somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজিব ওয়াহিদ
আমি পরাজিত হইনা, হয় ব্যর্থ হই নয়তোবা শিখি, পরাজয় মানেই তো শেষ, আমি জয়ী হতে চাই, তাই আমার কাছে শেষ তখনি যখন শেষ বলার মতোও কিছু না থাকবে, আর তা হচ্ছে জীবনের সমাপ্তি, আমি চেষ্টা করতে পছন্দ করি, এবং যুদ্ধ আমার প্রিয় সখ, ব্যর্থতা আমার ভালবাসা।

বর্তমান সমাজের ঈদ শপিং আর আমাদের সর্ণালী সেই অতীতের ঈদ

০৫ ই জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বর্তমান সমাজ নিয়ে কিছু বলাটাই একধরনের নিরর্তকতা ছাড়া আর কিছু নয় ।
তবুও কিছু বলতে হয় ,যদিও কেউ আমার এই লেখা দেখবে না বা এর উদ্দেশ্য খুঁজবে না ...।
খুব বেশিদিন পূর্বের কথা বলবো না , আমি যখন ৭ম শ্রেনিতে পড়ি ,২০০৯ সালে সবে মাত্র বুঝার বয়স হয়েছে আমার ,তখন আমি দেখেছি ,যখন রমযান এর ঈদ আসতো পারা-প্রতিবেশি বা আমারই বড় আপু-খালামনি-চাচিরা কাপড় কেনা নিয়ে এতোটা উদ্ভিগ্ন ছিলেন না , যদিও তাঁরা কাপড় কিনতে চাইতেন তখন তাঁরা পরিবারের যিনি কর্তা থাকতেন তাঁর কাছ থেকে চেয়ে অল্প কিছু টাকা নিতেন এবং সেই টাকা দিয়ে উনারা বাড়িতেই সিট/কাপড় রেখে নিজেরাই সেই কাপড় সেলাই করে ঈদ এর জন্য পোশাক তৈরী করতেন, তখন একটা জিনিস আমি খুব লক্ষ করতাম যে, তাঁদের তৈরী পোশাক গুলা এতো বেশি মডার্ণ ছিল না তবুও তাঁদের এতো ভালো লাগতো দেখতে , এবং তাঁদের মনেও অনেক আনন্দ দেখা যেত ,নিজেদের তৈরী পোশাক দিয়ে ঈদ উদযাপন করার মজাই আলাদা, তাছাড়া তখন তাঁরা চাইলেও শপিং সেন্টারে গিয়ে শপিং করার মত কোন উপায় ছিল না ,পরিবারের বড় রা তা কখনো মেনে নিতেন না আর যদিও সেই মেয়ের বয়স ১০ এর বেশি হত তাহলে তো আর প্রশ্নই উঠে না ।
আর এর ফলে ৩ টা উপকার হত---- যা
১/বাড়ীতে নিজেরা পোশাক তৈরী করায় খুব বেশি করচ হতোনা এবং তাঁরা নিজেদের কাজ নিজেরাই সমাধান করার একটা অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারতো ।
২/ করচ কম হওয়ার ফলে একটি নিম্ন-মধ্যেবিত্ত পরিবারের অনেকেইরই ঈদে নতুন কাপড় পরে সবার সাথে ঈদ্গাহে যাওয়া সম্ভব হত এবং পরিবারের কর্তার পক্ষে সবার অধিকার আদায় করা সম্ভব ছিল
৩/ পরিবারের মেয়েদের বাইরে যেতে হতনা যার ফলে পর পুরুষ এর নজর পরতোনা আর শপিং সেন্টারে গেলে তো আর কথাই নেই , মেয়েদের সর্বপ্রকার সাইজটাও বলতে হয় এই যায়গায় তা না হলে সঠিক মাপের পোশাক পাওয়া যাবেনা , [ আর এইসব যদি কোন মেয়ে অন্য কোন পরপুরুষ বা নারীকে বলে কিঞ্চিৎ হলেও তাঁর লজ্জা কমে যাবে ] সুতরাং লজ্জার পর্দাটাও তাঁদের পরিপুর্ন থাকতো ----- যা এখন আর নেই ।

---------বর্তমান সমাজে এর কিছুই আর নেই , সব বদলে গেছে------
ঈদ আসার একমাস আগে থেকেই সবার আলাদা-আলাদা অর্থ বরাদ্দ হতে থাকে যে যত পারে টাকা হাতিয়ে নিবে , পরিবারের কর্তা,বড় ভাই বা চাচার কাছ থেকে
পরে রমযান মাসের ১৫ তারিখ থেকেই শুরু হয় শপিং করা ,এমনও মেয়ে আছে যারা প্রত্যেকদিন শপিং করতে যায়,আজ বান্ধবীর সাথে,কাল বড় আপুর সাথে,পরশু আবার আরেকজন আছেনা ? [ বয়ফ্রেন্ড ] উনার সাথে ।
কোথায় পরিবারের প্রধানের অপেক্ষা ভা অনুমতি নেয়া আর কোথায় পরিবারের অন্যসব এর কথা চিন্তা করা ,এ যেন ‘নিজে বাচঁলে বাপের নাম’ এখন পরিবারের কর্তার ভূমিকায় আছেন ‘উনি’ [ বয়ফ্রেন্ড ] উনার চাহিদায় চলে শপিং করা , আর পোশাকের সাইজটা জানা তো উনার আবশ্যক ? আরে ভাই উনি তো আর পরপুরুষ না উনি হচ্ছেন ‘গোপণ পুরুষ’ তাই উনাকে সব বললে কিচ্ছু হবেনা ।

