অতি সম্প্রতি আওয়ামী লীগ নেতা তোফায়েল আহমেদ সাহেবের বিবিসি বাংলায় দুই পর্বেরএকটি সাক্ষাৎকার আমি খুবই মনোযোগ দিয়ে শুনি ।জাতি হিসাবে আমাদের সৌভাগ্যবান না বলে উপায় নেই যে, স্বাধীনতার স্বাদ পেতে বাঙগালিরা যখন চাতক পাখির মত মুখিয়ে ছিল, ঠিক সেই সময় জাতির পিতার পাশে তোফায়েল আহমেদের মত নেতারা আলেকজান্ডারের বিশস্ত্ব সেনাপতি সেলুকাসের মত অহর্নিশি পাশে ছিলেন । তাই আমাদেরকে স্বাধীনতার স্বাধ পেতে কষ্ট হলেও খুব একটা বেশি বেগ পেতে হয় নি । সাক্ষাৎকারে বীর মুক্তিযোদ্ধা তোফায়েল সাহেব গর্ব করে বলে- ছিলেন “অজপাড়া গাঁ থেকে উঠে আসা তোফায়েল আহমদই কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধী দিয়েছি জনগনের পক্ষ থেকে । সেটিই আমার রাজনীতির চরম মূহুর্ত’।
তিনি আরও বলেন-' আমার বক্তৃতা শেষ করতে চাইলে সাথে সাথে উপস্থিত জনতা চিৎকার দিয়ে বলে আরও বলেন” ।
আমার বলিতে সন্দেহ নেই “ আজ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আমাদের মত তরুনরা বক্তৃতা দিতে গেলে শুনা যায় উপস্থিত লোকজন চিৎকার করে বলে দূর হ দূর হ । বড় বেশি আক্ষেপ লাগে’।
কিন্তু কেন , কেন ওদেরকে বলে আরও বলেন, আমাদের সময় নাক সিঠকায় । কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিপি হয়েছিলেন বলেই তাদের আজ এমন বাগ্মিতা । আর আমারা হই নাই বলে আমাদের এ করুন দশা । কারা দায়ি ?মোটাদাগে বলার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না ।
বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে যাব,আর অপেক্ষা করব যথাযথ কর্তৃপক্ষের যদি শুভবুদ্ধির উদয় হয় ।কারন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের নির্বাচন আমাদের জাতীয় নেতৃত্বের ভিত মুজবুত হওয়ার নির্বাচন । আজ আমাদের জাতীয় নেতৃত্বের কলকাঠি যারা নাড়ান , খোজ নিয়ে দেখা যায় এদের বিশাল একটি অংশ বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে নির্বাচিত হয়ে ছাত্র সংগঠন গুলোর নেতৃত্ব দেন । সেই অভিজ্ঞতার সুফল আজ আমরা গ্রহণ করছি ।এবং চালের মধ্যে যেমন ধান থাকে, ঠিক তেমনি দু’এক জন বাদে বাকি সবাই কিন্তু ইতিবাচক রাজনীতির উদাহরন সৃষ্টিকারী ।
ডাকসুর সাবেক ভিপি,কমরেড রাশেদ খান মেননের ভাষায় বলতে হয় 'ডাকসু একটি গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানের আন্দোলনের ফলে দেশের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।'
জিজ্ঞাস করতে পারেন ছাত্র সংসদ নির্বাচন যদি না হয়,তয় কোন সমস্যাটা সবার আগে জাতির সামনে চলে আসবে, আমি বিন্দু মাত্র সময় বিনিয়োগ না করে বলব যখন আমাদের উপর দায়িত্ব্য বর্তাবে, ঠিক সেই সময় আমরা ছাত্র সমাজ দেশকে সেবার দেওয়ার আর্দশ থেকে যোজন যোজন দূরে সরে যাব । শিক্ষিত হব সবাই ঠিক, তবে সেই শিক্ষার ফল ব্যয় হবে ব্যক্তি স্বার্থে । দেশে জন্ম নিবে বিশাল অংকের এক ভোগবাদী শ্রেণী ।অর্থাৎ আমরাই হব সেই ভোগবাদী শ্রেণী । ঠিক বলছি ?
আজ দেশ খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে হাঁটছে , দৈনিক পত্রিকা পড়লে মনে কি জ্বালা শুরু করে না ? আন্দাজ করতে পারেন ?প্রতিটা পত্রিকার প্রতিটা রিপোটের শিরোনাম লিখা থাকে ঋণাত্নক ভাবে । বুঝেন দেশের কি অবস্থা । বাদ বাকী গনমাধ্যমের কথা নাই বা বলা হল । কিন্তু কেন ?
লক্ষ্মণটা এখনও কিছুটা আচঁ করা যাচ্ছে । আজ যদি দেশ কোন বির্পযয়ের মধ্যে পড়ে কয় জন ছাত্র দাড়ঁবে দেশের জন্য জান-প্রাণ বিলিয়ে দিতে ।উত্তর একজনও না ।নেতা তোফায়েল,আমু এদের মতো উত্তোরাধীকারি আর দেশে জন্ম নেবে বলে মনে হয় না ।আর যদি না হয়,তাহলে দেশের অবস্থা কি দাড়াবেঁ,ভাবলে শিউঁরে উঠি ।
তাই আজ সময় এসেছে ছাত্র সংসদ গুলোর নির্বাচনের ব্যবস্থা করা ।যতই সকাল হবে ততই জাতির জন্য মঙ্গল ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।






