somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচন কেন প্রয়োজন

১৭ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১০:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


অতি সম্প্রতি আওয়ামী লীগ নেতা তোফায়েল আহমেদ সাহেবের বিবিসি বাংলায় দুই পর্বেরএকটি সাক্ষাৎকার আমি খুবই মনোযোগ দিয়ে শুনি ।জাতি হিসাবে আমাদের সৌভাগ্যবান না বলে উপায় নেই যে, স্বাধীনতার স্বাদ পেতে বাঙগালিরা যখন চাতক পাখির মত মুখিয়ে ছিল, ঠিক সেই সময় জাতির পিতার পাশে তোফায়েল আহমেদের মত নেতারা আলেকজান্ডারের বিশস্ত্ব সেনাপতি সেলুকাসের মত অহর্নিশি পাশে ছিলেন । তাই আমাদেরকে স্বাধীনতার স্বাধ পেতে কষ্ট হলেও খুব একটা বেশি বেগ পেতে হয় নি । সাক্ষাৎকারে বীর মুক্তিযোদ্ধা তোফায়েল সাহেব গর্ব করে বলে- ছিলেন “অজপাড়া গাঁ থেকে উঠে আসা তোফায়েল আহমদই কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধী দিয়েছি জনগনের পক্ষ থেকে । সেটিই আমার রাজনীতির চরম মূহুর্ত’।
তিনি আরও বলেন-' আমার বক্তৃতা শেষ করতে চাইলে সাথে সাথে উপস্থিত জনতা চিৎকার দিয়ে বলে আরও বলেন” ।

আমার বলিতে সন্দেহ নেই “ আজ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আমাদের মত তরুনরা বক্তৃতা দিতে গেলে শুনা যায় উপস্থিত লোকজন চিৎকার করে বলে দূর হ দূর হ । বড় বেশি আক্ষেপ লাগে’।

কিন্তু কেন , কেন ওদেরকে বলে আরও বলেন, আমাদের সময় নাক সিঠকায় । কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিপি হয়েছিলেন বলেই তাদের আজ এমন বাগ্মিতা । আর আমারা হই নাই বলে আমাদের এ করুন দশা । কারা দায়ি ?মোটাদাগে বলার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না ।

বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে যাব,আর অপেক্ষা করব যথাযথ কর্তৃপক্ষের যদি শুভবুদ্ধির উদয় হয় ।কারন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের নির্বাচন আমাদের জাতীয় নেতৃত্বের ভিত মুজবুত হওয়ার নির্বাচন । আজ আমাদের জাতীয় নেতৃত্বের কলকাঠি যারা নাড়ান , খোজ নিয়ে দেখা যায় এদের বিশাল একটি অংশ বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে নির্বাচিত হয়ে ছাত্র সংগঠন গুলোর নেতৃত্ব দেন । সেই অভিজ্ঞতার সুফল আজ আমরা গ্রহণ করছি ।এবং চালের মধ্যে যেমন ধান থাকে, ঠিক তেমনি দু’এক জন বাদে বাকি সবাই কিন্তু ইতিবাচক রাজনীতির উদাহরন সৃষ্টিকারী ।

ডাকসুর সাবেক ভিপি,কমরেড রাশেদ খান মেননের ভাষায় বলতে হয় 'ডাকসু একটি গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানের আন্দোলনের ফলে দেশের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।'

জিজ্ঞাস করতে পারেন ছাত্র সংসদ নির্বাচন যদি না হয়,তয় কোন সমস্যাটা সবার আগে জাতির সামনে চলে আসবে, আমি বিন্দু মাত্র সময় বিনিয়োগ না করে বলব যখন আমাদের উপর দায়িত্ব্য বর্তাবে, ঠিক সেই সময় আমরা ছাত্র সমাজ দেশকে সেবার দেওয়ার আর্দশ থেকে যোজন যোজন দূরে সরে যাব । শিক্ষিত হব সবাই ঠিক, তবে সেই শিক্ষার ফল ব্যয় হবে ব্যক্তি স্বার্থে । দেশে জন্ম নিবে বিশাল অংকের এক ভোগবাদী শ্রেণী ।অর্থাৎ আমরাই হব সেই ভোগবাদী শ্রেণী । ঠিক বলছি ?
আজ দেশ খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে হাঁটছে , দৈনিক পত্রিকা পড়লে মনে কি জ্বালা শুরু করে না ? আন্দাজ করতে পারেন ?প্রতিটা পত্রিকার প্রতিটা রিপোটের শিরোনাম লিখা থাকে ঋণাত্নক ভাবে । বুঝেন দেশের কি অবস্থা । বাদ বাকী গনমাধ্যমের কথা নাই বা বলা হল । কিন্তু কেন ?

লক্ষ্মণটা এখনও কিছুটা আচঁ করা যাচ্ছে । আজ যদি দেশ কোন বির্পযয়ের মধ্যে পড়ে কয় জন ছাত্র দাড়ঁবে দেশের জন্য জান-প্রাণ বিলিয়ে দিতে ।উত্তর একজনও না ।নেতা তোফায়েল,আমু এদের মতো উত্তোরাধীকারি আর দেশে জন্ম নেবে বলে মনে হয় না ।আর যদি না হয়,তাহলে দেশের অবস্থা কি দাড়াবেঁ,ভাবলে শিউঁরে উঠি ।

তাই আজ সময় এসেছে ছাত্র সংসদ গুলোর নির্বাচনের ব্যবস্থা করা ।যতই সকাল হবে ততই জাতির জন্য মঙ্গল ।


০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মব রাজ্যে উত্তেজনা: হাদির মৃত্যুতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪২

রোম যখন পুড়ছিল নিরো নাকি তখন বাঁশি বাজাচ্ছিল; গতরাতের ঘটনায় ইউনুস কে কি বাংলার নিরো বলা যায়?



বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদটি সবসময় ছিল চ্যালেঞ্জিং।‌ "আল্লাহর... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্টেরিম সরকারের শেষদিন : গঠিত হতে যাচ্ছে বিপ্লবী সরকার ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২২


ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্তঃদেশীয় প্রকল্পটা সফল হতে অনেক দিন লেগে গিয়েছিল। বাংলাদেশে সে তুলনায় সংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহের সফলতা স্বল্প সময়ে অনেক ভালো। এটা বিস্ময়কর ব্যাপার, ‘রাষ্ট্র’... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×