somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দয়াকরে ড.মুহাম্মদ ইউনুসকে নিয়ে বাড়াবাড়ি বাদ দেন

১৩ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



খুব কষ্টে আছি । আল্লাহর রহমতে শারীরিকভাবে আমার কোন সমস্যা নেই । এইতো দুদিন আগে যে দীর্ঘ হাঁটা হেঁটেছি তাতে মনে মনে খুশিও হয়েছি এই ভেবে যে শরীর এখনও আগের মতো ঠিক আছে । তিন বেলা মোটামুটি খাবার মিলছে তাতেও সন্তুষ্ট । মা-বাবার সাথে থাকি,প্রতিদিন মা-বাবার মুখ দেখে ভার্সিটিতে যাই পরম আনন্দ নিয়ে ।সব দিক বিবেচনায় নিলে আমি আহলাদে আটখানা না হলেও ভাল আছে বলতে পারি ।
কিন্তু আসলেই কি ভাল আছি ?না এতো কিছুর পরও আমি ভাল নেই ।তাই শুরুতেই বলেছি আমি খুব কষ্টে আছি । কি ভাবে আর ভাল থাকতে পারি ,খবরের কাগজ এখন এর পড়তেই মনে সায় দেয় না । একটা খবরের শিরোনাম ও পাওয়া যায় না দেশের পক্ষে,দেশের ভাল কোন অর্জন নিয়ে ।এই যে আজকে দৈনিক কালের কন্ঠ পড়লাম 'দুর্নীতির মূলে বিটিসিএল' বা টিআইবির গবেষণা প্রতিবেদন 'হিসাব মহানিয়ন্ত্রক অফিসে ২৩ খাতে ঘুষ দিতে হয়' ।আর ও কতশত ব্যর্থতা আর সমস্যার বিস্তর ফিরিস্তি আছে একের পর এক খবরে । তারপরও কি বলবো ভাল আছি ।
কিন্তু কালে-ভদ্রে,এমন কিছু খবর আসে যা পড়ে কষ্টটা একটু হলেও লাঘব হয় । ভাবি হায় তাহলে দেশে এখনও কিছু মহান ব্যক্তি আছেন যারা রাষ্ট্র নিয়ে,সমাজ নিয়ে ভাবেন ,কাজ করেন দেশের সম্মান বয়ে নিয়ে আসেন ।তারা সাহস দেন,জাগতে শিখান ,মথা নত সমাজ কে বুক টান দিয়ে দাড়াঁতে বলেন ।আমরা জাগী,বিশ্ববাসি আমাদের চিনে,আমাদের সম্মোহ করে ,তাদের চিন্তায় আমাদের রাখে ।
এরকম একটি খবর পড়লাম সেদিন 'বৃটেনের স্কটল্যান্ডে অবস্থিত গ্লাসগো ক্যালিডোনিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য’র (চ্যান্সেলর) পদ গ্রহণ করলেন নোবেল জয়ী বাংলাদেশি অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনুস। সোমবার এ খবর দিয়েছে বিবিসি। বিশ্ববিদ্যালয়টির সদ্য সাবেক চ্যান্সেলর বিশিষ্ট সাংবাদিক ও রাজনীতিক লর্ড ম্যাকডোনাল্ড-এর স্থলাভিষিক্ত হলেন তিনি। (সূত্র:বিডিনিউজ২৪.কম)
 
