somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সিলেটের দুই অর্থমন্ত্রী ও আমার কিছু আক্ষেপ

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:৩৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


গতকাল সিলেট স্টেডিয়ামে সাবেক অর্থমন্ত্রী এম.সাইফুর রহমানের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয় । অনুষ্ঠানে আমি অত্যন্ত আগ্রহ নিয়ে উপস্থিত হই কোন দলের কোন সর্মথক হিসেবে নয় ,হাজির হয়েছি যেন সিলেটের এই কৃতী সন্তানের কর্মময় জীবন,দেশের প্রতি তারঁ ত্যাগ ,না জানা অনেক অবদান ইত্যাদি ইত্যাদি জানতে পারি ।দিন কয়েক পূর্বে সিলেটের আরেক কৃতী সন্তান সাবেক বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর ড.ফরাস উদ্দিন এসেছিলেন সিলেটের নর্থ ইস্ট ইউনিভার্সিটি তে একটি সেমিনারে প্রধান আলোচন হিসেবে ।সেখানে ও আমি নাদান উপস্থিত হয়েছি ,উনার জ্ঞান গর্ব আলোচনা শুনে নিজেকে ধন্য করেছি । দেশের কোন মহান ব্যক্তিদের সিলেট আগমন শুনলে বা তাদেঁর নিয়ে সভা সেমিনারের আয়োজন হলে আমি আমার সবোর্চ্চ চেষ্টা করি সেখানে উপস্থিত হওয়ার জন্য ।কখনও পারি আবার কখনও পারি না ।দেশের এক প্রান্তে বসবাস,তাই কাল ভদ্রে এদের আগমনের খবর পেলে মনের মধ্যে শিহরণ লাগে ,উপস্থিত হতে পারলে ভাল লাগে ।এজন্য গত কালকে আমার সেখানে গমন ।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন জন এম.সাইফুর রহমানের অবদান আলোচনা করতে গিয়ে বিভিন্ন ভাবে বর্তমান অর্থমন্ত্রী আব্দুল মালের সমালোচনা করলে একজন সিলেটি হিসেবে মনে বড় কষ্ট পেয়েছি । একদিকে সাইফুর রহমানের কৃতিত্ব শুনে যেমন ভাল লেগেছে ঠিক তেমনি খারাপ ও লেগেছে ।হ্যাঁ উভয় জন অর্থনীতিবিদ, অর্থমন্ত্রী,আবার সিলেটী তাই বিভিন্ন প্রেক্ষিতে বিভিন্ন বিষয় তুলনা করতে গিয়ে সমালোচনা করাটা স্বাভাবিক ভাবে সহজ হয়েছে ।যেমন সিলেটি হিসেবে সাইফুর রহমান এমন করেছেন,সিলেটী হিসেবে উনি(বর্তমান অর্থমন্ত্রী) তো কিছুই করেন নি । বা অর্থমন্ত্রী হিসেবে সাইফুর রহমানের মতো তিনি কিছুই করেননি ইত্যাদি ইত্যাদি ।
কিন্তু সবচেয়ে বড় কষ্ট পেয়েছি খবরের কাগজে যখন পড়লাম নিউএজ সম্পাদক নূরুল কবীর অর্থমন্ত্রীকে নব্য রাজাকার বলে তার গ্রেফতার ও বিচার চাইলেন ।নূরুল কবীল সাহেব আপনি সন্দেহ নেই একজন বিখ্যাত সাংবাদিক । আপনার তুলনায় আমি মূর্খ বৈ কিছু নই ।আপনার প্রতি সম্মান রেখে বলছি একজন মুক্তিযোদ্ধা কখনও রাজাকার হতে পারেন না ।আর যে জন্য নব্য রাজাকার বলে গ্রেফতার ও বিচার চাইলেন আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনেকরি সেখানে আপনি ভালই করে জানেন অর্থমন্ত্রী হিসেবে উনার দোষ কতটুকু ।এই্তো 'গত ১সেপ্টেম্বর শনিবার নিউইয়র্কের একটি সেমিনারে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বললেন, বাংলাদেশে সাংবিধানিকভাবে প্রধানমন্ত্রীর একনায়কত্ব কায়েম হয়েছে।'যেখানে একজনের সর্বময় ক্ষমতা সেখানে অন্যদের আর কি বা করার আছে,শুধু গবুচন্দ্র মন্ত্রি হওয়া ছাড়া ।যা আপনারা বিভিন্ন সময় বলে থাকেন ।
