ক্যাটেগরি-১
বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৭৪ থেকে ৯৫ কি.মি বেগ হতে পারে । বেশি ক্ষয়ক্ষতির সম্ভবনা অনেকাংশেই কম। ছোট-খাটো কাল বৈশাখির ঝড়ের মতো অনেকটা ।
ক্যাটেগরি-২
বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৯৬-১১০ । এই ক্যাটেগরির হ্যারিকেন হলে গ্যাস,বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার সম্ভবনা থাকে। অঞ্চল ভেদে ক্ষতির পরিমাণ কম বেশি হবে। উপকূলীয় অঞ্চলে গাছপালা,কাঁচা ঘরবাড়ির ক্ষতির সম্ভবনা থাকবে। সুপেয় পানির সংকট হতে পারে। তাই শুকনা খাবার ও পানি সংগ্রহ করা জরুরি।
ক্যাটেগরি-৩
গতিবেগ ১১১-১৩০ ঘণ্টায়। গাছপালা উপরে যেতে পারে।গবাদি পশু সহ দুর্যোগের সম্ভবনা আছে এমন এলাকা এড়িয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন আবহাওয়াবিদরা । আঘাত হানার পর প্রায় এক সাপ্তাহ পানি,খাদ্য,গ্যাস,বিদ্যুতের সমস্যায় জনসাধারেণের দুর্ভোগ পোহাতে হবে।
ক্যাটেগরি-৪ ।
এই হ্যারিকেনের গতিবেগ হয় ১৩১-১৫১ কি.মি। সম্পদ,ঘরবাড়ি,গবাদি পশুর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্ভবনা ব্যাপক থেকে ব্যাপক । অনেক সময় এর স্থায়িত্ব বেশি হয় । একাধিকবার আঘাত হানতে পারে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষদের মৌলিক চাহিদার সংকট মাস তিন -চার সাপ্তাহ থেকে এক মাস হতে পারে। ঝড়ের পর সংক্রামক রোগের প্রার্দুভাব অনেক বেশি। সুতারাং খাদ্য,পানি,প্রাথমিক চিকিৎসার বিষয়ে প্রস্তুতি রাখতে হবে এ ক্ষেত্রে । প্রাণহানির সম্ভবনা আছে ।
ক্যাটেগরি-৫
সবচেয়ে ভয়ঙ্কর এটা । যার গতিবেগ ১৫৫ এর উপরে হয় । এই হ্যারিকেনে ইটের তৈরি ভবনও ক্ষতির মুখোমুখি হতে পারে। উপকূলীয় অঞ্চলে হঠাৎ বন্যাও দেখা দেয় সাধারণত । এখানে প্রাণ হানির সম্ভবনা অনেক। উদ্ধার অভিযান পরিচালনার জন্য পর্যাপ্ত লোকবল মজুত রাখা বুদ্ধিমানের কাজ। ক্ষতির পরিমাণ কল্পনাতীত । ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ের সাথে তুলনা করতে পারি । যা বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় । ফেনি সুপার সাইক্লোনে পরিণত হতে পারে । হলে সেটা হবে স্বরণকালের ভয়ঙ্কর তম সাইক্লোন ।
সাইক্লোন ফেনির তীব্রতা ধারণা করা হচ্ছে ২১৩ পর্যন্ত হতে পারে। যাকে বলা হয় সুপার সাইক্লোন । উদাহারণ টানা যায় ২০০৭ সালে হওয়া সুপার সাইক্লোন গনো'র। আঘাত হেনেছিল ইরান,পাকিস্থান,ওমান ও আমিরাতে । রাস্তায় প্লাবিত হয় সব্বোর্চ ৫.১ মিটারে।
সব মিলিয়ে ব্যাপক প্রাণহানির আশঙ্কা দেখছি । কিছু মানুষ বাড়তি ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে আতঙ্ক বাড়াচ্ছে । সচেতন করা ঠিক আছে ,আতঙ্কিত করা ঠিক নয় । প্রভু তুমি আমাদের সহায় হও ।
১ নং দূরবর্তী সতর্ক সংকেত:
জাহাজ ছেড়ে যাওয়ার পর দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার সম্মুখীন হতে পারে। দূরবর্তী এলাকায় একটি ঝড়ো হাওয়ার অঞ্চল রয়েছে। এ সময় বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৬১ কিলোমিটার (কি.মি.)। ফলে সামুদ্রিক ঝড়ের সৃষ্টি হবে।
২ নং দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত:
দূরে গভীর সাগরে একটি ঝড় সৃষ্টি হয়েছে। সেখানে বাতাসের একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২-৮৮ কি.মি.। বন্দর এখনই ঝড়ে কবলিত হবে না, তবে বন্দর ত্যাগকারী জাহাজ পথে বিপদে পড়তে পারে।
৩ নং স্থানীয় সতর্ক সংকেত:
