somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হিমুর বয়স আর বাড়বে না!

২০ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১১:৫২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রায় এক বৎসর পরে বাড়িতে যাব , তাই মনের আনন্দে খুবই সকাল ঘুমিয়ে পড়ি । উদ্দেশ্য একটাই যেন সকাল সকাল গাড়ি ধরতে পারি ।তাই বিবিসি বাংলার খবর পড়া মাত্রই ঘুমিয়ে পড়ি । সকালে নিদ্রা থেকে জেগে bdnews24.com হুমায়ূন স্যারের মৃত্যুর খবর পড়ে নিজেকে আর ধরে রাখতে পারিনি ।স্যার আর জীবিত নেই ,আমি বিশ্বাস করতে পারিনি । আমি কখনও bdnews24.com এর কোন খবর মিথ্যা বলে মনে না করলেও আজ প্রথম আমার মিথ্যা বলে মনে হয়েছে । কিন্তু পরে ফেইসবুকে সাংবাদিক বারী ভাইয়ের স্ট্যাটাস পড়ে বুঝলাম সত্যিই আজ থেকে আর হিমুর বয়স বাড়বে না ।আমরা এতিম হয়ে গেলাম ।
আমার সাহিত্য পাঠ শুরু হয় স্কুল জীবনে 'মীর মোশাররফ হোসেন'র 'বিষাদ সিন্ধু' উপন্যাস পাঠের মধ্য দিয়ে । তাও বইটি ছিল স্কুল গ্রন্থাগার থেকে চুরি করা (আমার বই চুরির গল্প নিয়ে আরেক দিন লিখব) ।এর পর ড.লুৎফুর রহমান,শরৎচন্দ্রের 'উপন্যাস সমগ্রহ' সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের 'অর্ধেক জীবন' বা রবীন্দ্রনাথের 'ডাক ঘর' 'গীতাঞ্জলী' অথবা নজরুলের 'অগ্নিবিনা' সহ অনেক লেখকের লেখা পাঠ করা হলেও হুমায়ুন স্যারের কোন লেখা আমার পাঠ করা হয়নি ২০১০ সাল পর্যন্ত ।কিন্তু ২০১০ সালে 'দৈনিক কালের কন্ঠে'র সাহিত্য ম্যাগাজিন 'শিলালিপিতে' স্যারের ' ফাউন্টেনপেন' বইয়ের কয়েক অংশ ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশ করা হলে ,সেই যে স্যারের লেখায় আমি পাগল হলাম, আজ যা আমার প্রধান ঘুমের ঔষধে পরিনত হয়ে গেছে ।
উল্লেখ্য ২০১০ সালে এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল খারাপ হলে আমি মানসিক ভাবে এতোবেশি বির্পযস্ত হয়ে পড়ি যে কোন কোন রাত সারা রাত আমি জেগে জেগে কাটিয়ে দিতাম ।কিন্তু যখন থেকে স্যারের বই পড়া শুরু করে দিয়েছি ঠিক তখন খেকে স্যারের বই পড়া মাত্র আমার ঘুমের আর কোন সমস্যা হয়নি ।আর এখন স্যারের লেখা না পড়লে আমার ঘুমই আসে না ।এমনকি পরদিন কোন পরীক্ষা হলেও আগের স্যারের বই পড়া তার পর সময় থাকলে পরীক্ষার চিন্তা ।
অনেকদিন পরে বাড়িতে গেলেও সবার সাথে খুব একটা মজা করিনি । প্রয়োজন ব্যতিত আলাপ করতে ইচ্ছেই হয়নি । সেই যে সকালে আমার মন খারাপ হয়ে এখন তার রেশ এতটুকু কমেনি বরং বাড়তেছে ....
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মব রাজ্যে উত্তেজনা: হাদির মৃত্যুতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪২

রোম যখন পুড়ছিল নিরো নাকি তখন বাঁশি বাজাচ্ছিল; গতরাতের ঘটনায় ইউনুস কে কি বাংলার নিরো বলা যায়?



বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদটি সবসময় ছিল চ্যালেঞ্জিং।‌ "আল্লাহর... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্টেরিম সরকারের শেষদিন : গঠিত হতে যাচ্ছে বিপ্লবী সরকার ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২২


ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্তঃদেশীয় প্রকল্পটা সফল হতে অনেক দিন লেগে গিয়েছিল। বাংলাদেশে সে তুলনায় সংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহের সফলতা স্বল্প সময়ে অনেক ভালো। এটা বিস্ময়কর ব্যাপার, ‘রাষ্ট্র’... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×