প্রায় এক বৎসর পরে বাড়িতে যাব , তাই মনের আনন্দে খুবই সকাল ঘুমিয়ে পড়ি । উদ্দেশ্য একটাই যেন সকাল সকাল গাড়ি ধরতে পারি ।তাই বিবিসি বাংলার খবর পড়া মাত্রই ঘুমিয়ে পড়ি । সকালে নিদ্রা থেকে জেগে bdnews24.com হুমায়ূন স্যারের মৃত্যুর খবর পড়ে নিজেকে আর ধরে রাখতে পারিনি ।স্যার আর জীবিত নেই ,আমি বিশ্বাস করতে পারিনি । আমি কখনও bdnews24.com এর কোন খবর মিথ্যা বলে মনে না করলেও আজ প্রথম আমার মিথ্যা বলে মনে হয়েছে । কিন্তু পরে ফেইসবুকে সাংবাদিক বারী ভাইয়ের স্ট্যাটাস পড়ে বুঝলাম সত্যিই আজ থেকে আর হিমুর বয়স বাড়বে না ।আমরা এতিম হয়ে গেলাম ।
আমার সাহিত্য পাঠ শুরু হয় স্কুল জীবনে 'মীর মোশাররফ হোসেন'র 'বিষাদ সিন্ধু' উপন্যাস পাঠের মধ্য দিয়ে । তাও বইটি ছিল স্কুল গ্রন্থাগার থেকে চুরি করা (আমার বই চুরির গল্প নিয়ে আরেক দিন লিখব) ।এর পর ড.লুৎফুর রহমান,শরৎচন্দ্রের 'উপন্যাস সমগ্রহ' সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের 'অর্ধেক জীবন' বা রবীন্দ্রনাথের 'ডাক ঘর' 'গীতাঞ্জলী' অথবা নজরুলের 'অগ্নিবিনা' সহ অনেক লেখকের লেখা পাঠ করা হলেও হুমায়ুন স্যারের কোন লেখা আমার পাঠ করা হয়নি ২০১০ সাল পর্যন্ত ।কিন্তু ২০১০ সালে 'দৈনিক কালের কন্ঠে'র সাহিত্য ম্যাগাজিন 'শিলালিপিতে' স্যারের ' ফাউন্টেনপেন' বইয়ের কয়েক অংশ ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশ করা হলে ,সেই যে স্যারের লেখায় আমি পাগল হলাম, আজ যা আমার প্রধান ঘুমের ঔষধে পরিনত হয়ে গেছে ।
উল্লেখ্য ২০১০ সালে এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল খারাপ হলে আমি মানসিক ভাবে এতোবেশি বির্পযস্ত হয়ে পড়ি যে কোন কোন রাত সারা রাত আমি জেগে জেগে কাটিয়ে দিতাম ।কিন্তু যখন থেকে স্যারের বই পড়া শুরু করে দিয়েছি ঠিক তখন খেকে স্যারের বই পড়া মাত্র আমার ঘুমের আর কোন সমস্যা হয়নি ।আর এখন স্যারের লেখা না পড়লে আমার ঘুমই আসে না ।এমনকি পরদিন কোন পরীক্ষা হলেও আগের স্যারের বই পড়া তার পর সময় থাকলে পরীক্ষার চিন্তা ।
অনেকদিন পরে বাড়িতে গেলেও সবার সাথে খুব একটা মজা করিনি । প্রয়োজন ব্যতিত আলাপ করতে ইচ্ছেই হয়নি । সেই যে সকালে আমার মন খারাপ হয়ে এখন তার রেশ এতটুকু কমেনি বরং বাড়তেছে ....

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।






