somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সময় এখন বদলে গেছে..

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:১৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

...

এখন সময় এসেছে তোয়াজ না করে চলার ।এখন বাণিজ্য আর অর্থনীতির খেলা । রাজনীতি গৌণ হয়ে পড়েছে ।এই যে জাপান আমাদের ঋণ দেয় তা কি উদারতার খাতিরে ? না । একটু খেয়াল করলে দেখবেন জাপান কিন্তু রাস্তা আর সেতু নির্মানে ঋণ দেয় ,আর কঠিন শর্ত থাকে জাপনি গাড়ি ক্রয় করার জন্য ।

ঢাকার আগরগাঁওয়ে সরকারি মিতে বিশ্বব্যাংক আর এডিবির যে বিশাল অট্টালিকার মতো অফিস আর সেখানে নিয়োজিত কর্মকর্তা যাদের পেছনে ব্যয় হয় বিশাল অংকের বেতন ভাতা, এখন যদি পদ্ম সেতুতে ঋণ না দেয় বা অন্যান্য প্রকল্প বাদ দিয়ে দেয় তবে এরা বাচাঁবে কি করে ।তাই এদের লাথি দিয়েও দেশ থেকে বের করা যাবে না । একবার টাকার গন্ধ পেলে কি আর সহজে হাতছাড়া করেতে চাইবে সুযোগ ? শুধু এদের রাজনৈতিক চাল বুঝলেই চলবে ।

আসলে আমরা এখন ভৌগলিক ভাবে,পরিবেশগত সবদিক দিয়ে এমন এক অবস্থানে আছি যেখানে অন্যরা আমাদের তোয়াজ করে চলবে আমরা নই ।শুধু দরকার দেশপ্রেম আর সচেতনতা ।এখন রাজনৈতিক আলোচনার চেয়ে বা রাজনীতি বিজ্ঞানীদের চেয়ে অর্থনীতিবিদদের পরামর্শ নিয়ে যদি দেশের পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয় তবে দেশের ভাল হবে বৈ ক্ষতি হবে না ।

দুই:গত শতকে ৩০ এর দশকে বিশ্বে যে মহামন্দা হয়েছে তা থেকে উত্তরণের জন্য তৎকালীন বিশ্বের তাবৎ অর্থনীতিবিদগণকে দিনকে রাত করার ফলে মন্দা কাটিয়ে উঠতে মোটামুটি সহজ হয়েছে ।কিন্তু এখন ?এই যে global economics collapse এর দোড়গোড়ায় বিশ্ব অর্থনীতি, এই মহা দুর্যোগ থেকে কিভাবে বিশ্ববাসি মুক্তি পাবে তা এক মহা চিন্তার বিষয় । যদিও অর্থনিতিবিদগণ বসে নেই ।এর জন্য তাঁদেরকে সাধুবাদ দিতে হয় ।সংকীর্ণ দৃষ্টিকোণ থেকে না দেখে আমাদের একমাত্র নোবেল জয়ী অর্থনীবিদ ড.মুহাম্মদ ইউনুস সাহেব কে আমি প্রথম সারিতে রাখতে চাই ।কারণ তারঁ উদ্ভাবনি সৃজনশীল মডেল তাবৎ পৃথিবীতে এক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে এবং অনেকেই 'ক্ষুদ্র ঋণ'বলি আর 'সামাজিক ব্যবসা বলি' এই মহামন্দা থেকে উত্তরণের হাতিয়ার হিসেবে দেখছে ।

