী?
কমিউনিস্টদের নিয়েই বা করবো কী? সেই সবকটাকে নিয়েই বা করবো কী
যারা মুখে বলে হ্যেলডারলিন আর সকলের মতোই বোঝায় হিমলার
যারা কিস্তিতে-কিস্তিতে রশদ জোগায় রকেটের আর পুলিশের
যারা চলচিত্র বানায়
আর চোদে আর জুড়ে দেয়? আর্চবিশপদের নিয়েই বা আমরা কী করবো?
কী করবো আমরা বেকার সেই প্রতিভাদের নিয়ে যারা ঘ্যান-ঘ্যান করতে-করতে
ঝাঁপ খায় তাদের জানলা দিয়ে?
নিয়ে এসো তাদের বাইরে নিয়ে এসো তাদের বাইরে বৃষ্টিতে
***
কবিতা- ফেনা
কবি- হান্স মাগ্নুস এন্তসেন্সবার্গার
তরজমা- মানবেন্দ্র বন্দোপাধ্যায়
প্রথম প্রকাশ- জানুয়ারি ২০১১
প্রাপ্তিস্থল- বিদিত। ৩৯, আজিজ সুপার মার্কেট। ঢাকা। বাংলাদেশ।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে মে, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৩৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




