...
এখন সময় এসেছে তোয়াজ না করে চলার ।এখন বাণিজ্য আর অর্থনীতির খেলা । রাজনীতি গৌণ হয়ে পড়েছে ।এই যে জাপান আমাদের ঋণ দেয় তা কি উদারতার খাতিরে ? না । একটু খেয়াল করলে দেখবেন জাপান কিন্তু রাস্তা আর সেতু নির্মানে ঋণ দেয় ,আর কঠিন শর্ত থাকে জাপনি গাড়ি ক্রয় করার জন্য ।
ঢাকার আগরগাঁওয়ে সরকারি মিতে বিশ্বব্যাংক আর এডিবির যে বিশাল অট্টালিকার মতো অফিস আর সেখানে নিয়োজিত কর্মকর্তা যাদের পেছনে ব্যয় হয় বিশাল অংকের বেতন ভাতা, এখন যদি পদ্ম সেতুতে ঋণ না দেয় বা অন্যান্য প্রকল্প বাদ দিয়ে দেয় তবে এরা বাচাঁবে কি করে ।তাই এদের লাথি দিয়েও দেশ থেকে বের করা যাবে না । একবার টাকার গন্ধ পেলে কি আর সহজে হাতছাড়া করেতে চাইবে সুযোগ ? শুধু এদের রাজনৈতিক চাল বুঝলেই চলবে ।
আসলে আমরা এখন ভৌগলিক ভাবে,পরিবেশগত সবদিক দিয়ে এমন এক অবস্থানে আছি যেখানে অন্যরা আমাদের তোয়াজ করে চলবে আমরা নই ।শুধু দরকার দেশপ্রেম আর সচেতনতা ।এখন রাজনৈতিক আলোচনার চেয়ে বা রাজনীতি বিজ্ঞানীদের চেয়ে অর্থনীতিবিদদের পরামর্শ নিয়ে যদি দেশের পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয় তবে দেশের ভাল হবে বৈ ক্ষতি হবে না ।
দুই:গত শতকে ৩০ এর দশকে বিশ্বে যে মহামন্দা হয়েছে তা থেকে উত্তরণের জন্য তৎকালীন বিশ্বের তাবৎ অর্থনীতিবিদগণকে দিনকে রাত করার ফলে মন্দা কাটিয়ে উঠতে মোটামুটি সহজ হয়েছে ।কিন্তু এখন ?এই যে global economics collapse এর দোড়গোড়ায় বিশ্ব অর্থনীতি, এই মহা দুর্যোগ থেকে কিভাবে বিশ্ববাসি মুক্তি পাবে তা এক মহা চিন্তার বিষয় । যদিও অর্থনিতিবিদগণ বসে নেই ।এর জন্য তাঁদেরকে সাধুবাদ দিতে হয় ।সংকীর্ণ দৃষ্টিকোণ থেকে না দেখে আমাদের একমাত্র নোবেল জয়ী অর্থনীবিদ ড.মুহাম্মদ ইউনুস সাহেব কে আমি প্রথম সারিতে রাখতে চাই ।কারণ তারঁ উদ্ভাবনি সৃজনশীল মডেল তাবৎ পৃথিবীতে এক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে এবং অনেকেই 'ক্ষুদ্র ঋণ'বলি আর 'সামাজিক ব্যবসা বলি' এই মহামন্দা থেকে উত্তরণের হাতিয়ার হিসেবে দেখছে ।
কিন্তু কেন এই 'global economic collapse ''এর আশংকা ।এক কথায় বললে আমেরিকার হঠকারি রাজনীতি আর প্রতিটাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নগ্ন ভাবে নাক গলানো । এরা বন্ড বিক্রি করে তাও চির শত্রু চিনের কাছে মোটামুটি টিকে আছে ।দেশে এখন সুদের পাহাড় নিয়ে মানুষজন নানা কথা বলছে ।চাকরি নেই ,বেকার লোকের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে ।কিন্তু এদের রাজনৈতিক চিন্তা সেদিকে নয় ,বিশ্বকে নিয়ে পোদ্দারি করার দিকে ।