কিন্তু কেন এই 'global economic collapse ''এর আশংকা ।এক কথায় বললে আমেরিকার হঠকারি রাজনীতি আর প্রতিটাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নগ্ন ভাবে নাক গলানো । এরা বন্ড বিক্রি করে তাও চির শত্রু চিনের কাছে মোটামুটি টিকে আছে ।দেশে এখন সুদের পাহাড় নিয়ে মানুষজন নানা কথা বলছে ।চাকরি নেই ,বেকার লোকের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে ।কিন্তু এদের রাজনৈতিক চিন্তা সেদিকে নয় ,বিশ্বকে নিয়ে পোদ্দারি করার দিকে ।
আমেরিকায় কিন্তু প্রতিনিয়ত বেকারত্ন বৃদ্ধি পাচ্ছে ,তার উপর তাদের চাকরির বিশাল একটা ক্ষেত্র হারাচ্ছে আউটসোর্সিংয়ের ফলে ।আমরা অনেকেই বলি বা ভাবি ডলারের মান খুব বেশি কিন্তু আসলেই কি তাই ।এই যে আউটসোর্সিংয়ের নামে তারা যে কাজটা বাহিরে করাচ্ছে এই কাজটা কি তারা দেশে ভেতরে করিয়ে নিতে পারতো না । কিন্তু করাচ্ছে না । করণ এর জন্য মুদ্রাস্ফীতির মতো ডলার দেশের ভেতর এতো বেশি ব্যয় হবে যা কম্পানির জন্য হিতে বিপরিত হয়ে যাবে । প্রফিট বলে আর কিছুই বাকী থাকবে না ।এভাবে নানা দিক খেকে আমেরিকার অবস্থান অর্থনৈতিক ভাবে কিন্তু খুবই নাজুক ।তাছাড়া প্রতিবছর বিশ্ব সন্ত্রস মুক্ত করার নামে বিশাল এক ব্যয়ভার বহণ করতে হচ্ছে ।যোগানটা কিন্তু সেই বন্ড বিক্রি থেকেই আসছে, আর সুদের পরিমান দিনকে দিন বুদ্ধি পাচ্ছে ।এদিকে প্রধান ক্রেতা চীন আনন্দে বগল বাজাচ্ছে ।আমি বলবো এখান থেকে আমরা কি সুবিধা নিতে পারি ? পারি যদি একটু সচেতন হই ।


গত কালকের খবরে পেলাম ভারত আর বাংলাদেশ থেকে পাটের বস্তা আমদানি করবে না ।সেই ৭৪'এর দুর্ভিক্ষের মতো আমেরিকা ধোয়া আইনের কথা বলে যেমন খাদ্য প্রেরণ করেনি ঠিক(যদিও অর্থনীতিবিদ অমর্থ সেন সঠিক বিতরণকে অনেকটা দায়ী করেছেন ।যাক সেদিকে আমি যাচ্ছি না )তেমনি ভারতও কিন্তু এই কাজটা করেছে আইনের কথা বলে ।

ভারত পাটের বস্তা না কিনলে আমরা কি বসে থকবো ।না থাকব না । বর্তমানে পৃথিবীতে কিন্তু পরিবেশ উপযোগি দ্রব্য ব্যবহারের হিড়িক পড়ে গেছে ।সেদিক থেকে আমাদের সামনে পাটের বিশাল এক বাজার আছে । যেহেতু পাট উৎপাদনে এক অমূল্য পরিবেশ আমাদের এই দেশ ।পৃথিবীর গুটিকয়েক দেশ বাদে বাকীদের যেখানে পাট উৎপাদন করা প্রায় বুধে বাস করার মতো চিন্তা সেখানে আমরা অতি সহজে কিন্তু উৎপাদন করেতে পারি ।শুধু দরকার সঠিক উদ্যোগ আর পরিকল্পনা ।পরিবেশ উপযোগী উৎপাদনের যে চিন্তা ভাবনা পৃথিবীময় হচ্ছে ,সেখানে অতি সহজে বাংলাদেশ সুবিধা আদায় করেতে পারে ।


পরিবেশের কোন রূপ ক্ষতি না করে আমরা সক্ষম পরিবেশ উপযোগি দ্রব্য উৎপাদনে। সেই সাথে যারা পরিবেশ উপযোগি পন্য উৎপাদনে সক্ষম নয় কিন্তু পরিবেশ নিয়ে উদ্বিগ্ন তাদের বাজারর ধরার এখনই সময় ।এই 'global economic collapse'আমরা কি সেই সুযোগটি নিতে প্রস্তুত আছি?একটি ছোট কথা আমেরিকা কিন্তু পরিবেশ উপযোগি পন্য ব্যবহারের জন্য মুখিয়ে আছে । কিন্তু তারা অক্ষম উৎপাদনের জন্য ।তাই বিশাল সুযোগ আমাদেরে সামনে ।









সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:০৪
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মব রাজ্যে উত্তেজনা: হাদির মৃত্যুতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪২

রোম যখন পুড়ছিল নিরো নাকি তখন বাঁশি বাজাচ্ছিল; গতরাতের ঘটনায় ইউনুস কে কি বাংলার নিরো বলা যায়?



বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদটি সবসময় ছিল চ্যালেঞ্জিং।‌ "আল্লাহর... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্টেরিম সরকারের শেষদিন : গঠিত হতে যাচ্ছে বিপ্লবী সরকার ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২২


ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্তঃদেশীয় প্রকল্পটা সফল হতে অনেক দিন লেগে গিয়েছিল। বাংলাদেশে সে তুলনায় সংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহের সফলতা স্বল্প সময়ে অনেক ভালো। এটা বিস্ময়কর ব্যাপার, ‘রাষ্ট্র’... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×