বন্দর ও বন্দরে নোঙর করা জাহাজগুলোর দুর্যোগ কবলিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বন্দরে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে এবং ঘূর্ণি বাতাসের একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০-৫০ কি.মি. হতে পারে।
৪ নং স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত:
বন্দর ঘূর্ণিঝড় কবলিত। বাতাসের সম্ভাব্য গতিবেগ ঘণ্টায় ৫১-৬১ কি.মি.। তবে ঘূর্ণিঝড়ের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেওয়ার মতো তেমন বিপজ্জনক সময় এখনও আসেনি।
৫ নং বিপদ সংকেত:
বন্দর ছোট বা মাঝারি তীব্রতর এক সামুদ্রিক ঝড়ের কবলে পড়বে। ঝড়ে বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২-৮৮ কি.মি.। ঝড়টি বন্দরকে বাম দিকে রেখে উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
৬ নং বিপদ সংকেত:
বন্দর ছোট বা মাঝারি তীব্রতর এক সামুদ্রিক ঝড়ের কবলে পড়বে। ঝড়ে বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২-৮৮ কি.মি.। ঝড়টি বন্দরকে ডান দিকে রেখে উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
৭ নং বিপদ সংকেত:
বন্দর ছোট বা মাঝারি তীব্রতর এক সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়বে। ঝড়ে বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২-৮৮ কি.মি.। ঝড়টি বন্দরের উপর বা এর নিকট দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
৮ নং মহাবিপদ সংকেত:
বন্দর প্রচণ্ড বা সর্বোচ্চ তীব্রতর ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়তে পারে। ঝড়ে বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৯ কি.মি. বা এর বেশি হতে পারে। প্রচণ্ড ঝড়টি বন্দরকে বাম দিকে রেখে উপকূল অতিক্রম করবে।
৯ নং মহাবিপদ সংকেত:
বন্দর প্রচণ্ড বা সর্বোচ্চ তীব্রতর এক সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়বে। ঝড়ে বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৯ কি.মি. বা এর বেশি হতে পারে। প্রচণ্ড ঝড়টি বন্দরকে ডান দিকে রেখে উপকূল অতিক্রম করবে।
১০ নং মহাবিপদ সংকেত:
বন্দর প্রচণ্ড বা সর্বোচ্চ তীব্রতর এক সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়বে। ঝড়ে বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৯ কি.মি.বা তার বেশি হতে পারে।
১১ নং যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন সংকেত:
আবহাওয়ার বিপদ সংকেত প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের সাথে সকল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এবং স্থানীয় আবহাওয়া কর্মকর্তা পরিস্থিতি দুর্যোগপূর্ণ বলে মনে করেন।
নদীবন্দর ও সমুদ্র বন্দরের জন্য সতর্কতা সংকেত আলাদা। তাই সতর্কতা সংকেত ভাল করে বুঝে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বিপদ সংকেত :সোর্স-বিসিসি বাংলা
অনেক দিন পর কিছু একটা লিখলাম । অনেক সময় কিছু একটা লিখতে গিয়েও কেটে দিয়েছি । রাইটিং ,রিডার ব্লগে আছি চরমে । উপরে তথ্যগুলো জানেন সহব্লগার বৃন্দ । এই বিষয়ে দেওয়ার কারণ একটাই সাধারণ মানুষদের চোখে পড়লে যাতে বেসিক কিছু ধারণা পায় ।
সামুর দুর্দিন নিয়ে মনের মধ্যে একটা চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে । যখনই আসি ঝুলিয়ে রাখা পোস্টে যাই ,কি আপডেড আছে নাকি । বারবারই হতাশ হচ্ছি ।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা মে, ২০১৯ রাত ১:২০