আমেরিকায় কিন্তু প্রতিনিয়ত বেকারত্ন বৃদ্ধি পাচ্ছে ,তার উপর তাদের চাকরির বিশাল একটা ক্ষেত্র হারাচ্ছে আউটসোর্সিংয়ের ফলে ।আমরা অনেকেই বলি বা ভাবি ডলারের মান খুব বেশি কিন্তু আসলেই কি তাই ।এই যে আউটসোর্সিংয়ের নামে তারা যে কাজটা বাহিরে করাচ্ছে এই কাজটা কি তারা দেশে ভেতরে করিয়ে নিতে পারতো না । কিন্তু করাচ্ছে না । করণ এর জন্য মুদ্রাস্ফীতির মতো ডলার দেশের ভেতর এতো বেশি ব্যয় হবে যা কম্পানির জন্য হিতে বিপরিত হয়ে যাবে । প্রফিট বলে আর কিছুই বাকী থাকবে না ।এভাবে নানা দিক খেকে আমেরিকার অবস্থান অর্থনৈতিক ভাবে কিন্তু খুবই নাজুক ।তাছাড়া প্রতিবছর বিশ্ব সন্ত্রস মুক্ত করার নামে বিশাল এক ব্যয়ভার বহণ করতে হচ্ছে ।যোগানটা কিন্তু সেই বন্ড বিক্রি থেকেই আসছে, আর সুদের পরিমান দিনকে দিন বুদ্ধি পাচ্ছে ।এদিকে প্রধান ক্রেতা চীন আনন্দে বগল বাজাচ্ছে ।আমি বলবো এখান থেকে আমরা কি সুবিধা নিতে পারি ? পারি যদি একটু সচেতন হই ।
গত কালকের খবরে পেলাম ভারত আর বাংলাদেশ থেকে পাটের বস্তা আমদানি করবে না ।সেই ৭৪'এর দুর্ভিক্ষের মতো আমেরিকা ধোয়া আইনের কথা বলে যেমন খাদ্য প্রেরণ করেনি ঠিক(যদিও অর্থনীতিবিদ অমর্থ সেন সঠিক বিতরণকে অনেকটা দায়ী করেছেন ।যাক সেদিকে আমি যাচ্ছি না )তেমনি ভারতও কিন্তু এই কাজটা করেছে আইনের কথা বলে ।
ভারত পাটের বস্তা না কিনলে আমরা কি বসে থকবো ।না থাকব না । বর্তমানে পৃথিবীতে কিন্তু পরিবেশ উপযোগি দ্রব্য ব্যবহারের হিড়িক পড়ে গেছে ।সেদিক থেকে আমাদের সামনে পাটের বিশাল এক বাজার আছে । যেহেতু পাট উৎপাদনে এক অমূল্য পরিবেশ আমাদের এই দেশ ।পৃথিবীর গুটিকয়েক দেশ বাদে বাকীদের যেখানে পাট উৎপাদন করা প্রায় বুধে বাস করার মতো চিন্তা সেখানে আমরা অতি সহজে কিন্তু উৎপাদন করেতে পারি ।শুধু দরকার সঠিক উদ্যোগ আর পরিকল্পনা ।পরিবেশ উপযোগী উৎপাদনের যে চিন্তা ভাবনা পৃথিবীময় হচ্ছে ,সেখানে অতি সহজে বাংলাদেশ সুবিধা আদায় করেতে পারে ।
পরিবেশের কোন রূপ ক্ষতি না করে আমরা সক্ষম পরিবেশ উপযোগি দ্রব্য উৎপাদনে। সেই সাথে যারা পরিবেশ উপযোগি পন্য উৎপাদনে সক্ষম নয় কিন্তু পরিবেশ নিয়ে উদ্বিগ্ন তাদের বাজারর ধরার এখনই সময় ।এই 'global economic collapse'আমরা কি সেই সুযোগটি নিতে প্রস্তুত আছি?একটি ছোট কথা আমেরিকা কিন্তু পরিবেশ উপযোগি পন্য ব্যবহারের জন্য মুখিয়ে আছে । কিন্তু তারা অক্ষম উৎপাদনের জন্য ।তাই বিশাল সুযোগ আমাদেরে সামনে ।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:০৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।