একটি মেয়ে কমপক্ষে ৩ টা ড্রেস কিনবে ১টা বাড়িতে পরার জন্য’—২য় টা বেড়াতে যাওয়ার জন্য’—আর ৩য় টা উনার[ বয়ফ্রেন্ড] সাথে দেখা করার জন্য ।
ড্রেস হচ্ছে ১/ পাখি ২/ কিরণমালা ৩/ শিলা ইত্যাদি যে গুলার দাম ২ হাজারের কম নয় ।
এই যদি হয় অবস্থা তাহলে একটি মধ্যেবিত্ত পরিবারের সবার পক্ষে কি ঈদ এ নতুন পোশাক কেনা সম্ভব হবে বলেন ?
তাছাড়া এই সব করে কি লাভ হবে ?
এর ফলে একটি মেয়ে তাঁর নিজের অস্থিত্য হারিয়ে পেলছে ,সে তাঁর নিজের লজ্জার পর্দা পাশ করছে যা তাকে যে কোন কারাপ কাজ করতেও সাহায্য করে ,
আর সে তাঁর নিজের আত্ননির্বশীলতাকে বিলুপ্ত করছে,নিজে নিজের কাজ সমাধান করার ক্ষমতা অর্জন করতে পারছে না , এবং সে তাঁর সব কিছু বাইরের পরপুরুষের সামনে উপস্থাপন করছে যার ফলে তাকে অনেকেই কারাপ দৃষ্টিতে দেখছে ......।

আর এই সব এর জন্য দায়ি আমাদের বর্তমান সমাজের পরিবারের কর্তা/এবং বড় ভাই চাচারা
তাঁরা মেয়েদের কথা মত টাকা দিয়ে দিচ্ছেন এবং তাঁদের ইচ্ছা খুশি যা করার তাঁর সযোগ করে দিচ্ছেন,একবারও জানতে চাচ্ছেন না যে এই টাকা দিয়ে মেয়ে টা কার সাথে শপিং করতে যাচ্ছে, এটা কি ভালো না কি কারাপ , ।।
তাই আসুন আমরা আমাদের পরিবারকে নিজেদের চেষ্টায় সঠিক পথে পরিচালিত করি এবং অতীত থেকে কিছু শিখে বর্তমানকে সাঁজাই সুন্দর করে
যা সবার কাছেই গ্রহন যোগ্য হবে একটি বদ্র-নম্র পরিবার হিসেবে ।।

সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৬
২টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

রাফসান দ্য ছোট ভাই এর এক আউডি গাড়ি আপনাদের হৃদয় অশান্ত কইরা ফেলল!

লিখেছেন ব্রাত্য রাইসু, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫২

রাফসান দ্য ছোট ভাইয়ের প্রতি আপনাদের ঈর্ষার কোনো কারণ দেখি না।

আউডি গাড়ি কিনছে ইনফ্লুয়েন্সার হইয়া, তো তার বাবা ঋণখেলাপী কিনা এই লইয়া এখন আপনারা নিজেদের অক্ষমতারে জাস্টিফাই করতে নামছেন!

এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঁচতে হয় নিজের কাছে!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৮

চলুন নৈতিকতা বিষয়ক দুইটি সমস্যা তুলে ধরি। দুটিই গল্প। প্রথম গল্পটি দি প্যারবল অব দ্যা সাধু।  লিখেছেন বোয়েন ম্যাককয়। এটি প্রথম প্রকাশিত হয় হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ জার্নালের ১৯৮৩ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর সংখ্যায়। গল্পটা সংক্ষেপে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার অন্যরকম আমি এবং কিছু মুক্তকথা

লিখেছেন জানা, ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৬



২০১৯, ডিসেম্বরের একটি লেখা যা ড্রাফটে ছিল এতদিন। নানা কারণে যা পোস্ট করা হয়নি। আজ হঠাৎ চোখে পড়ায় প্রকাশ করতে ইচ্ছে হলো। আমার এই ভিডিওটাও ঐ বছরের মাঝামাঝি সময়ের।... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিউ ইয়র্কের পথে.... ২

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২


Almost at half distance, on flight CX830.

পূর্বের পর্ব এখানেঃ নিউ ইয়র্কের পথে.... ১

হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্লেন থেকে বোর্ডিং ব্রীজে নেমেই কানেক্টিং ফ্লাইট ধরার জন্য যাত্রীদের মাঝে নাভিশ্বাস উঠে গেল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

সামুতে আপনার হিট কত?

লিখেছেন অপু তানভীর, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৩



প্রথমে মনে হল বর্তমান ব্লগাদের হিটের সংখ্যা নিয়ে একটা পোস্ট করা যাক । তারপর মনে পড়ল আমাদের ব্লগের পরিসংখ্যানবিদ ব্লগার আমি তুমি আমরা এমন পোস্ট আগেই দিয়ে দিয়েছেন ।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×