। যেখানে মন্ত্রীদের নেই কোন কর্তৃত্ব ,মন্ত্রীপরিষদ আছে ঠিক , কিন্তু প্রধান কর্তৃত্ব সেই ব্রিটিশ আমলের দ্বৈত শাসনের মতো প্রধান মন্ত্রীর অনির্বাচিত উপদেষ্টাদের হাতে ।এই উপদেষ্টার মধ্যে থেকে একজনের তো হলমার্কের কর্নধার তানভির সাহবের সাহেবের সাথে সুসর্ম্পক আছে বলে তানভির নিজেই স্বীকার করেছেন ।এখন 'যত দোষ নন্দ ঘোষের মতো 'সেই আমাদের অর্থমন্ত্রীর । কেন তিনি কিছুই করেন না ।
আজ শেয়ার কেলেংকারি,বিশ্বব্যাংক,গ্রামীণব্যাংক সমস্যা,হলমার্ক কেলেংকারি সব কিছুর সমাধানের জন্য এই প্রবীণ বয়সে একজন ব্যক্তি বিরামহীন ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন ।কিন্তু কারও পক্ষ থেকে লেশ মাত্র সহানুভূতিটুকু পর্যন্ত নেই ।আহা রে ।
বিশ্বব্যাংক যার জন্য ঋণ বাতিল করে সেই ব্যক্তিকে দেশপ্রেমিক ঘোষাণা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী যেখানে রীতিমতো জিহাদ ঘোষণা করে বিশ্বব্যাংকের বিরোধে দেশের প্রায় লাল বাতি জ্বেলে দিয়েছিলেন,সেখানে এই ব্যক্তিটিই কিন্তু আপনাদের আমাদের পদ্মাসেতুর জন্য যা করে যাচ্ছে সেজন্য সেলুট দিতেই হবে ।আশার আলো নিভু নিভু করলেও এখনও নিভে যায় নি ।গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে আজ যা হচ্ছে তা তো এক ব্যক্তির কোন ইচ্ছা পূরণ করার জন্য ।কিন্তু কাজটা করানো হচ্ছে মাল সাহেব কে দিয়ে ।তাই সবার অভিযোগের আঙুল তারঁ দিকে ।কিন্তু ভুলে গেলে চলবেনা এই আব্দুল মাল মুহিত সাহেব না হলে গ্রামীণ ব্যাংক আলো দেখতো কি না সন্দেহ আছে ।ড.ইউনুসের ''গ্রামীণ ব্যাংক ও আমার জীবনী'বইটি পড়লে সন্দেহের ধোঁয়াশা কেটে যাবে আশা রাখি ।
দেশের জন্মের প্রায় অর্ধেকেরও বেশি সময় ধরে এই সিলেটিরাই কিন্তু দেশের অর্থমন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করে আসছেন ।কিন্তু কেন সরকারের এই গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়টি বার বার কোন দ্বিধাদ্বন্দ্ব ছাড়াই চোখ বুঝে এই সিলেটের কৃতী সন্তানদের উপর ছেড়ে দেওয়া হয় । কারণ একটাই ব্যক্তি জীবনে সিলেটিরা সত্য।জীবন গেলেও অন্যের সম্পদের প্রতি নেই কোন লোভ,আর রাষ্ট্রীয় জীবনে তো প্রশ্নই আসেনা ।কিন্তু এই সত্ প্রতিভাবান মানুষ গুলো বিভিন্ন সময় দেশের নোংরা রাজনীতির শিকার হয়ে অন্যের সমালোচনার,কটু কথার সম্মুখীন হচ্ছেন ।ভাবতে ,শুনতে বড় কষ্ট লাগে ।


১০টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মব রাজ্যে উত্তেজনা: হাদির মৃত্যুতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪২

রোম যখন পুড়ছিল নিরো নাকি তখন বাঁশি বাজাচ্ছিল; গতরাতের ঘটনায় ইউনুস কে কি বাংলার নিরো বলা যায়?



বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদটি সবসময় ছিল চ্যালেঞ্জিং।‌ "আল্লাহর... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্টেরিম সরকারের শেষদিন : গঠিত হতে যাচ্ছে বিপ্লবী সরকার ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২২


ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্তঃদেশীয় প্রকল্পটা সফল হতে অনেক দিন লেগে গিয়েছিল। বাংলাদেশে সে তুলনায় সংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহের সফলতা স্বল্প সময়ে অনেক ভালো। এটা বিস্ময়কর ব্যাপার, ‘রাষ্ট্র’... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×