সমাজ,রাষ্ট্র নিয়ে নিজের সামর্থ্য,মেধা-মনন দিয়ে চিন্তা ভাবনা করি ।যারা সমাজ নিয়ে, রাষ্ট্র নিয়ে সত, সুন্দর স্বপ্ন দেখেন,নিজেকে বিলিয়ে দেন ,নিজ স্বার্থ না দেখে অপরের স্বার্থ দেখেন আমি তাদের কে নিয়ে ভাবি । তাদের কাজে ,আর্দশে অনুপ্রাণিত হই ।সমাজ,রাষ্ট্র বিনির্মানে ঝাপিয়ে পড়তে চাই ।এরকম এক ব্যক্তি আমাদের ড.মুহাম্মদ ইউনুস স্যার ।
সমাজ বির্নিমানে ড.ইউনুস এক প্রবাদ পুরুষ । ইউনুস সম্পর্কে,তার কৃতিত্ব নিয়ে ,অগাধ দেশ প্রেম নিয়ে আমি এই নালায়েকের এটুকু বলতে পারি তার দেশপ্রেম নির্ভুল,সত সুন্দর,সমাজ নিয়ে তার চিন্তা মহৎ, তার কথায় ও কাজে অপূর্ব মিল ।তিনি দেশকে নিয়ে বিরামহীন ভাবে এগিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টায় মগ্ন,দরিদ্রকে জাদুঘরে পাঠানোর নেশায় পাগল প্রায় ।তিনি নিজে করেন,অন্যকে জাগিয়ে তুলেন ,তরুণ সমাজ তার কাজে অনুপ্রাণিত হয়,শত হতাশার মাঝেও আশা পায়,বলতে পারেন তরুণ সমাজের কাছে এক প্রেরণাদায়ক মহান বাঙ্গালি ড.মুহাম্মদ ইউনুস ।
এরকম এক মহান দেশ দরদি ,চিন্তশীল মানব ড.ইউনুসকে নিয়ে সরকার যা শুরু করেছে তা আর যাই হোক সুস্থ্য মানসিকতার লক্ষ্যণ নয় । ড.ইউনুসের দোষ (মোটেও দোষ নয় )বয়স ৬০ বৎসর অতিক্রান্ত হওয়ার পরও কেন তিনি এমডি পদে বহাল ছিলেন ।মানলাম ,কিন্তু তাই বলে কি সব কিছু একেবারে হারিয়ে গিয়েছিল ? না যায় নি ।প্রধানমন্ত্রী কি একবারের জন্যও ইউনুস সাহেব সাথে পরামর্শ করেছেন ? না করেন নি ।শলা-পরামর্শ করেওতো এমনটা করা যেত ।যেদিন নিজ দেশের নোবেল বিজয়ী ড.ইউনুস আদালতে আর পাশের দেশের নোবেল লোরিয়েট কে দেখলাম সংবর্ধনা দিতে ,সেদিন রাষ্ট্রীয় ভন্ডামি দেখে ক্ষোভে,দঃখে আত্নহত্যা করতে ইচ্ছে হয়েছিল ।এখন প্রশ্ন করতে ইচ্ছে হয় ,আপনারা দুই দলের দুই নেত্রী কেন জগদল পাথরের মতো দলের উপর বোঝা হয়ে দীর্ঘদিন ধরে স্বৈরাচারি কায়দায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন লজ্জা লাগেনা ?
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অনেক হয়ে এবার মুক্তি দেন । সব কিছু মেনে নিব,গলাটিঁপে ধরেন কিছুই বলবনা,কিন্তু একটি বিষয় মনে রাখা দরকার,সেই দিন দিন নয় আরও দিন আছে ।রাজনীতি করেন ,দেখা যার আবার ক্ষমতায় যাওয়ার ইচ্ছা,পদ্নাসেতু আরও দুইটা করবেন আগমীতে,একটাতো প্রায় শেষ,যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবেন আরও কত কিছু ।দয়া করে ড.ইউনুসের পেছনে আর বেহুদা ,অন্যায় ভাবে সময় নষ্ট করবেন না ।জানেনতো লেবু বেশি চিপলে তিক্ত হয়ে যায় ।
সবশেষে একটি কথা বলবো আমরা বীরের জাতি ,আমার জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শুনে এখনও রক্ত গরম করি ,আমাদের এতো বুকা ভাববেন না ।সময় সুযোগে আমার এই অন্যায়ের প্রতিবাদ জানাবোই । সামনে নির্বাচন আছে । আমাদেরও সুযোগ আছে অন্যায়ের প্রতিবাদ করার । তখন দেখা যাবে ঠেলার নাম বাবাজী কাকে বলে ।
আশাকারি সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হবে ।

৬টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মব রাজ্যে উত্তেজনা: হাদির মৃত্যুতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪২

রোম যখন পুড়ছিল নিরো নাকি তখন বাঁশি বাজাচ্ছিল; গতরাতের ঘটনায় ইউনুস কে কি বাংলার নিরো বলা যায়?



বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদটি সবসময় ছিল চ্যালেঞ্জিং।‌ "আল্লাহর... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্টেরিম সরকারের শেষদিন : গঠিত হতে যাচ্ছে বিপ্লবী সরকার ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২২


ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্তঃদেশীয় প্রকল্পটা সফল হতে অনেক দিন লেগে গিয়েছিল। বাংলাদেশে সে তুলনায় সংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহের সফলতা স্বল্প সময়ে অনেক ভালো। এটা বিস্ময়কর ব্যাপার, ‘রাষ্ট্র’... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×