খুব কষ্টে আছি । আল্লাহর রহমতে শারীরিকভাবে আমার কোন সমস্যা নেই । এইতো দুদিন আগে যে দীর্ঘ হাঁটা হেঁটেছি তাতে মনে মনে খুশিও হয়েছি এই ভেবে যে শরীর এখনও আগের মতো ঠিক আছে । তিন বেলা মোটামুটি খাবার মিলছে তাতেও সন্তুষ্ট । মা-বাবার সাথে থাকি,প্রতিদিন মা-বাবার মুখ দেখে ভার্সিটিতে যাই পরম আনন্দ নিয়ে ।সব দিক বিবেচনায় নিলে আমি আহলাদে আটখানা না হলেও ভাল আছে বলতে পারি ।
কিন্তু আসলেই কি ভাল আছি ?না এতো কিছুর পরও আমি ভাল নেই ।তাই শুরুতেই বলেছি আমি খুব কষ্টে আছি । কি ভাবে আর ভাল থাকতে পারি ,খবরের কাগজ এখন এর পড়তেই মনে সায় দেয় না । একটা খবরের শিরোনাম ও পাওয়া যায় না দেশের পক্ষে,দেশের ভাল কোন অর্জন নিয়ে ।এই যে আজকে দৈনিক কালের কন্ঠ পড়লাম 'দুর্নীতির মূলে বিটিসিএল' বা টিআইবির গবেষণা প্রতিবেদন 'হিসাব মহানিয়ন্ত্রক অফিসে ২৩ খাতে ঘুষ দিতে হয়' ।আর ও কতশত ব্যর্থতা আর সমস্যার বিস্তর ফিরিস্তি আছে একের পর এক খবরে । তারপরও কি বলবো ভাল আছি ।
কিন্তু কালে-ভদ্রে,এমন কিছু খবর আসে যা পড়ে কষ্টটা একটু হলেও লাঘব হয় । ভাবি হায় তাহলে দেশে এখনও কিছু মহান ব্যক্তি আছেন যারা রাষ্ট্র নিয়ে,সমাজ নিয়ে ভাবেন ,কাজ করেন দেশের সম্মান বয়ে নিয়ে আসেন ।তারা সাহস দেন,জাগতে শিখান ,মথা নত সমাজ কে বুক টান দিয়ে দাড়াঁতে বলেন ।আমরা জাগী,বিশ্ববাসি আমাদের চিনে,আমাদের সম্মোহ করে ,তাদের চিন্তায় আমাদের রাখে ।
এরকম একটি খবর পড়লাম সেদিন 'বৃটেনের স্কটল্যান্ডে অবস্থিত গ্লাসগো ক্যালিডোনিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য’র (চ্যান্সেলর) পদ গ্রহণ করলেন নোবেল জয়ী বাংলাদেশি অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনুস। সোমবার এ খবর দিয়েছে বিবিসি। বিশ্ববিদ্যালয়টির সদ্য সাবেক চ্যান্সেলর বিশিষ্ট সাংবাদিক ও রাজনীতিক লর্ড ম্যাকডোনাল্ড-এর স্থলাভিষিক্ত হলেন তিনি। (সূত্র:বিডিনিউজ২৪.কম)
সমাজ,রাষ্ট্র নিয়ে নিজের সামর্থ্য,মেধা-মনন দিয়ে চিন্তা ভাবনা করি ।যারা সমাজ নিয়ে, রাষ্ট্র নিয়ে সত, সুন্দর স্বপ্ন দেখেন,নিজেকে বিলিয়ে দেন ,নিজ স্বার্থ না দেখে অপরের স্বার্থ দেখেন আমি তাদের কে নিয়ে ভাবি । তাদের কাজে ,আর্দশে অনুপ্রাণিত হই ।সমাজ,রাষ্ট্র বিনির্মানে ঝাপিয়ে পড়তে চাই ।এরকম এক ব্যক্তি আমাদের ড.মুহাম্মদ ইউনুস স্যার ।
সমাজ বির্নিমানে ড.ইউনুস এক প্রবাদ পুরুষ । ইউনুস সম্পর্কে,তার কৃতিত্ব নিয়ে ,অগাধ দেশ প্রেম নিয়ে আমি এই নালায়েকের এটুকু বলতে পারি তার দেশপ্রেম নির্ভুল,সত সুন্দর,সমাজ নিয়ে তার চিন্তা মহৎ, তার কথায় ও কাজে অপূর্ব মিল ।তিনি দেশকে নিয়ে বিরামহীন ভাবে এগিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টায় মগ্ন,দরিদ্রকে জাদুঘরে পাঠানোর নেশায় পাগল প্রায় ।তিনি নিজে করেন,অন্যকে জাগিয়ে তুলেন ,তরুণ সমাজ তার কাজে অনুপ্রাণিত হয়,শত হতাশার মাঝেও আশা পায়,বলতে পারেন তরুণ সমাজের কাছে এক প্রেরণাদায়ক মহান বাঙ্গালি ড.মুহাম্মদ ইউনুস ।
এরকম এক মহান দেশ দরদি ,চিন্তশীল মানব ড.ইউনুসকে নিয়ে সরকার যা শুরু করেছে তা আর যাই হোক সুস্থ্য মানসিকতার লক্ষ্যণ নয় । ড.ইউনুসের দোষ (মোটেও দোষ নয় )বয়স ৬০ বৎসর অতিক্রান্ত হওয়ার পরও কেন তিনি এমডি পদে বহাল ছিলেন ।মানলাম ,কিন্তু তাই বলে কি সব কিছু একেবারে হারিয়ে গিয়েছিল ? না যায় নি ।প্রধানমন্ত্রী কি একবারের জন্যও ইউনুস সাহেব সাথে পরামর্শ করেছেন ? না করেন নি ।শলা-পরামর্শ করেওতো এমনটা করা যেত ।যেদিন নিজ দেশের নোবেল বিজয়ী ড.ইউনুস আদালতে আর পাশের দেশের নোবেল লোরিয়েট কে দেখলাম সংবর্ধনা দিতে ,সেদিন রাষ্ট্রীয় ভন্ডামি দেখে ক্ষোভে,দঃখে আত্নহত্যা করতে ইচ্ছে হয়েছিল ।এখন প্রশ্ন করতে ইচ্ছে হয় ,আপনারা দুই দলের দুই নেত্রী কেন জগদল পাথরের মতো দলের উপর বোঝা হয়ে দীর্ঘদিন ধরে স্বৈরাচারি কায়দায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন লজ্জা লাগেনা ?
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অনেক হয়ে এবার মুক্তি দেন । সব কিছু মেনে নিব,গলাটিঁপে ধরেন কিছুই বলবনা,কিন্তু একটি বিষয় মনে রাখা দরকার,সেই দিন দিন নয় আরও দিন আছে ।রাজনীতি করেন ,দেখা যার আবার ক্ষমতায় যাওয়ার ইচ্ছা,পদ্নাসেতু আরও দুইটা করবেন আগমীতে,একটাতো প্রায় শেষ,যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবেন আরও কত কিছু ।দয়া করে ড.ইউনুসের পেছনে আর বেহুদা ,অন্যায় ভাবে সময় নষ্ট করবেন না ।জানেনতো লেবু বেশি চিপলে তিক্ত হয়ে যায় ।
সবশেষে একটি কথা বলবো আমরা বীরের জাতি ,আমার জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শুনে এখনও রক্ত গরম করি ,আমাদের এতো বুকা ভাববেন না ।সময় সুযোগে আমার এই অন্যায়ের প্রতিবাদ জানাবোই । সামনে নির্বাচন আছে । আমাদেরও সুযোগ আছে অন্যায়ের প্রতিবাদ করার । তখন দেখা যাবে ঠেলার নাম বাবাজী কাকে বলে ।
আশাকারি সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হবে ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।






